আমি প্রবাসী অ্যাপ: প্রবাসীদের জন্য সহযোগিতা মূল্যবান সেবা

আমি প্রবাসী অ্যাপ

আমি প্রবাসী অ্যাপ, এক অত্যন্ত কার্যকর ডিজিটাল প্লাটফর্ম, যা একটি অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টাল, যা বিদেশে চাকরির জন্য আগ্রহী বাংলাদেশী নাগরিকদের বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনে সহযোগিতা করবে, নিশ্চিত করবে বিদেশে গমন কর্মীদের আবেদন পত্র ও ফরম পূরণ সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা, প্রকৃত চাকরি অনুসন্ধান, সঠিক এজেন্সিগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন, এবং বিমানবন্দরে সকল সহায়তা মূলক কার্যাবলী, ও গন্তব্যতে নিশ্চিন্তে পৌঁছানো। 

এটি ব্যবহার করা যেমন সহজ, তেমনি এটি দূর করতে পারবে বহু প্রতিকূলতাকে যা একজন কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশে বিদেশে গমনেচ্ছুক দেশি ভাই বোনকে প্রায়শই মুখোমুখি হতে হয় | অ্যাপটি আপনি প্লে স্টোর থেকে অতি সহজেই  ডাউনলোড করতে পারবেন। 

যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে “আমি প্রবাসী অ্যাপ এ”

বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সেবা আরও সহজ ও ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে ‘আমি প্রবাসী (Ami Probashi)’ নামের একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। মুজিববর্ষের একটি উদ্যোগ হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং একটি বেসরকারি অ্যাপস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। নিজের মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করেই নেওয়া যাবে এই অ্যাপের সকল সেবা। 

 অ্যাপটি (৮ মে) অনলাইনে উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করব। এই আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীরা অনেক উপকৃত হবেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীদের বিদ্যমান ডাটাব্যাংকে অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিকে একটি ঐচ্ছিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে বিএমইটি’র বিদ্যমান সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেই নিজের স্মার্টফোন থেকে বিএমইটি’র ডাটাব্যাংকে অন্তর্ভুক্তির সুবিধা পাবেন।

মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অ্যাপটি নির্মাণ করেছে থেন সিস্টেমস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আশা করেন এই অ্যাপের সেবা প্রবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে প্রতারণা, মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং উচ্চ অভিবাসন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

প্লে স্টোর থেকে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর চালু করে বাংলা কিংবা ইংরেজি ভাষা নির্বাচন করতে হবে। মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল আইডি উল্লেখ করতে হবে। ফোন নম্বর দেওয়া হলে মোবাইলে তাৎক্ষণিক একটি কোড আসবে। সেটি অ্যাপে প্রবেশ করানোর পর কমপক্ষে ৩টি দেশ নির্বাচন করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ২৩টি দেশের কথা সেখানে উল্লেখ করা থাকলেও ‘অন্যান্য দেশসমূহ’ নামের সেকশনে প্রবেশ করলে আরও তালিকা পাওয়া যাবে।

এই ধাপের পর আসবে কোন বিষয়ে আপনার কারিগরি দক্ষতা আছে। এখানে শ্রমিক, ক্লিনার, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, শেফ, কন্সট্রাকশন ওয়ার্কারসহ আরও কতোগুলো অপশন আছে। যিনি যে কাজে দক্ষ সেটা নির্বাচন করে যেতে পারবেন পরের ধাপে।

এখানে উল্লেখ করতে হবে লিঙ্গ। তারপর বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রদান করলে মূল অ্যাপে প্রবেশ করা যাবে।

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজে নিবন্ধন করতে অ্যাপের মাধ্যমে ‘আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন’ ক্লিক করতে হবে। সেখানে প্রবেশ করলে নাম, পাসপোর্টের নম্বর, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং জন্মস্থান উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্টের তথ্যের পর ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের তথ্য, নমিনির তথ্য, জরুরি যোগাযোগের তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ এবং ভাষাগত যোগ্যতার তথ্য প্রবেশ করাতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাইয়ের পর বিএমইটি কার্ড ইস্যু করা হবে এবং সেটার তথ্য সম্বলিত কিউআর কোড অ্যাপে পাওয়া যাবে।

