NID Correction | জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন: প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

NID CORRECTION

বাংলাদেশের নাগরিক হতে গেলে সবাই কে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড থাকতে হবে। কারণ জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া আপনি কোন কিছুই করতে পারবেন না। আপনার প্রয়োজনীয় যে কোনো কাজ করতে গেলে আপনার এই NID card টি দরকার হবে, আর বর্তমান এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে যাদের জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রে ভূল নেই, তাই আজকে আমাদের সবার প্রয়োজনীয় একটি বিষয় NID Correction বা ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সহজেই সংশোধন করতে পারব তা নিয়েই আজকের ব্লগ পোষ্ট।   

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম

আপনি যদি আপনার NID Correction বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন  করতে চান তাহলে অবশ্যই নির্বাচনী কমিশন অফিসের কিছু নিয়ম কানুন আছে যা অনুসরন করে আপনাকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে অনলাইনে প্রবেশ করে (Nid services) লিখে সার্চ করলে আপনি তাদের নির্ধারিত ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন তাদের ওয়েবসাইটের নাম হলো (services.nidw.gov.bd) এই সাইটে ঢুকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে NID Correction করতে পারবেন। 

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন

বর্তমান সময়ে এনআইডি কার্ড কোন তথ্য ভুল হলে তা সংশোধন করতে গেলে অনেক হয়রানির স্বীকার হতে হয়। আপনি চেষ্টা করলেও দ্রুত যে কোন সময় এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন না। এন আইডি কার্ড সংশোধন করতে আপনাকে অনেক জায়গায় ঘোরাফেরা করতে হবে তারপরেও সংশোধন সঠিকভাবে করা যায় না।

কেন NID Correction বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার দরকার?

 এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া কারণ এনআইডিতে ভুল তথ্য থাকলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, যেমন:

  • পাসপোর্ট তৈরি ও নবায়ন
  • বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে
  • যানবাহন রেজিস্ট্রেশন
  • চাকরির আবেদন
  • বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ
  • স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়
  • বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন
  • ব্যাংক হিসাব খোলা ইত্যাদি

অনলাইনে আবেদন এর জন্য প্রয়োজন:

  1. NID WALLET অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করা
  2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান/ছবি (যেমন জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, পিতা-মাতার এনআইডি ইত্যাদি)
  3. সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী ফি প্রদান (230-345 টাকা)
  4. অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ ও জমা দেওয়া
  5. সাধারণত 7-10 কার্যদিবসের মধ্যে সংশোধিত এনআইডি পাওয়া যায়।
  6.  সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয় সাধারণ নাগরিক চারটি (০৪) ক্যাটাগরি তে তাদের নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। ক্যাটাগরি চারটি হচ্ছেঃ

  • রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  • নাম সংশোধন (নিজের কিংবা পিতা মাতার)
  • ঠিকানা সংশোধন
  • জন্ম তারিখ সংশোধন
জাতীয়-পরিচয়প্ত্র-সংশোধন

NID correction এ রক্তের গ্রুপ সংশোধন

রক্তের গ্রুপ সংশোধনের জন্য NID correction এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. রক্তের গ্রুপ সনদপত্র (হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সংগৃহীত)
  2. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

অনলাইনে আবেদনের ধাপসমূহ

  1. https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন (জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি দিয়ে)
  2. লগইন করে ড্যাশবোর্ডে “NID Services” থেকে “NID Correction” অপশন নির্বাচন করুন
  3. সংশোধনের ধরন হিসেবে “Change/Include Blood Group” সিলেক্ট করুন
  4. রক্তের গ্রুপের সনদপত্র ও এনআইডির স্ক্যান কপি আপলোড করুন
  5. ফি পরিশোধ করুন (230 টাকা)। বিকাশ/রকেট/নগদ ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যায়
  6. সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিন

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • রক্তের গ্রুপ একাধিকবার সংশোধন করা যায়
  • আবেদন অনুমোদনের পর সংশোধিত এনআইডি ডাউনলোড করা যাবে
  • সাধারণত আবেদন অনুমোদন পেতে 30-45 দিন সময় লাগে

উল্লেখ্য, অনলাইনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসেও সরাসরি গিয়ে রক্তের গ্রুপ সংশোধনের আবেদন করা যায়। সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

