অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা আমাদের ভোটার আইডি কার্ড চেক করি। কিন্তু তখন সঠিক পদ্ধতি না জানার কারনে অনেক সময় নষ্ঠ করি সঠিক প্রসেস টি জানার জন্যে তাই ভাবলাম আজকে আমি আপনাদের সাথে NID Card Check করা নিয়ে একটি কন্টেন্ট শেয়ার করি ।
আপনি কি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেয়েছেন? এখন কি ভোটার আইডি কার্ড চেকিং অ্যাপের মাধ্যমে জানতে চান আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আসল না নকল? তাছাড়া বিভিন্ন কারণে অনেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে চাই।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়েন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন আপনার মনে থাকবে না। আশা করি সহজেই আপনি আপনার সকল প্রশ্ন এবং সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
আপনি যখন উল্লিখিত ওয়েবসাইট প্রবেশ করে একটা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিবেন। তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন থেকে শুরু করে এন আইডি সংক্রান্ত সকল কাজ ও তথ্য এখান থেকেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনার সম্পূর্ণ ডিটেইলস দেখা যাবে এখানে একটা একাউন্টে NID registration করলে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বিভিন্ন কারণে:
সুতরাং, নিজের বা অন্যদের ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করা প্রয়োজন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কারণে যেমন নকল চেক, তথ্য সঠিকতা যাচাই, নতুন কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন সেবা গ্রহণ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড রিলেটেড যেকোন অনলাইন সেবা আমরা services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেতে পারি যা Bangladesh NID Application System নামে পরিচিত।
একটি ভোটার আইডি কার্ড অরিজিনাল নাকি নকল, এটা জানতে হলে এনআইডি কার্ড চেক এর কোন বিকল্প নেই। কেননা নকল ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে না, যার কারণে সার্চ করে পাওয়া যাবে না।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয় চেক করার নিয়ম নিচে অবশ্যই আপনাদের জানিয়ে দিবো। আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে এসএমএস, ভোটার আইডি কার্ড চেকিং অ্যাপ এবং ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কম্পিউটার অথবা মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
আর্টিকেলে যে প্রক্রিয়ায় আপনাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বের করে দেখাবো, এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করলে আপনি ব্যক্তির ছবি, পিতার নাম, মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ সহ সকল তথ্য দেখতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পূর্বে আপনার এই বিষয়ে আগে ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার যে, অনলাইনে কোন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসন্ধান করতে চাইলে কি কি লাগবে? এ ব্যাপারে নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রয়োজন হবে:
সুতরাং, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর এবং কখনও কখনও ভোটার নিবন্ধন স্লিপ/ফর্ম নম্বর, ক্যাপচা কোড ও ঠিকানা প্রদান করে আপনি ওয়েবসাইট, NID wallet বা অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই নিজের বা অন্যদের ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জানা যায়:
সুতরাং, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করলে ব্যক্তির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন নাম, বয়স, ঠিকানা, ছবি, বৈবাহিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি জানা যায় এবং পরিচয়পত্রটি আসল নাকি নকল তাও বোঝা যায়।
নিচে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার সহজ নিয়ম আপনাদের দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আপনি চাইলে যেকোন একটি নিয়মে সহজে অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য বের করে দেখতে পারেন।
যেমন –
এখন এই নিয়মের বিষয়ে এক এক করে ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এসএমএস পদ্ধতিতে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
১. মোবাইল থেকে একটি নতুন এসএমএস লিখুন এভাবে:
NID <স্পেস> আপনার ফর্ম নম্বর <স্পেস> DD-MM-YYYY (জন্মতারিখ)
উদাহরণস্বরূপ: NID 123456789 01-01-1990
২. এই এসএমএসটি 105 নম্বরে পাঠান।
৩. কিছুক্ষণ পরে আপনি একটি ফিরতি এসএমএস পাবেন যাতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID নম্বর) থাকবে।
৪. এই পদ্ধতিতে আপনি শুধুমাত্র আপনার NID নম্বরটি জানতে পারবেন। নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য পাবেন না।
৫. যদি আপনি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং এখনও আপনার NID নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ফর্ম নম্বর দিয়ে NID নম্বর জানতে পারবেন।
৬. এই পদ্ধতিটি সহজ এবং দ্রুত। তবে এতে শুধুমাত্র NID নম্বরটিই পাওয়া যাবে। পুরো তথ্য জানতে হলে অন্যান্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
সুতরাং, এসএমএস পদ্ধতিতে আপনি মোবাইল থেকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এসএমএস পাঠিয়ে সহজেই আপনার NID নম্বর জানতে পারবেন। এটি একটি দ্রুত ও সুবিধাজনক পদ্ধতি।
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
১. গুগল প্লে স্টোর থেকে “ভোটার আইডি চেক” নামের অ্যাপটি ইনস্টল করুন।
