ভোটার আইডি কার্ড চেক করুন সহজেই: আপনার ভোটের প্রস্তুতি নিশ্চিত করুন

ভোটার আইডি কার্ড চেক
আপনার অনলাইনে নিজের তথ্য সহজে যাচাই করুন

অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা আমাদের ভোটার আইডি কার্ড চেক করি। কিন্তু  তখন সঠিক পদ্ধতি না জানার কারনে অনেক সময় নষ্ঠ করি সঠিক প্রসেস টি জানার জন্যে তাই ভাবলাম আজকে আমি আপনাদের সাথে NID Card Check করা নিয়ে একটি কন্টেন্ট শেয়ার করি । 

আপনি কি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেয়েছেন? এখন কি ভোটার আইডি কার্ড চেকিং অ্যাপের মাধ্যমে জানতে চান আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আসল না নকল? তাছাড়া বিভিন্ন কারণে অনেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে চাই।

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়েন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন আপনার মনে থাকবে না। আশা করি সহজেই আপনি আপনার সকল প্রশ্ন এবং সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। 

আপনি যখন উল্লিখিত ওয়েবসাইট প্রবেশ করে একটা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিবেন। তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন থেকে শুরু করে এন আইডি সংক্রান্ত সকল কাজ ও তথ্য এখান থেকেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনার সম্পূর্ণ ডিটেইলস দেখা যাবে এখানে একটা একাউন্টে NID registration করলে।

ভোটার আইডি কার্ড চেক: কেন প্রয়োজন?

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বিভিন্ন কারণে:

  1. নকল কার্ড চেক করা: বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নকল ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা হচ্ছে যা আসল থেকে পার্থক্য করা কঠিন। অনলাইন চেক করলে আসল নাকি নকল তা বোঝা যায়।
  2. তথ্য যাচাই করা: অনলাইন চেক করলে দেখা যায় কার্ডে থাকা নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ ইত্যাদি তথ্য সঠিক কিনা। যদি কোনো ভুল থাকে তা সংশোধন করা যায়।
  3. নতুন কার্ড প্রাপ্তি যাচাই: যারা নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন তারা অনলাইন চেক করে দেখতে পারেন তাদের কার্ড প্রস্তুত হয়েছে কিনা।
  4. বিভিন্ন সেবা গ্রহণের প্রয়োজন: ব্যাংক, বীমা, সরকারি সেবা গ্রহণের জন্য ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হয়। তাই কার্ডটি যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
  5. নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যবহার: ভোটার হিসেবে নিবন্ধন ও ভোট প্রদানের জন্য ভোটার আইডি কার্ড অপরিহার্য।

সুতরাং, নিজের বা অন্যদের ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করা প্রয়োজন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কারণে যেমন নকল চেক, তথ্য সঠিকতা যাচাই, নতুন কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন সেবা গ্রহণ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য।

ভোটার আইডি কার্ড চেক।NID Card Check

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড রিলেটেড যেকোন অনলাইন সেবা আমরা services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেতে পারি যা Bangladesh NID Application System নামে পরিচিত।

একটি ভোটার আইডি কার্ড অরিজিনাল নাকি নকল, এটা জানতে হলে এনআইডি কার্ড চেক এর কোন বিকল্প নেই। কেননা নকল ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে না, যার কারণে সার্চ করে পাওয়া যাবে না।

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় চেক করার নিয়ম নিচে অবশ্যই আপনাদের জানিয়ে দিবো। আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে এসএমএস, ভোটার আইডি কার্ড চেকিং অ্যাপ এবং ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কম্পিউটার অথবা মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।

আর্টিকেলে যে প্রক্রিয়ায় আপনাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বের করে দেখাবো, এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করলে আপনি ব্যক্তির ছবি, পিতার নাম, মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ সহ সকল তথ্য দেখতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পূর্বে আপনার এই বিষয়ে আগে ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার যে, অনলাইনে কোন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসন্ধান করতে চাইলে কি কি লাগবে? এ ব্যাপারে নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে ?