আরও যত সুবিধা

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া, চাকরি খোঁজাসহ আবেদনের অগ্রগতি এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কী কী করতে হবে তা জানা যাবে। তবে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু না করে কিংবা এর মাধ্যমে বিএমইটি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত না হলে অন্য সেবা পাওয়া যাবে না।

এ ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস, রিক্রুটিং এজেন্সি, জেলা জনশক্তি অফিস, মেডিক্যাল সেন্টার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ (টিটিসি) জিপিএস-এর মাধ্যমে দেখা যাবে। নির্দিষ্ট অফিসের ঠিকানায় কিংবা নামে ক্লিক করলে ম্যাপে সেটার অবস্থান দেখা যাবে।

তাছাড়া এই অ্যাপে বৈধভাবে বিদেশ যাত্রায় যেসকল ধাপ আছে তার একটি চেকলিস্টও করে দেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। যাতে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য একত্রে পাওয়া যায়।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে যেসব দেশে কর্মীরা সচরাচর যায় সেসব দেশে যাওয়ার নিয়মাবলী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আনুমানিক খরচ কতো সেটারও উল্লেখ আছে। তাছাড়া আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও আছে। পাশপাশি নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পাসপোর্টের কপি, চাকরির অনুমতিমত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র স্ক্যান করে সংরক্ষণের সুবিধাও আছে। কোথাও কোনও সমস্যায় পড়লে কোন দেশে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে সেটার বিস্তারিত তথ্য ও ইমেইল ঠিকানাও পাওয়া যাবে এই অ্যাপে।

অ্যাপটির নির্মাতারা জানান, বিদেশে চাকরির প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত একটি উদ্যোগ ‘আমি প্রবাসী’। এখন এই অ্যাপ নির্মাতা টিমটি বিদেশে চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করছে। যাতে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও সহজ, সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ করা যায়। এতে করে কর্মীরা জালিয়াতি ও  অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলেও জানান তারা।

আমি প্রবাসী রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম | বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন

দালাল ছাড়াই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার আবেদন করতে পারবেন Ami Probashi App থেকে। দেখুন আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ও বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।

কোন ধরনের দালালের সহযোগিতা ছাড়াই এখন থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে। আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রবাসীদের সুবিধার্থে আমি প্রবাসী অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়। এই অ্যাপসে একাউন্টে রেজিস্টার করে বিদেশে চাকরির জন্য সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

এখন সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় দালাল চক্রের কোন হস্তক্ষেপ নেই। আসুন দেখি নিজেই কিভাবে বিদেশ যাওয়ার আবেদন করবেন।

আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে Ami Probashi অ্যাপ ইন্সটল করুন। মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন ও Password Set করার পর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর যোগ্যতা ও পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে BMET রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করুন। ৭২ ঘন্টা পর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শেষে ফি পেমেন্ট করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

আমি প্রবাসী অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর আপনাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনারা Ami Probashi অ্যাপ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়াও এই অ্যাপসে Covid-19 টিকা রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু আছে। আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো:

১. আমি প্রবাসী অ্যাপ ডাউনলোড করুন

গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Ami Probashi লিখে সার্চ করলে সর্বপ্রথম এই অ্যাপ্লিকেশনটি চলে আসবে। অথবা আমি প্রবাসী অ্যাপ টি ডাউনলোড করার জন্য Ami Probashi এখানে ক্লিক করুন। অ্যাপসটি ডাউনলোড সম্পন্ন হলে আপনার ফোনে ইন্সটল করুন।

২. মোবাইল ভেরিফিকেশন ও পাসওয়ার্ড সেট করুন

আমি প্রবাসী অ্যাপসে প্রবেশ করার পরে প্রথমে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। একটি সচল মোবাইল নাম্বার বসিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। উক্ত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে। যথাক্রমে কোডটি বসিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। এরপরে একটি পাসওয়ার্ড বসিয়ে (মিনিমাম ৬ ক্যারেক্টার) “পরবর্তী”  বাটনে ক্লিক করুন।