NID correction এ নাম সংশোধন (নিজের কিংবা পিতা মাতার) 

এনআইডি কার্ডে নিজের নাম বা পিতা-মাতার নাম সংশোধন করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (এসএসসি/এইচএসসি)
  3. পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
  4. পিতা-মাতার এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন
  5. ভাই-বোনের এনআইডি (যদি থাকে)
  6. বিবাহের কাবিন নামা (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)

অনলাইনে আবেদনের ধাপসমূহ

  1. https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন
  2. লগইন করে ড্যাশবোর্ডে “NID Services” থেকে “NID Correction” অপশন নির্বাচন করুন
  3. সংশোধনের ধরন হিসেবে “Change Name” অথবা “Change Father’s/Mother’s Name” সিলেক্ট করুন
  4. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করুন
  5. ফি পরিশোধ করুন (নাম সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা)। বিকাশ/রকেট/নগদ ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যায়
  6. সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিন

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্যান্য ডকুমেন্টে (জন্ম নিবন্ধন, সার্টিফিকেট ইত্যাদি) যে নাম আছে সেটাই এনআইডিতে ব্যবহার করা হবে
  • পিতা-মাতার নামের কোন অংশ বাদ পড়লে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে, তাই সম্পূর্ণ নাম সংশোধন করা জরুরি
  • আবেদন অনুমোদনের পর সংশোধিত এনআইডি ডাউনলোড করা যাবে
  • সাধারণত আবেদন অনুমোদন পেতে 30-45 দিন সময় লাগে

উল্লেখ্য, অনলাইনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসেও সরাসরি গিয়ে নাম সংশোধনের আবেদন করা যায়। সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

NID correction এ ঠিকানা সংশোধন 

এনআইডি কার্ডে নিজের ঠিকানা সংশোধন করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. ফরম-২ পূরণ করতে হবে (ফরম ডাউনলোড লিংক: https://nidw.gov.bd/download/NIDForms/form2_correction.pdf)[9]
  2. বর্তমান ঠিকানার সমর্থনে কাগজপত্র (যেমন- বিদ্যুৎ বিল, খাজনার রশিদ, গ্যাস বিল ইত্যাদি)
  3. বর্তমান এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

আবেদনের ধাপসমূহ (অফলাইন)

  1. ফরম-২ পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা অফিসে জমা দিতে হবে
  2. ভোটার স্থানান্তর ফরম ১৩ পূরণ করে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে
  3. ঠিকানা পরিবর্তনের ফি ২৩০ টাকা প্রদান করতে হবে
  4. আবেদন অনুমোদনের পর নতুন এনআইডি কার্ড পাওয়া যাবে

আবেদনের ধাপসমূহ (অনলাইন)

  1. https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে
  2. লগইন করে ড্যাশবোর্ডে “NID Services” থেকে “NID Correction” অপশন নির্বাচন করতে হবে
  3. সংশোধনের ধরন হিসেবে “Change Address” সিলেক্ট করতে হবে
  4. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে
  5. ফি পরিশোধ করতে হবে (২৩০ টাকা)। বিকাশ/রকেট/নগদ ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যায়
  6. সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিতে হবে

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন অনুমোদন হতে সাধারণত ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে
  • অনুমোদনের পর নতুন এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে
  • অনলাইনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসেও সরাসরি গিয়ে ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করা যায়

সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে জনগণ সহজেই তাদের এনআইডির তথ্য হালনাগাদ করতে পারেন।

NID correction এ জন্ম তারিখ সংশোধন 

এনআইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

অফলাইনে জন্ম তারিখ সংশোধনের প্রক্রিয়া

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (এসএসসি/এইচএসসি)
  3. পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
  4. বর্তমান এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

আবেদনের ধাপসমূহ

  1. ফরম-২ পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা অফিসে জমা দিতে হবে
  2. জন্ম তারিখ সংশোধনের ফি ২৩০ টাকা প্রদান করতে হবে
  3. আবেদন অনুমোদনের পর নতুন এনআইডি কার্ড পাওয়া যাবে

অনলাইনে জন্ম তারিখ সংশোধনের প্রক্রিয়া

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (এসএসসি/এইচএসসি)
  3. পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)