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রয়োজন হবে:

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে আপনাকে আপনার 13 অথবা 17 ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরটি প্রদান করতে হবে।
  2. জন্মতারিখ: আপনাকে আপনার সঠিক জন্মতারিখ যা জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী প্রদান করতে হবে ফরম্যাটানুযায়ী।
  3. মোবাইল নম্বর: অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে যেখানে একটি OTP কোড আসবে যা আপনাকে ভেরিফাই করতে হবে।
  4. ভোটার নিবন্ধন স্লিপ/ফর্ম নম্বর: যারা নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধন স্লিপ বা ফর্ম নম্বর প্রয়োজন হতে পারে।
  5. ক্যাপচা কোড: কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ক্যাপচা কোড প্রদান করতে হয়।
  6. ঠিকানা: কখনও কখনও আপনাকে আপনার বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হতে পারে।
  7. ভোটার আইডি চেক অ্যাপ: গুগল প্লে স্টোর থেকে “ভোটার আইডি চেক” নামের অ্যাপটি ইনস্টল করে আপনি সহজেই ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।

সুতরাং, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর এবং কখনও কখনও ভোটার নিবন্ধন স্লিপ/ফর্ম নম্বর, ক্যাপচা কোড ও ঠিকানা প্রদান করে আপনি ওয়েবসাইট, NID wallet বা অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই নিজের বা অন্যদের ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার মাধ্যমে কোন বিষয়গুলো জানতে পারবেন

জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জানা যায়:

  1. নাম, পিতা ও মাতার নাম: জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত নাম, পিতা এবং মাতার নাম যাচাই করা যায়।
  2. জন্মতারিখ ও বয়স: জন্মতারিখ এবং সেখান থেকে বর্তমান বয়স নির্ণয় করা যায়।
  3. ঠিকানা: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব।
  4. ছবি: জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ব্যক্তির ছবি দেখা যায়।
  5. লিঙ্গ: পুরুষ নাকি মহিলা তা জানা যায়।
  6. বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত নাকি অবিবাহিত সেটি জানা যায়।
  7. জন্মস্থান: জন্মস্থানের ঠিকানা দেখা যায়।
  8. শিক্ষাগত যোগ্যতা: কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখা যায়।
  9. পেশা: কিছু ক্ষেত্রে পেশার তথ্য দেখা যায়।
  10. ধর্ম: ধর্মের তথ্য দেখা যায়।
  11. আসল নাকি নকল: যাচাই করে জাতীয় পরিচয়পত্রটি আসল নাকি নকল তা বোঝা যায়।

সুতরাং, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করলে ব্যক্তির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন নাম, বয়স, ঠিকানা, ছবি, বৈবাহিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি জানা যায় এবং পরিচয়পত্রটি আসল নাকি নকল তাও বোঝা যায়।

কিভাবে আমরা ভোটার আইডি কার্ড চেক করব?

নিচে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার সহজ নিয়ম আপনাদের দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনি চাইলে যেকোন একটি নিয়মে সহজে অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য বের করে দেখতে পারেন।

যেমন –

  1. ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে: ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নাগরিক কর্ণারে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। OTP এবং ফেস ভেরিফিকেশন করে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি, নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানা দেখা যাবে।
  2. নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে: আগে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে শুধু নাম ও ঠিকানা দেখা যেত। এখন সেখানে ছবিসহ তথ্য দেখা যায় না।
  3. অন্যান্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করে: বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন nidcheck.com, nidseba.com ইত্যাদি থেকেও ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়।
  4. মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে: গুগল প্লে স্টোর থেকে “ভোটার আইডি চেক” নামের অ্যাপটি ইনস্টল করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নাম, পিতা-মাতার নাম এবং ছবি দেখা যায়।
  5. এসএমএস পদ্ধতি: মোবাইল থেকে NID স্পেস Form Number স্পেস DD-MM-YYYY ফরম্যাটে লিখে 105 নম্বরে পাঠালে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য পাওয়া যায়।

এখন এই নিয়মের বিষয়ে এক এক করে ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।