৩. দক্ষতা ও ব্যক্তিগত তথ্য দিন আমি প্রবাসী অ্যাপ এ

পরবর্তীতে এখান থেকে আপনাকে মিনিমাম তিনটি দেশ নির্বাচন করতে হবে। আপনি কোন কোন দেশে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন কয়েকটি দেশ সিলেক্ট করুন। আপনাদের সুবিধার্থে চাইলে সবগুলো দেশ সিলেক্ট করতে পারেন। দেশ সিলেক্ট সম্পূর্ণ হলে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার দক্ষতা পেজ থেকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন কোন কাজের উপরে অভিজ্ঞ আছেন। তথা আপনি বিদেশে গিয়ে কোন কাজগুলো করতে ইচ্ছুক । আপনার দক্ষতা সিলেক্ট করে “পরবর্তী”  বাটনে ক্লিক করুন।

পরবর্তীতে আবেদনকারীর কিছু অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,

  • লিঙ্গ ও বয়স;
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা;
  • বর্তমানে বিদেশে কর্মরত আছেন কিনা;
  • বিএমইটি স্মার্ট কার্ড আছে কিনা।

সকল ইনফরমেশন যথাযথভাবে প্রদান করে “সম্পন্ন” বাটনে ক্লিক করুন।

এরপরে আপনাদের সামনে POP-UP আকারে একটি নোটিফিকেশন শো করবে “ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করে দিন।

যদি আপনারা পূর্বের ধাপ থেকে বিএমইটি আইডি কার্ড আছে সিলেক্ট করেন তাহলে পুনরায় বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই। যদি আপনাদের বিএমইটি আইডি কার্ড না থাকে তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপ এ প্রবেশ করার পরে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে আপনি কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক এটা সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রথমে পাসপোর্ট স্কান করতে হবে। পাসপোর্ট স্ক্যান করার জন্য পাসপোর্ট স্ক্যান করুন বাটনে ক্লিক করুন।

১. পাসপোর্ট এর তথ্য দিন

এরপরে সরাসরি ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট এর ছবি স্ক্যান করতে পারেন অথবা গ্যালারি থেকে আপলোড করতে পারবেন। পাসপোর্ট এর ছবি আপলোড সম্পূর্ণ হলে অটোমেটিক ভাবে পাসপোর্ট নাম্বার বসে যাবে। এবং বাকি তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।

  • আপনার নাম;
  • পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ;
  • পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ;
  • জাতীয় পরিচয় পত্র (ঐচ্ছিক)
  • জন্মস্থান;
  • জন্ম তারিখ;
  • আপনি পুরুষ না মহিলা সিলেক্ট করুন।

এরপরে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন। যথাক্রমে এর পরের পেইজে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।

২. ব্যক্তিগত তথ্য দিন

এখান থেকে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যপ্রধান করতে হবে। 

  • পিতার নাম।
  • মাতার নাম।
  • বৈবাহিক অবস্থা। (বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে হবে)
  • ধর্ম।
  • উচ্চতা।
  • ওজন কত কেজি।

যথাক্রমে তথ্যগুলো প্রদান করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

৩. যোগাযোগের তথ্য দিন

এই ধাপ থেকে আপনাকে যোগাযোগের সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। তথ্যগুলো অবশ্যই পাসপোর্ট অনুসারে হতে হবে।

  • মোবাইল নাম্বার।
  • ইমেইল এড্রেস।
  • স্থায়ী ঠিকানা। 

এরপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

৪. নমিনির তথ্য দিন

  • নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক।
  • নমিনির নাম।
  • নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র (ঐচ্ছিক)
  • নমিনির মোবাইল নাম্বার।
  • নমিনির পিতার নাম।
  • নমিনির মাতার নাম।

এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে প্রদান করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

৫. জরুরী যোগাযোগ তথ্য ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিন

জরুরী যোগাযোগের তথ্য প্রদান –

  • সম্পর্ক সিলেক্ট করুন।
  • নাম প্রদান করুন।
  • সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করুন।

পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিতে হবে।

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • পাশের সাল।
  • প্রতিষ্ঠান বা স্কুল।
  • বোর্ড।
  • গ্রেড/ডিভিশন

সিলেক্ট করে জমা দিন বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে যদি আপনারা আরও শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য প্রদান করতে চান তাহলে “+আরো যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করে একইভাবে তথ্য প্রদান করে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ বসিয়ে দিন। এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে প্রদান করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

