NID card বা ভোটার আইডি কার্ড করুন এখন ঘরে বসেই

ভোটার নিবন্ধন বা NID CARD registration

সংক্ষেপে বলতে গেলে, NID Card বা ভোটার আইডি কার্ড হল বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র। এটি প্রত্যেক নাগরিকের নাগরিকত্বের প্রমাণ বহন করে এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হয়।

NID card বা ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • এটি বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি।
  • ১৬ বছর বয়সে এর জন্য নিবন্ধন করা যায় কিন্তু ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়।
  • এটি নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হয়।
  • এতে নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি) থাকে।
  • নির্বাচন কমিশন এখন এর নিবন্ধন ও বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসবে।
  • অনলাইনে আবেদন করা যায় এবং অনুমোদনের পর ৩০-৪৫ দিনের মধ্যে ডাউনলোড করা যায়।

সুতরাং, NID কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড হল বাংলাদেশী প্রবাসী নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র যা বিভিন্ন সেবা গ্রহণ এবং নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার সহজ নিয়ম

বাংলাদেশে নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই নিয়মগুলো হলো:

অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

  1. প্রথমে services.nidw.gov.bd সাইটে গিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  2. তারপর নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
  3. আবেদনপত্রে সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো আপলোড করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে হলে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হবে:

  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • পিতা-মাতার NID Card এর কপি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ (যেমন এসএসসি/এইচএসসি সার্টিফিকেট)
  • রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট
  • নাগরিকত্বের সনদ
  • বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস বিলের কপি (বাসার কোনো সদস্যের নামে)
  • চৌকিদারি ট্যাক্স/পৌর কর/বাড়ি ভাড়ার রশিদ
  • পূর্বে ভোটার না হওয়ার অঙ্গীকারনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি (যদি থাকে)
  • চেয়ারম্যান/মেয়র/কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র

অন্যান্য নিয়ম

  • আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে।
  • মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অনলাইনে আবেদন করা যাবে, তবে NID Card পাওয়া যাবে না।
  • আবেদন অনুমোদিত হলে ৩০-৪৫ দিনের মধ্যে অনলাইনে NID Card ডাউনলোড করা যাবে।
  • কোনো সমস্যার জন্য ১০৫ নম্বরে কল করা যাবে।

এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে নতুন নিয়ম জারি করতে পারে। তাই নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার আগে সর্বশেষ নিয়মাবলী দেখে নেওয়া উচিত।

ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগবে ?

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার জন্য কোনো আর্থিক খরচ বা ফি প্রদান করতে হয় না।

এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিম্নরূপ:

  • নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে বা নির্বাচন অফিসে নিःশুল্ক আবেদন করতে হবে।
  • শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর ফটোকপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
  • কোনো অর্থ প্রদান না করেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যাবে।
  • তবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে হলে কিছু ফি প্রদান করতে হবে। যেমন অনলাইনে সংশোধন করতে ১৫% কর সহ ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা খরচ হবে।

সুতরাং, নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কোনো আর্থিক খরচ বা ফি প্রদান করতে হবে না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং নথিপত্র জমা দিলেই নিষ্পত্তি হবে। তবে ভবিষ্যতে তথ্য সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে।

সঠিক তথ্য প্রদান

আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ভুল তথ্য প্রদান করেন তবে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া অস্থির হতে পারে এবং আপনি আপনার কার্ড পাতে পারেন না। আবার, ভুল তথ্য প্রদান করা আপনার জন্য আইনানুযায়ী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

অবশ্যই অনলাইন প্রস্তুত থাকুন

নিদ কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য প্রদানের পাশাপাশি আপনার নিষ্পত্তি আবেদনপত্রগুলি অনলাইনে সঠিকভাবে পূরণ করা উচিত। এটি সময় এবং পরিশ্রমের একটি বাজেট রক্ষা করবে এবং আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করবে।

অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন

নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে প্রথমেই আপনাকে নির্ধারিত  NID কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড সাইটে যেতে হবে, এবং প্রয়োজনীয় সকল সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পূর্ণ করত হবে।

স্টেপ ১. অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন

আবেদনের জন্যে আপনাকে নতুন নিবন্ধদনের জন্যে আবেদন ঘরের আবেদন বাটনে ক্লিক করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যা পরবর্তীতে আপনাকে আবেদনের পেইজে নিয়ে যাবে।

অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন
নতুন অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন

এখানে এসে প্রথমেই আপনাকে আবেদনকারীর নাম (ইংরেজীতে ) দিতে হবে যা  জন্মনিবন্ধন ও সার্টিফিকেট অনুযায়ী হতে হবে। জন্ম তারিখ দিতে হবে যা জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী। এবং ভালোভাবে ক্যাপছা টা দেখে পূরণ করে বাটনে ক্লিক করলে তা আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। 

মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য একটি সচল নাম্বার দিয়ে তা ভেরিফাই করতে বলা হবে। পরবর্তী সময়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID Card এর বিভিন্ন আপডেট মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।

এখন মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন ধাপে আপনাকে একটি বাংলাদেশ মোবাইল নাম্বার ইনপুট করতে বলা হবে। যেখানে আপনি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত অথবা অভিভাবকের এমন একটি নাম্বার দিবেন যেটি সব সমইয় ব্যবহ্রত হয়। নাম্বারটি প্রবেশ করিয়ে বার্তা পাঠান বাটন ক্লিক করলে যেই নাম্বারে একটি ৬ সংখ্যার OTP চলে যাবে।

অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন নাম্বার
অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন নাম্বার

অনেক সময় OTP আসতে দেরি হইয় বা আসে না সেই ক্ষেত্রে পুনরায় পাঠান বাটনে ক্লিক  করে আরেকটি কোডের জন্য রিকোয়েস্ট করতে পারেন। 

NID registration OTP code
NID rehistration OTP code

যখনি আপনি ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড চলে আসছে দেখতে পাবেন তখনই তা OTP ঘরে বসিয়ে বাটনে ক্লিক করুন। সঠিক ওটিপি দিয়ে সাবমিট করার পর আপনাকে নতুন একটি পেজে নিয়ে যাবে।

ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড বাছাই করুন

 এটি অনেক গুরুতবপূর্ণ একটি স্টেপ এখন আপনাকে একটি Username এবং Password সেট করতে হবে যা পরবর্তী সময়ে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজন হবে । খেয়াল রাখতে হবে ইউজারনেম টি যেন ইউনিক হয়। পরবর্তীতে যদি কোনো কারনে আইডি সংশোধন করতে হয়  বা আইডি কার্ড ডাওনলোড করতে এই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।  

ইউজারনেম কমপক্ষে ৮ ডিজিটের হতে হবে। আপনার ইউজারনেমটি  ইউনিক করার জন্য ইংরেজি অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা ও ব্যবহার করতে পারেন। যদি Username Already Exists দেখায় তা হলে আপনার ইউজারনেম টি পরিবর্তন করে ইউনিক করার চেষ্টা করুন।

Note: আপনার এই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড কোথাও সংরক্ষণ করে রাখুন। কারন পরবর্তী সময়ে এই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।

স্টেপ ২. ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সম্পন্ন করুন

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন হয়ে গেলে আপনার Username এবং Password দিয়ে লগইন করুন। আর যদি লগইন করে থাকেন তাহলে নিচের ছবির মতো একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।

ব্যক্তিগত তথ্য

NID Server এ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সাবমিট করতে হবে তার জন্য প্রথমে আপনি এ রকম একটি পেইজ দেখতে পাবেন, প্রথমে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ফিল্ড গুলোতে লিখার অপশন থাকবে না। যখন এডিটে ক্লিক করবেন তখন সব কটি ফিল্ড ইনপুট নেয়ার জন্য রেডি হবে।

NID profile setting

ব্যক্তিগত তথ্য পূরণের ধাপে আপনার নাম (বাংলা), ইংরেজি নাম (স্বয়ংক্রিয় ভাবে হয়ে থাকবে), লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ (স্বয়ংক্রিয় ভাবে হয়ে থাকবে) এবং এখানে জন্মস্থান বাছাই করতে হবে।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় নিজের নাম ইংরেজি যেভাবে দেওয়া হয়েছে এবং জন্ম তারিখ যা দেয়া হয়েছে তা অটোমেটিক হয়ে যাবে এটি চাইলেও পরিবর্তন করা যাবে না।

যদি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় নিজের ইংরেজি নামে কিংবা জন্ম তারিখে কোন ভুল দিয়ে থাকেন তাহলে এ একাউন্ট বাতিল করে নতুন মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে সঠিক তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

পিতার তথ্য

নিজের তথ্য ফিলাপ করার পর পিতার তথ্য দিতে হবে। এখন পিতার নাম (বাংলায় ও ইংরেজি) এবং পিতার এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিতে হবে। পিতার ভোটার নাম্বার চাইলে দিতে পারেন, এটি ঐচ্ছিক।

  • পিতের নাম বাংলায় (আবশ্যক)
  • পিতার নাম ইংরেজি (আবশ্যক)
  • পিতার NID Card নাম্বার (অপশনাল)
  • পিতার ভোটার নাম্বার (অপশনাল)
  • মৃত্যুর সন (মৃত হলে)

পিতা মৃত হলে পিতার তথ্যের সাথে মৃত লিখায় টিক মার্ক দিয়ে মৃত্যু সন লিখে দিতে হবে। যে সব তথ্যের সাথে লাল (*) দেয়া আছে সে ঘর অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

Parents information
এন আই ডি অভিভাবকের তথ্য

মাতার তথ্য

একই ভাবে মাতার তথ্য পূরণ করতে হবে। পিতার মাতার তথ্যের ক্ষেত্রে বাংলা এবং ইংরেজি নাম দেয়া আবশ্যিক। এনআইডি নাম্বার ও ভোটার নাম্বার দেয়া অপশনাল। তবে NID Card নাম্বার দিয়া রাখা ভালো। আর মৃত হলে অবশ্যই মৃত্যুর সাল লিখতে হবে।

মায়ের তথ্য পুরনে যা যা দিতে হবে

  • মাতার নাম বাংলায় (বাধ্যতামূলক)
  • মাতার নাম ইংরেজি (বাধ্যতামূলক)
  • মাতার NID Card নাম্বার (অপশনাল)
  • মতার ভোটার নাম্বার (অপশনাল)
  • মৃত্যুর সন (মৃত হলে)

এভাবে পিতা মাতার তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনের সময় কোন প্রকার ভুল করা যাবে না। আইডি কার্ডে ভুল হলে তা সংশোধন করা ঝামেলা ও অনেক সময়ের ব্যাপার  এর জন্য ভোটার আইডি সংশোধন ( NID Card correction) আবেদন করতে হয়।

আভিভাবকের তথ্য

আপনার আভিভাবকের তথ্য প্রদান করুন। সাধারনত অভিভাবক হিসেবে পিতা কিংবা মাতার তথ্য দেয়া উচিত। আপনার আভিভাবক অন্য কেউ হলে তাও দিতে পারবেন। আপনি আপনার আভিভাবক হিসেবে যার তথ্য দিতে চান তার নাম ও জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID Card) নাম্বার লিখুন।

এর পরে চলে আসবে বড় ভাই/বোনের তথ্য দেয়ার অপশন । এটি যদিও অপশনাল চাইলে দিতে পারেন। না দিলেও সমস্যা নেই, এটা খালি রাখতে পারেন।

বৈবাহিক অবস্থা

আপনি যদি অবিবাহিত হন তাহলে  ড্রপ ডাউন মেনু থেকে অবিবাহিত অপশন টি সিলেক্ট করে নিন। অবিবাহিত হলে আর কোন তথ্য দিতে হবে না। দিবেনই বা কোথা থেকে! আর যদি বিবাহিত হন তা হলে আপনার স্ত্রী / স্বামীর নাম উল্লেখ করে দিতে হবে। আপনার একাধিক স্ত্রী থাকলেও তাদের তথ্য দেয়ার সুযোগ রয়েছে। স্ত্রী মৃত হলে মৃত্যুর সন লিখে দিতে হবে।

তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করা হলে পুনরায় যাচাই করে দেখন কোথাও ভুল হয়েছে কিনা। সব সঠিক থাকলে পরবর্তী বাতনে চাপুন।

স্টেপ ৩. অন্যান্য তথ্য

অন্যান্য তথ্যের ঘরে অবশ্যই পূরণ করতে হবে এমন ফিল্ড হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা এবং ধর্ম। আবেদনকারি কোন প্রকার শারীরিক প্রতিবন্ধি হলে তা অসমর্থতার ঘর বাছাই করে দিতে হবে।

  1. শিক্ষাগত যোগ্যতা (বাধ্যতামূলক)
  2. পেশা (বাধ্যতামূলক)
  3. ধর্ম (বাধ্যতামূলক)
  4. অসমর্থতা (প্রযোজ্য হলে)
  5. সনাক্তকরণ চিহ্ন (যদি থাকে)
  6. টিন নাম্বার (যদি থাকে)
  7. ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
  8. পাসপোর্ট (যদি থাকে)
শিক্ষাগত যোগ্যতা
নতুন ভোটারের শিক্ষাগত যোগ্যতা