আবেদনের ধাপসমূহ

  1. https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে
  2. লগইন করে ড্যাশবোর্ডে “NID Services” থেকে “NID Correction” অপশন নির্বাচন করতে হবে
  3. সংশোধনের ধরন হিসেবে “Change Date of Birth” সিলেক্ট করতে হবে
  4. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে
  5. ফি পরিশোধ করতে হবে (২৩০ টাকা)। বিকাশ/রকেট/নগদ ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যায়
  6. সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিতে হবে

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হতে সাধারণত ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে
  • অনুমোদনের পর নতুন এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে
  • অনলাইনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসেও সরাসরি গিয়ে জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদন করা যায়

সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে জনগণ সহজেই তাদের এনআইডির তথ্য হালনাগাদ করতে পারেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন চেক করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডে নাম, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা সংশোধনের আবেদন অনলাইনে চেক করার নিয়ম নিম্নরূপ:

১. https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।

২. ড্যাশবোর্ডে “NID Services” থেকে “NID Correction” অপশন নির্বাচন করুন।

৩. আপনি যে ধরনের সংশোধনের আবেদন করেছেন (নাম/জন্ম তারিখ/ঠিকানা) সেটি সিলেক্ট করুন।

৪. আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করুন। সাধারণত আবেদন অনুমোদন হতে ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে।

৫. আবেদন অনুমোদন হলে আপনার প্রোফাইলে একটি ডাউনলোড লিংক দেখতে পাবেন। সেখান থেকে সংশোধিত এনআইডি ডাউনলোড করুন।

কিছু বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্যান্য ডকুমেন্টে (জন্ম নিবন্ধন, সার্টিফিকেট ইত্যাদি) যে নাম আছে সেটাই ব্যবহার করা হবে।
  • জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন, এসএসসি/এইচএসসি সনদ, পাসপোর্ট ইত্যাদি লাগবে।
  • ঠিকানা সংশোধনের জন্য বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র (বিদ্যুৎ বিল, খাজনার রশিদ ইত্যাদি) জমা দিতে হবে।

সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে জনগণ সহজেই তাদের এনআইডির তথ্য হালনাগাদ করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

নিম্নে টেবিল আকারে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের বিভিন্ন ধরন ও তার ফি উল্লেখ করা হলো:

সংশোধনের ধরনপ্রথমবারদ্বিতীয়বারতৃতীয়বার ও তার পরে
সাধারণ তথ্য সংশোধন২৩০ টাকা৩৪৫ টাকা৪৬০ টাকা
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন২৩০ টাকা৩৪৫ টাকা৪৬০ টাকা
ঠিকানা সংশোধন২৩০ টাকা৩৪৫ টাকা৪৬০ টাকা
জন্ম তারিখ সংশোধন২৩০ টাকা৩৪৫ টাকা৪৬০ টাকা
ভোটার আইডি কার্ডের নির্ধারিত মুল্য

বিস্তারিত আলোচনা:

  • সাধারণ তথ্য সংশোধন বলতে নাম, পিতা-মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম ইত্যাদি বোঝায়। এগুলো সংশোধন করতে প্রথমবার ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা এবং তৃতীয়বার ও তার পরে ৪৬০ টাকা ফি লাগে।
  • ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের মধ্যে পড়ে ধর্ম, রক্তের গ্রুপ, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি। এগুলো পরিবর্তন করতেও উপরের একই ফি প্রযোজ্য।
  • ঠিকানা সংশোধনের জন্য বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র (বিদ্যুৎ বিল, খাজনার রশিদ ইত্যাদি) জমা দিতে হয়। ফি একই।
  • জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন, এসএসসি/এইচএসসি সনদ, পাসপোর্ট ইত্যাদি লাগে। ফি অন্যান্য সংশোধনের মতোই।
  • স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে হয়।
  • সব ক্ষেত্রেই ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য। তাই প্রকৃত ফি হবে ২৩০, ৩৪৫ ও ৪৬০ টাকা।

সরকার এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে জনগণ সহজেই তাদের এনআইডির তথ্য হালনাগাদ করতে পারেন।

এনআইডি কিছু জরুরি প্রশ্ন

নিচে NID Correction বিষয়ে সাধারণ মানুষের কিছু প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো:

প্রশ্ন ১: NID Correction কি?

উত্তর: NID Correction হলো জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করার প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন ২: কোন কোন তথ্য NID তে সংশোধন করা যায়?