৬. আবেদন ফরম সাবমিট করুন

এই ধাপ থেকে আপনাকে ভাষাগত যোগ্যতা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন ভাষায় পারদর্শী এবং মৌখিক দক্ষতা ও লিখিত দক্ষতা সিলেক্ট করুন। অনেকগুলো ভাষায় পারদর্শী হলে “+আরো যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করে যথাক্রমে ভাষাগুলো সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

এরপরে তথ্য যাচাই নামে একটি নোটিফিকেশন আসবে এখান থেকে আপনারা চাইলে রিভিউ করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন অথবা সরাসরি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে আপনার পাসপোর্ট যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে এটি সম্পূর্ণ হতে ৭২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। এই তথ্যের সাথে একমত থাকলে “ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করুন।

এখন আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস পেন্ডিং আছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হবে। উক্ত সময়ের পরে আমরা আবেদন ফি পরিশোধ করতে পারবেন।

৭. আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন ফি পেমেন্ট করুন

পুনরায় ৭২ ঘন্টা পরে আমি প্রবাসী অ্যাপ এ প্রবেশ করুন। আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। পরবর্তী ধাপে প্রবেশের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াধীন অপশনে ক্লিক করুন।

এখান থেকে যদি আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস ভেরিফাইড দেখায় তাহলে নিচে পেমেন্ট করুন একটা বাটন থাকবে। আবেদন ফি পরিশোধের জন্য “পেমেন্ট করুন” বাটনে ক্লিক করুন। মাত্র ৩০০ টাকা প্রদান করে আপনার রেজিস্ট্রেশনটি সম্পন্ন করতে পারবেন। অনলাইনে সাধারণত দুইটি পদ্ধতিতে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।

  • বিকাশ
  • নগদ

যেকোনো একটি পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করে যথাক্রমে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন।

অভিনন্দন সফলভাবে আপনার বি এম ই টি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এখান থেকে “ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তীতে আপনাদের সামনে সদ্য রেজিস্ট্রেশনকৃত বিএমইটি কার্ডের অনলাইন কপি চলে আসবে এবং আপনাদের বিএমইটি কার্ডের নাম্বার শো করবে।

প্রবাসী ট্রেনিং সার্টিফিকেট কি? 

প্রবাসী ট্রেনিং সার্টিফিকেট এর অপর নাম হলো PDO সার্টিফিকেট। সাধারণত বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট কাজে লাগানো হয়। বলে রাখা ভালো মূলত “আমি প্রবাসী” নামক একটি ওয়েবসাইট থেকে এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

আমি প্রবাসী” কোম্পানি পরিচিতি

আমি প্রবাসী মূলত সরকার অনুমোদিত মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টাল। যা প্রবাসীদের বিদেশে কর্মসংস্থান লাভে সহায়তা করে। খরচ বাঁচাতে এবং মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় বাড়তি সুবিধা পেতে সাধারণত এই ওয়েবসাইটের সাহায্য নেওয়া হয়। মোটকথা বিদেশী নিয়োগকর্তা এবং নিয়োগকারী সংস্থাগুলি বাংলাদেশ থেকে ব্যাক্তির নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করার কাজে এই কোম্পানি কাজ করে থাকে। 

“আমি প্রবাসী অ্যাপ” কিভাবে ব্যবহার করবেন? 

“আমি প্রবাসী” একটি অ্যাপ আকারে গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করা আছে। বাংলা বা ইংরেজিতে যেকোনো ভাষাতে লিখে সার্চ করলেই এই অ্যাপ শো করবে এবং আপনি সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাছাড়া “আমি প্রবাসী” এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তো রয়েছেই। এক্ষেত্রে গুগলে গিয়ে সার্চ বক্সে amiprobashi.com লিখে পেস্ট করলেই হবে। ওয়েবসাইটটি আপনার সামনে শো করবে। 

প্রবাসী ট্রেনিং সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন? 