আপনি যে পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তা শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘরে লিখতে হবে। শারীরিক প্রতিবন্ধি হলে তা উল্লেখ করে দিতে হবে। জন্মদাগ যদি আপনি দিতে চান থাকলে তার বিবরন লিখে দিন। এভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এই ধাপটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

স্টেপ ৪. ঠিকানা

এখন আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিতে হবে। এই ধাপটি গুরুত্ব সহকারে পূরণ করতে হবে। প্রথমেই অবস্থানরত দেশ বাছাই করে দিতে হবে। আমারা যেহেতু বাংলাদেশ থেকে আবেদন করছি তাই অবস্থানরত দেশে বাংলাদেশ বাছাই করবো।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভোটার ঠিকানা বাছাই করণ। আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হলে, যে ঠিকানায় ভোটার হতে চাচ্ছেন সেটি ভোটার ঠিকানা হিসেবে টিক দিহ্ন দিয়ে সিলেক্ট করে দিন।

এখানে ভোটার ঠিকানা হিসেবে যেটি বাছাই করবেন সেই ঠিকানায় আপনার ভোটার তালিকায় নাম আসবে। নির্বাচনের সময় এই ঠিকানায় ভোট দিতে হবে।

বর্তমান ঠিকানা

বর্তমান ঠিকানার স্থলে আপনার বর্তমান ঠিকানা বাছাই করুন। চাইলে বর্তমান ঠিকানার স্থানে স্থায়ী ঠিকানাও দিতে পারেন। বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হতে পারে, তাতে কোন সমস্যা নেই।

তার যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হয় তা হলে আপনার ঠিকানা অনুসারে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এসব বাছাই করুন।

ঠিকানা বাছাই করা সহজ কাজ, বিভাগের ঘরে চাপলে বাংলাদেশের সব গুলো বিভাগ চলে আসবে। আপনি আপনার ঠিকানা আনুসারে আপনার বিভাগ সিলেক্ট করে নিবেন। তার পর জেলাতে চাপলে আপনার বিভেগের জেলা দেখতে পাবেন, তার মধ্য থেকে আপনার জেলাটি বাছাই করে নিন। এভাবে পর্যায়ক্রমে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে আপনার ঠিকানা বাছাই করুন।

আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা

স্থায়ী ঠিকানা

ঠিক আগের মতই আপনার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিয়ে এটি পূরণ করুন। ঠিকানা বাছাই করার সময় নিচের পর্যায়ক্রম আনুসরণ করতে পারেন।

  1. বিভাগ
  2. জেলা
  3. উপজেলা
  4. আর.এম.ও
  5. ইউনিয়ন
  6. মৌজা
  7. গ্রাম/রাস্তা
  8. বাসা/হোল্ডিং
  9. পোস্ট অফিস
  10. পোস্ট কোড
  11. ভোটার এরিয়া

আপনার স্থায়ী ঠিকানা আনুসারে যাবতীয় তথ্য দিয়ে এই ফরম ফিলাপ করুন। আপনার সকল তথ্য পূরণ করার পর ভালো করে ভোটার তথ্য যাচাই করুন। সব ঠিক থাকলে উপরের ডান দিকের পরবর্তী বাটনে চাপুন।

নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য অনলাইনে কোন ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয়না। আপনার যে সব কাগজ জমা দিতে হবে তা নির্বাচন কমিশন আফিসে জমা দিতে হবে। তাই এই ধাপটি কিছু না করেই পরবর্তী ধাপে চলে যাবো।

স্টেপ ৫. আবেদন সাবমিট

আপনার আবেদন সাবমিট করার জন্য সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার সম্পূর্ণ আবেদনটি নিশ্চিত করে এই ধাপে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।

আপনার যদি মনে হয় কোথাও কোন ভুল করে ফেলেছেন, তা হলে পেছনে নামক বাটনে চেপে পূর্ববর্তি ধাপে যেতে পারবেন। পুনরায় আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার আবেদন চূড়ান্ত সাবমিট করুন।

NID application submit
NID application submit

স্টেপ ৬. আবেদন কপি ডাউনলোড

অনলাইনে নতুন ভোটার হয়ার আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে আপনার সামনে আবেদন সামারি বা ভোটার আবেদন কপি ডাউনলোডের জন্য একটি অপশন দেখতে পাবেন। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি ডাউনলোড করুন।

 এই আবেদন কপি প্রিন্ট করে সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে আপনার স্থানীয় নির্বাচন কমিশন আফিসে জমা দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন আফিসে আপনি এই ভোটার আবেদন কপি ও নতুন আইডি কার্ড করতে যে সমস্ত কাগজ প্রয়োজন বলা হয়েছে তা জমা দিন।