কিভাবে ই-পাসপোর্ট আবেদন নিজেই করা যাবে
বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া নিজেই কিভাবে আবেদন করা যাবে এবং সর্বনিম্ন কত দিনে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে । আবেদন ফি দেওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি বিষয় গুলো জেনে নিন। বাংলাদেশের এই চতুর্থ প্রজন্মের শেষ ধাপে চালু হয়েছে ইলিক্ট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট। নাগরিক কোন কাজে দেশের বাহিরে যেতে চাইলে প্রথম যে বিষয় টি মাথায় আসে সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট ।
পূর্বের সকল ভোগান্তি এবং সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ১১৯ তম দেশ হিসেবে চালু করেছে ই-পাসপোর্ট। এই ই-পাসপোর্ট অতিরিক্ত ফি প্রদানের মাধ্যমে ৭২ ঘন্টার ভিতর পাসপোর্ট হাতে পেতে পারেন। এই পদ্ধতিতে কোন সত্যায়িন থাকছে না।
তবে পুলিশ ভেরিফিকেশনর পর ই পাসপোর্ট পার্থীর হাতে পাবে। পাসপোর্টের সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর করা হয়েছে। ৪৮ পাতার এই পাসপোর্টের ভ্যাট ছাড়া ৫ বছরের জন্যে সাধারণ ফি নির্ধারন করা হয়েছে ৩৫০০ টাকা এবং ১০ বছরের জন্যে ৫০০০ হাজার টাকা। জরুরি ফি ৫ বছরের জন্যে ৫৫০০ হাজার এবং ১০ বছরের জন্যে ৭০০০ হাজার এবং অতি জরুরি ৫ বছরের জন্যে ৭৫০০ হাজার এবং ১০ বছরের জন্যে ৯০০০ হাজার।
আবেদন ধরন | মেয়াদ | আবেদন ফি |
সাধারণ | ৫ বছর | ৩৫০০ টাকা |
জরুরি | ৫ বছর | ৫৫০০ টাকা |
অতি জরুরি | ৫ বছর | ৭৫০০ টাকা |
সাধারণ | ১০ বছর | ৫০০০ টাকা |
জরুরি | ১০ বছর | ৭০০০ টাকা |
অতি জরুরি | ১০ বছর | ৯০০০ টাকা |
ই-পাসপোর্ট দুইভাবে আবেদন করা যায়
১ অফলাইন বা সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করে
২ অনলাইন বা নিজেই অনলাইনে ফর্ম পূরন করে
অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি খুব সহজ এবং ভেজাল মুক্ত। চাইলে যে কেউ সরকারি নিজেস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারে।
ফি প্রদান করার পদ্ধতি
অনলাইনে আবেদন করার আগে অবশ্যই নিজেস্ব পাসপোর্ট ধরন অনুযায়ী ফি বাবদ ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে। ব্যাংকে টাকার স্লিপ জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই স্লিপে পার্থীর নাম যেমন পাসপোর্টে দেখতে চাই তেমন ই লিখতে হবে। ফি জমা দেওয়ার ব্যাংক হিসেবে সোনালী, প্রিমিয়ার ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক অথবা এশিয়া ব্যাংকে জমা দিতে পারেন।
অনলাইন আবেদন করার সময় ব্যাংকের নাম এবং স্লিপ নাম্বার সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফর্মটি পূরণ করার সময় লাল স্টার বক্সগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ফর্মটি দুইটি পেইজে দুইটি করে প্রিন্ট করতে হবে।
ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট ও রঙিন ৫৫×৪৫ সাইজের
ছবি আঠা দিয়ে ( পিন নয়) লাগাতে হবে।
ফর্ম দুইটি অবশ্যই সত্যায়িত করতে হবে। (যাদের দিয়ে সত্যায়িত করতে পারবেন–সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগন,গেজেট কর্মকর্তা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অথবা জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার সম্পাদক)
সত্যায়িত করে আবেদনের ১৫ দিনের ভিতর সরাসরি নিজ জেলা পাসপোর্ট অফিস অথবা আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম সহ যোগাযোগ করতে হবে।
পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলা, চোখের আইরিশ স্ক্যান, ফিংগার পিন এবং ডিজিটাল সিগনেচার করতে হবে। উল্লেখ্য যে, পার্থীকে অবশ্যই সাদা জামা ব্যাতিত অন্য যে কোন রঙের জামা পড়ে যেতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন জেনে নিন