এসএমএস পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক

এসএমএস পদ্ধতিতে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. মোবাইল থেকে একটি নতুন এসএমএস লিখুন এভাবে:

NID <স্পেস> আপনার ফর্ম নম্বর <স্পেস> DD-MM-YYYY (জন্মতারিখ)

উদাহরণস্বরূপ: NID 123456789 01-01-1990

২. এই এসএমএসটি 105 নম্বরে পাঠান।

৩. কিছুক্ষণ পরে আপনি একটি ফিরতি এসএমএস পাবেন যাতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID নম্বর) থাকবে।

৪. এই পদ্ধতিতে আপনি শুধুমাত্র আপনার NID নম্বরটি জানতে পারবেন। নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য পাবেন না।

৫. যদি আপনি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং এখনও আপনার NID নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ফর্ম নম্বর দিয়ে NID নম্বর জানতে পারবেন।

৬. এই পদ্ধতিটি সহজ এবং দ্রুত। তবে এতে শুধুমাত্র NID নম্বরটিই পাওয়া যাবে। পুরো তথ্য জানতে হলে অন্যান্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

সুতরাং, এসএমএস পদ্ধতিতে আপনি মোবাইল থেকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এসএমএস পাঠিয়ে সহজেই আপনার NID নম্বর জানতে পারবেন। এটি একটি দ্রুত ও সুবিধাজনক পদ্ধতি।

ভোটার আইডি কার্ড চেক মোবাইল অ্যাপ
ভোটার-আইডি-কার্ড-চেক-মোবাইল-অ্যাপ

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার এর পদ্ধতির দ্ধারা ভোটার আইডি কার্ড চেক

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. গুগল প্লে স্টোর থেকে “ভোটার আইডি চেক” নামের অ্যাপটি ইনস্টল করুন।

২. অ্যাপটি খুলুন এবং “জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর” ও “জন্মতারিখ” ইনপুট বক্সগুলোতে সঠিক তথ্য প্রদান করুন।

৩. এরপর “পরিচয়পত্র যাচাই” বাটনে ক্লিক করুন। যদি তথ্যগুলো সঠিক থাকে, তাহলে পরবর্তী পেজে ব্যক্তির নাম, পিতা-মাতার নাম এবং ছবি দেখতে পাবেন।

৪. কখনও কখনও অ্যাপটি একটি ক্যাপচা কোড চাইতে পারে, যা আপনাকে পূরণ করতে হবে।

৫. যদি আপনি নতুন ভোটার হন এবং এখনও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে অ্যাপে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপের ফর্ম নম্বর প্রদান করতে হবে।

৬. এই পদ্ধতিতে আপনি শুধুমাত্র নাম, পিতা-মাতার নাম এবং ছবি দেখতে পারবেন। পুরো তথ্য দেখার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

সুতরাং, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি নিজের বা অন্যদের ভোটার আইডি কার্ডের মৌলিক তথ্য যাচাই করতে পারবেন

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক

2024 সালের ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়. নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আপনি ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন:

  1. সরাসরি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন: ওয়েবসাইট হল https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/
  2. একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন বা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট করুন।
  3. মোবাইল নাম্বার দিয়ে OTP পাওয়া থাকলে সেটি ভেরিফাই করুন।
  4. নির্দিষ্ট ঠিকানা পূরণ করুন।
  5. আপনার প্রোফাইলে শুধুমাত্র নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানা দেখতে পাবেন।
  6. যদি আপনার আইডি কার্ড নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপডেট হয়ে থাকে তাহলে নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ ও ছবি দেখতে পাবেন।
  7. আপনি মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি চেক করতে পারেন।
  8. যদি আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার আগে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন, তাহলে নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ চলে আসবে।
  9. এখানে আপনার মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে ইনপুট করুন।
  10. পরিবর্তী পদক্ষেপ বাটনের উপর ক্লিক করুন।
  11. এরপর আপনি ছবিসহ আপনার নাম, ঠিকানা এসব তথ্য দেখতে পাবেন।
  12. যদি আপনি পুরাতন আইডি কার্ড চেক করতে চান, তাহলে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম অনুসরন করুন।
  13. যদি আপনি নতুন ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পা্রেননি, তাহলে আপনি যে কোন সময়ে অনলাইনে NID Card আবেদন করতে পারবেন
  14. নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগইন করে রিইস্যু সেকশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড টি রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  15. আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
ভোটার-আইডি-কার্ড-চেক-ভুমি-মন্ত্রনালইয়-ওয়েবসাইট
ভোটার আইডি কার্ড চেক ভুমি মন্ত্রনালইয় ওয়েবসাইট

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. প্রথমে ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং “নাগরিক কর্ণার” এ ক্লিক করুন

২. এরপর “রেজিস্ট্রার করুন” বাটনে ক্লিক করে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করুন

– জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর

– জন্মতারিখ 

– মোবাইল নম্বর

৩. মোবাইলে আসা OTP কোডটি প্রদান করে একাউন্ট ভেরিফাই করুন

৪. এরপর আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করুন এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন

৫. এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি, নাম, পিতা-মাতার নাম, লিঙ্গ এবং স্থায়ী ঠিকানা দেখতে পারবেন

৬. যদি আপনি নতুন ভোটার হন এবং এখনও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ভোটার নিবন্ধন স্লিপের ফর্ম নম্বর দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

সুতরাং, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। এটি একটি নিরাপদ ও আনুষ্ঠানিক উপায়।

অন্যান্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক

অন্যান্য বেসরকারি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করেও ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল nidcheck.com, nidseba.com ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. প্রথমে উক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করুন। যেমন nidcheck.com

২. এখানে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রদান করতে হবে।

৩. কিছু ওয়েবসাইটে আপনাকে ক্যাপচা কোড প্রদান করতে হতে পারে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া হিসেবে।

৪. এরপর “চেক করুন” বা “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।

৫. এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি, নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং জন্মতারিখ দেখতে পারবেন।

৬. কিছু ওয়েবসাইটে আপনাকে মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হতে পারে যেখানে একটি OTP কোড আসবে। সেই OTP কোডটি প্রদান করে আপনাকে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।

৭. এছাড়াও কিছু ওয়েবসাইটে আপনাকে ফেস ভেরিফিকেশন করতে হতে পারে।

তবে মনে রাখতে হবে, এসব বেসরকারি ওয়েবসাইটগুলো সরকারি নয়। তাই এখানে প্রদত্ত তথ্যগুলোর নিরাপত্তা ও নিভ’রযোগ্যতা নিশ্চিত করা কঠিন। সুতরাং সরকারি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করাই ভাল।

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রশ্নাবলী (FAQ)

১. ভোটার আইডি কার্ড কী এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভোটার আইডি কার্ড হল বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইস্যু করা হয়। এটি একজন নাগরিকের ভোটার হিসেবে পরিচয় প্রমাণ করে এবং নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়াও এটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।

২. কীভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়?

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে:

  • অনলাইন পদ্ধতি: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (https://services.nidw.gov.bd/) থেকে মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে চেক করা যায়।
  • এসএমএস পদ্ধতি: মোবাইলে NIDNNNNNNNNNNN <জন্মতারিখ> লিখে 16222 নম্বরে পাঠালে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য পাওয়া যাবে। এখানে NNNNNNNNNNNN হল জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।
  • অ্যাপ ব্যবহার: নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটার আইডি চেক করা যায়।
  • ফর্ম/স্লিপ নম্বর দিয়ে: নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদনের সময় প্রাপ্ত ফর্ম/স্লিপের নম্বর দিয়েও চেক করা যায়।

৩. ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন কীভাবে করা যায়?

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আবেদন করলে পরবর্তীতে তথ্য সংশোধন করা হবে।

৪. নতুন ভোটার হিসেবে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করব?

১৮ বছর বয়স পূর্ণ হলে নতুন ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা যায়। এর জন্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বা অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আবেদন করলে ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যাবে।

৫. হারানো ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কী করতে হবে?

হারানো ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফি প্রদান সাপেক্ষে নতুন ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হবে।