উত্তর: নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, স্বামী/স্ত্রীর নাম, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি সংশোধন করা যায়।

প্রশ্ন ৩: NID সংশোধনের জন্য কোথায় আবেদন করতে হয়?

উত্তর: অনলাইনে অথবা নিকটস্থ ইউনিয়ন/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হয়।

প্রশ্ন ৪: অনলাইনে NID সংশোধনের জন্য কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে?

উত্তর: https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন ৫: NID সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পিতা-মাতার NID ইত্যাদি লাগতে পারে।

প্রশ্ন ৬: নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত সনদ (JSC/SSC/HSC), পাসপোর্ট, বিয়ের কাবিননামা ইত্যাদি লাগে।

প্রশ্ন ৭: জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি লাগে।

প্রশ্ন ৮: ঠিকানা সংশোধন করতে কি কি লাগে?

উত্তর: বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র যেমন বিদ্যুৎ বিল, খাজনার রশিদ, নাগরিক সনদ ইত্যাদি লাগে।

প্রশ্ন ৯: রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে কি লাগে?

উত্তর: হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সংগৃহীত রক্তের গ্রুপের সনদপত্র লাগে।

প্রশ্ন ১০: NID সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি লাগে?

উত্তর: সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী ২৩০-৩৪৫ টাকা ফি লাগে। ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।

প্রশ্ন ১১: NID সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তর: সাধারণত ৩০-৪৫ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

প্রশ্ন ১২: অনলাইনে NID সংশোধনের আবেদন করার পদ্ধতি কি?

উত্তর: NID ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে লগইন করতে হবে। তারপর NID Correction অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন সাবমিট করতে হবে।

প্রশ্ন ১৩: NID সংশোধনের আবেদন করার পর কিভাবে বুঝবো আবেদন অনুমোদিত হয়েছে?

উত্তর: আবেদন অনুমোদিত হলে NID ওয়েবসাইটের প্রোফাইলে একটি ডাউনলোড লিংক পাওয়া যাবে। সেখান থেকে সংশোধিত NID ডাউনলোড করা যাবে।

প্রশ্ন ১৪: একই NID তে একাধিকবার সংশোধন করা যায় কি?

উত্তর: হ্যাঁ, একাধিকবার সংশোধন করা যায়। তবে প্রতিবার ফি বেশি লাগবে।

প্রশ্ন ১৫: NID সংশোধনের ফি কিভাবে প্রদান করতে হয়?

উত্তর: অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি মাধ্যমে ফি প্রদান করা যায়। অফলাইনে ব্যাংকে জমা দিতে হয়।

প্রশ্ন ১৬: NID Correction এর জন্য অফলাইনে কোথায় যেতে হবে?

উত্তর: নিকটস্থ ইউনিয়ন/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন ১৭: অফলাইনে NID সংশোধনের জন্য কোন ফরম পূরণ করতে হয়?

উত্তর: ফরম-২ পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হয়।

প্রশ্ন ১৮: NID Correction এর আবেদন বাতিল হলে কি করণীয়?

উত্তর: আবেদন বাতিল হলে কারণ জেনে নিয়ে আবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নতুন করে আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন ১৯: NID সংশোধনের আবেদন করতে বয়স কত হতে হবে?

উত্তর: ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ NID সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।

প্রশ্ন ২০: NID সংশোধন না করলে কি সমস্যা হতে পারে?

উত্তর: চাকরি, পাসপোর্ট, ব্যাংক হিসাব খোলা, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে NID এর তথ্য ভুল থাকলে সমস্যা হতে পারে।

প্রশ্ন ২১: NID সংশোধনের জন্য কোন কোন ভাষায় আবেদন করা যায়?

উত্তর: বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই আবেদন করা যায়।

প্রশ্ন ২২: বিদেশে থাকলে কিভাবে NID সংশোধন করা যাবে?

উত্তর: অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। ফি বিদেশ থেকেও অনলাইন পেমেন্ট করা যাবে।

প্রশ্ন ২৩: NID সংশোধনের জন্য কি আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হয়?

উত্তর: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতে হয় না। তবে স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হতে হবে।

প্রশ্ন ২৪: জীবিত ব্যক্তিকে NID তে মৃত দেখালে কি করণীয়?

উত্তর: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে NID দাখিল করতে হবে।