গাজিরকান্দি গ্রামটি কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত একটি অন্যতম গ্রাম। এই গ্রামের দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। ইহা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ১১ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্ভুক্ত। এই গ্রামের ভোটার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। গ্রামটি উত্তর এবং দক্ষিণ লম্বালম্বিভাবে অবস্থিত। এই গ্রামের উত্তর দিকে রয়েছে বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতলী গ্রাম, দক্ষিণ দিকে বীরগাঁও ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রাম পূর্ব দিকে রয়েছে পাগলা নদী এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে বীরগাঁও ইউনিয়ন।
গ্রামের নামকরণের ইতিহাস :
গ্রামের নামকরণ নিয়ে বহু মতবাদ রয়েছে তবে প্রচালিত আছে বহু বছর আগে গাজি নামে এক ব্যাক্তি এই গ্রামে প্রথম বসতি স্থাপন করে। পরবর্তীতে এই ব্যাক্তির নাম অনুযায়ী গ্রামের নাম হয় গাজিরকান্দি। অন্যদিকে আরেকটি মতবাদ রয়েছে। ঐ গাজি নামের ব্যাক্তি অনেক সাহসী ছিলেন। তখন গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে এক বড় জঙ্গল ছিল (এখন পুকুর হয়ে গেছে)। সেই জঙ্গলে একদিন গাজি নামে ঐ ব্যাক্তি কে ন্যাড়া চিতা বাঘ আক্রমণ করে। সেই বাঘের সাথে পাল্লা দিয়ে সে অনেক সময় কোস্তাকুস্তি করেন। এক পর্যায়ে বাঘের সাথে কোস্তাকুস্তি করে তিনি বাঘকে পরাজিত করেন। যেহেতু ঐ ব্যাক্তি বাঘের সাথে লড়াই করে জয়ী বা গাজি হন সেই মতবাদে অনুযায়ী এই গ্রামের নাম রাখা হয় গাজিরকান্দি।
গ্রামের উল্লেখযোগ্য স্থান এবং বস্তু :
বাগের মোড়ে বাজার
বাগের কবরস্থান, বড় তুলা গাছ এবং ঈদগাহ মাঠ।
গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বড় পুকুর (কুর)
৫ টি মসজিদ
১ টি প্রাইমারি স্কুল
১ টি মাদ্রাসা – হাফিজিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা
বাড়ি – মাদারি মোল্লা বাড়ি, মোল্লা বাড়ি, বড় বাড়ি,মীর বাড়ি, কাজী বাড়ি, মবল্লা বাড়ি, ইত্যাদি
হাটি -উত্তর হাটি, মধ্য হাটি এবং দক্ষিণ হাটি
গ্রাম্য ডাক্তার
ইয়াকুব ডাক্তার, আক্তার ডাক্তার, করিম ডাক্তার, খলিফা ডাক্তার, বিল্লাল ডাক্তার উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ এবং পেশা :
বাবুল মিয়া — ব্যাবসায়ী
আজাদ মোল্লা — ব্যাবসায়ী
রফিক মিয়া — সরদার
হিরন মোল্লা — সরদার
সুদন মিয়া — সরদার
মাশুকুর রহমান মাশুক — সাবেক চেয়ারম্যান
আবুল বাদশা — সরদার
ধন মিয়া — সাবেক মেম্বার