প্রবাসী ট্রেনিং সার্টিফিকেটটিকে মূলত অনলাইন থেকে Download করে ব্যবহার করতে হয়। এই সার্টিফিকেটের সাহায্যে যে কেউই কোন ধরনের দালাল ছাড়া বিদেশে যেতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই সার্টিফিকেট কিভাবে সংরক্ষণ করবেন: 

  • গুগল সার্চ বক্সে amiprobashi.com পেস্ট করে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
  • ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার Search করে নিন
  • এরপর আপনি যদি আমি প্রবাসী অ্যাপ এ রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন তার লগইন ডিটেইলস দিয়ে নিন
  • মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ১০০ টাকা ফি প্রদান করুন
  • যখনই আপনার পেমেন্ট পরিশোধিত করা শো হবে তখনই আপনাকে সার্টিফিকেট অপশনে নিয়ে আসা হবে
  • এক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় লগইন করে নিন
  • এরপর Pre-Departure Orientation অপশনে যান
  • সেখান থেকে সরাসরি সার্টিফিকেটটি প্রিন্ট করতে সার্টিফিকেটটির পিডিএফ ভার্সন ডাউনলোড করে নিন এবং কম্পিউটার শপে গিয়ে প্রিন্ট করে নিন

আমি প্রবাসী” এনরোলম্যান্ট সার্টিফিকেট কিভাবে পাবো?

আমি প্রবাসী থেকে যেহেতু ট্রেনিং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেহেতু এতে ট্রেনিং নেওয়ার একটা ব্যাপার স্যাপার থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে Pre-departure Orientation সেশন বুক করতে হবে। বুক করা হয়ে গেলে দেওয়া হবে এনরোলমেন্ট কার্ড। যা উক্ত অ্যাপস বা ওয়েবসাইট থেকে সহজেই ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। 

ব্যাপারটা আরেকটু সহজ করে যদি বলি তবে বলবো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে এনরোলমেন্ট কার্ডটি ডাউনলোড করা যায়। আর এই কার্ড ট্রেনিং ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার সময় লাগবেই লাগবে। 

যারা প্রবাসে পাড়ি জমাতে চান এবং দ্রুত ও ভালো কাজ পেতে চান তারা অবশ্যই এই প্রবাসী ট্রেনিং সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নেবেন। আশা করি এই PDO Certificate Download এর বিষয়টি আপনার অনাগত প্রবাস জীবনকে আরো সহজ করে দেবে। 

প্রবাসী সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আমি প্রবাসী অ্যাপ এ লগইন করুন। এরপর Pre-departure Orientation অপশনে যান। Download Certificate বাটনে ক্লিক করে সার্টিফিকেট ফি 100 টাকা পেমেন্ট করুন। সবশেষে আবার Download Certificate বাটনে ক্লিক করে Ami Probashi Certiciate ডাউনলোড করতে পারবেন।

আপনার সুবিধার্থে Ami Probashi Certificate Download করার বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি নিচে ছবিসহ দেখানো হলো। আপনি যদি এখনো আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করে না থাকেন, Ami Probashi Registration করে নিন।

FAQ (কিছু সাধারণ জিজ্জাসা)

প্রশ্ন: আমি প্রবাসী অ্যাপ কি?

উত্তর: “আমি প্রবাসী” অ্যাপ হলো একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যা প্রবাসীদের সাথে সংযোগ ও যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

প্রশ্ন: আমি প্রবাসী অ্যাপ কেন ব্যবহার করব?

উত্তর: “আমি প্রবাসী” অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার দেশের সাথে সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারবেন, সামাজিক যোগাযোগ করতে পারবেন, দর্শনীয় স্থানের তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারবেন, অন্যান্য প্রবাসীদের সাথে সহযোগিতা করতে পারবেন ইত্যাদি।

প্রশ্ন: কিভাবে “আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে?

উত্তর: “আমি প্রবাসী” অ্যাপ ব্যবহার করতে আপনার মোবাইল ডিভাইসের অ্যাপস্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং একাউন্ট তৈরি করুন। এরপর আপনি অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রশ্ন: আমি “আমি প্রবাসী অ্যাপ এ কী ধরনের সাহায্য পাব?

উত্তর: “আমি প্রবাসী” অ্যাপে আপনি প্রবাসীদের জন্য উপযুক্ত তথ্য, সামাজিক যোগাযোগ, পরামর্শ, সহযোগিতা, সাহায্য, এবং বিভিন্ন সেবা পেতে পারবেন।

প্রশ্ন: আমি “আমি প্রবাসী অ্যাপ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি?

উত্তর: “আমি প্রবাসী” অ্যাপে সহযোগিতা করতে আপনি আপনার কাজের বিবরণ অনুমোদন করতে হবে এবং আপনি অন্যান্য প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।