একনজরে কসবা উপজেলা
কসবা উপজেলার নামকরণের : কম্বা আরবি শব্দ ‘ ক্সবহ ‘ থেকে এসেছে কসবা ‘ অর্থ ‘ উপশহর ‘ , সমৃদ্ধ বসতি , উন্নত গ্রাম , ভদ্ৰপল্লি । লােদি সুলতানদের সময়ে ‘ কসবা ’ ছিল নিয়মিত প্রাশাসনিক একক যা সচরাচর দুর্গ বা স্থায়ী সামরিক ছাউনিবিহীন ছােট শহর। সমপর্যায়ের ছিল আর দুর্গ সংবলিত কসবার পরিচিত ছিল খিত্তা হিসেবে । ( ভূমি ও ভূমি রাজস্ববিষয়ক শব্দকোষ – কাবেদুল ইসলাম , মাওলা ব্রাদার্স , ঢাকা , ২০০৩ , পৃ . ২৭ / ২৮ । উল্লেখ্য কৃসব ’ শব্দের সঙ্গে ‘ আ ‘ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে কূসবা > কস্বা হয়েছে। কসবা বিজনা নদীর পূর্বতীরে ত্রিপুরা মহারাজদের দর্গ ও পশ্চিম তীরে মােঘলদের দূর্গ ছিল । দুর্গগুলাে স্থাপিত হয়েছিল পঞ্চদশ শতাব্দিতে । ১৮৫৪ সালে ত্রিপুরায় ভূমি । জরিপের পর ১৯৫৮ সালে নূরনগর পরগনার নামকরণ করা হয় কসবা । রাজমালা মতে , কসবা একসময় স্থায়ী সামরিক রাজধানী ছিল । কসবা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্গ ছিল । ১৮৫৮ সালে কসবায় বিভিন্ন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ ছিল । তখন সামরিক ছাউনিবিহীন ছােট শহর ছিল বলেই তার নাম কসবা । এ মতটিই সবচেয়ে গ্রহণযােগ্য