২. অ্যাপটি খুলুন এবং “জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর” ও “জন্মতারিখ” ইনপুট বক্সগুলোতে সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
৩. এরপর “পরিচয়পত্র যাচাই” বাটনে ক্লিক করুন। যদি তথ্যগুলো সঠিক থাকে, তাহলে পরবর্তী পেজে ব্যক্তির নাম, পিতা-মাতার নাম এবং ছবি দেখতে পাবেন।
৪. কখনও কখনও অ্যাপটি একটি ক্যাপচা কোড চাইতে পারে, যা আপনাকে পূরণ করতে হবে।
৫. যদি আপনি নতুন ভোটার হন এবং এখনও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে অ্যাপে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপের ফর্ম নম্বর প্রদান করতে হবে।
৬. এই পদ্ধতিতে আপনি শুধুমাত্র নাম, পিতা-মাতার নাম এবং ছবি দেখতে পারবেন। পুরো তথ্য দেখার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
সুতরাং, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি নিজের বা অন্যদের ভোটার আইডি কার্ডের মৌলিক তথ্য যাচাই করতে পারবেন
2024 সালের ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়. নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আপনি ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন:
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
১. প্রথমে ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং “নাগরিক কর্ণার” এ ক্লিক করুন
২. এরপর “রেজিস্ট্রার করুন” বাটনে ক্লিক করে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করুন
– জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
– জন্মতারিখ
– মোবাইল নম্বর
৩. মোবাইলে আসা OTP কোডটি প্রদান করে একাউন্ট ভেরিফাই করুন
৪. এরপর আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করুন এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন
৫. এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি, নাম, পিতা-মাতার নাম, লিঙ্গ এবং স্থায়ী ঠিকানা দেখতে পারবেন
৬. যদি আপনি নতুন ভোটার হন এবং এখনও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ভোটার নিবন্ধন স্লিপের ফর্ম নম্বর দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
সুতরাং, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। এটি একটি নিরাপদ ও আনুষ্ঠানিক উপায়।
অন্যান্য বেসরকারি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করেও ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল nidcheck.com, nidseba.com ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
১. প্রথমে উক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করুন। যেমন nidcheck.com
২. এখানে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রদান করতে হবে।
৩. কিছু ওয়েবসাইটে আপনাকে ক্যাপচা কোড প্রদান করতে হতে পারে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া হিসেবে।
৪. এরপর “চেক করুন” বা “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।
৫. এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি, নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং জন্মতারিখ দেখতে পারবেন।
৬. কিছু ওয়েবসাইটে আপনাকে মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হতে পারে যেখানে একটি OTP কোড আসবে। সেই OTP কোডটি প্রদান করে আপনাকে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।
৭. এছাড়াও কিছু ওয়েবসাইটে আপনাকে ফেস ভেরিফিকেশন করতে হতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, এসব বেসরকারি ওয়েবসাইটগুলো সরকারি নয়। তাই এখানে প্রদত্ত তথ্যগুলোর নিরাপত্তা ও নিভ’রযোগ্যতা নিশ্চিত করা কঠিন। সুতরাং সরকারি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করাই ভাল।
ভোটার আইডি কার্ড হল বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইস্যু করা হয়। এটি একজন নাগরিকের ভোটার হিসেবে পরিচয় প্রমাণ করে এবং নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়াও এটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে:
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আবেদন করলে পরবর্তীতে তথ্য সংশোধন করা হবে।
১৮ বছর বয়স পূর্ণ হলে নতুন ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা যায়। এর জন্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বা অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আবেদন করলে ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যাবে।
হারানো ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফি প্রদান সাপেক্ষে নতুন ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হবে।
আপনি কি সম্প্রতি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন? আপনার পাসপোর্ট আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে চাচ্ছেন? এই…
১. ভূমিকা ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হলো বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যা একটি ইলেকট্রনিক চিপ সহ ইস্যু…
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে, জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার নিয়ম জানা এবং তা অনুসরণ করা প্রতিটি বাংলাদেশি…
জন্ম নিবন্ধন সনদ হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস যা প্রত্যেক নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করে। এটি…
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আপনি সহজেই ঘরে বসে আপনার Birth certificate check…
চলুন জেনে নেয় ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস সম্পর্কে , ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট…