বানিপাকুরিয়া গ্রাম নয়ানগর ইউনিয়ন
গ্রামের অবস্থানঃ আমাদের এই গ্রামটি ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপু জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৫ নং নয়ানগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মালঞ্চ পোস্ট অফিসের আওতাধীন,,আমাদের এই পোস্ট অফিসের কোডটি হলো ২০১২,,এটি জালাপুর জেলা শহর থেকে মেলান্দহ গামী হাইওয়ে রোডে ১২ কিঃমিঃ দূরে এবং মেলান্দহ উপজেলা থেকে ৫ কিঃমি দূরে মালঞ্চ গ্রামের সন্নিকটে অবস্থিত।
গ্রামের নাম করণঃ আমাদের এই গ্রামের নাম করণ, এই গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে গেছে ভ্রমপুত্র নদীর একটি শাখা এই নদীর বিশাল পাক থেকে নাম করণ করা হয় বানিপাকুরিয়া গ্রাম,
এই গ্রামের সীমান্তবর্তী গ্রামঃ আমাদের এই গ্রামের সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে
পশ্চিমে রয়েছে উদনাপাড়া, পূর্বে অবস্থিত সাধুপুর,উত্তরে রয়েছে দাগী গ্রাম,দক্ষিনে রয়েছে মামাভাগিনা গ্রাম,
আমার গ্রামের সৌন্দর্য ঃ
গ্রাম মানেই শান্তির ঠিকানা,গ্রাম মানেই একটু ভালোলাগা একটু ভালোবাসার জায়গা,গ্রাম মানেই স্নেহ মায়া মমতায় বেচে থাকার প্রেরণা, গ্রাম প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের সৃষ্টি, বিধাতার সৃষ্টি যে এতো সুন্দর তা না দেখলে আপনে বুঝতে পারবেন না। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমাারোহ,ফসলের উপর স্নিগ্ধ আলো বাতাসের দোল বারবার মন মুগ্ধ করে দেয়। আজ যায়া সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের শুরুটা হয়েছে এই গ্রাম থেকে,এই গ্রাম নিয়ে কত কবি সাহিত্যিক লেখেছে কত কাব্য,কত শিল্পি গাহিয়াছে গান নানা সুরে সুরে,গ্রামের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে কবিতার পাতায় পাতায়,
নানা ঋতুতে গ্রামের রুপঃ বাংলার নানান ঋতু গ্রামে নিয়ে আসে নানা রকম সৌন্দর্যের সমারোহ,প্রতিটি ঋতুর জন্য থাকে ভিন্ন ভিন্ন আচার ও অনুষ্ঠান,যেমন গীষ্ম কালে নানা সবুজ ফসলের বাহার,শীতকালে খেজুরের ঠান্ডা রস খাওয়ার তৃপ্তি, বর্ষাকালে হাঠুপানিতে মাছ ধরার হিডিক,বসন্তকালে ফুটে উঠে বাহারি রংঙের ফুল,,কোকিলের কন্ঠে বেজে উঠে মধুর সুরের গান,শরতের কাশফুল দিয়ে তৈরী হয় এক অপার সৌন্দর্যে বেলা ভূমি,
গ্রাম নিয়ে সৌন্দর্যের শেষ কথাঃ গ্রাম যে শুধু সৌন্দর্যে ভরপুর তা কিন্তু নয়,বরং গ্রামের সব কিছুই সুন্দর,গ্রামের সামাজিক ধর্মীয় এবং নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয় সুন্দর ভাবে,,,
আমার গ্রামের পরিধি ও জন সংখ্যা ঃ আমাদের এই গ্রামে মোট ১২০০-১২৭৫ জন লোকের বসবাস, ৬৭৭ জন ভোটার রয়েছে,৩২০ টি ঘর রয়েছে ৪৫০ টি পরিবার রয়েছে,এই গ্রামে পরিবারের সর্বউচ্চ সদস্য সংখ্যা ৮ জন সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা ২ জন,এই এলাকার মানুষের গড় আয়ু ৬৫-৭৫ বছর,এই গ্রামে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের আয়ু বেশী,,এই এলাকার মানুষ যেমন কর্মঠ তেমনি সহজ,সরল
আমার গ্রামে প্রবেশ পথঃ আমাদের গ্রামে আসতে চায়লে
৩ দিক দিয়ে পৌছাতে পারবেন যেমন,জামালপুর জেলা শহর থেকে মেলান্দহ উপজেলা গামী রোড়ে আসার পথে বেইলিবিজ্র থেকে হাতের ডানে পাকা পথ ধরে পৌছাতে পারবেন,আবার গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে উদনাপাড়ার ভিতর দিয়ে পাকা পথ ধরে আসতে পারবেন,এবং মেলান্দহ রেলষ্টেশন হয়ে পাকা পথ ধরে গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন,,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঃ আমাদের এই ছোট্ট গ্রামে ২ টি মাদরাসা রয়েছে একটি হলো আদর্শ মা তৈরি করার জন্য মহিলা মাদরাসা,আর একটি নীতিবান বাবা গঠনের জন্য কওমী মাদরাসা এবং রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তিন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২০০-১২৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে,,,ধর্মীও উপশনার জন্য রয়েছে এই এলাকায় ৩ টি মসজিদ,একটি হলো বেপারীবাড়ী জামে মসজিদ,হাজীবাড়ী মাদরাসা মসজিদ,খাঁনবাড়ী জামে মসজিদ, আমাদের রয়েছে একটি ঈদগাহ মাঠ,যেখানে আমরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহায় একত্রিত হয় কারণ আমাদের এই এলাকায় শতভাগ মুসলিম বসবাস করে,,,,
গ্রামের আয়ের পন্ধঃ গ্রামের মানুষের আয়ের পন্ধা হলো কৃষিকাজ,চাকরী,ব্যবসা, রয়েছে বিভিন্ন পেশা জীবি মানুষের করো করো রয়েছে আম বাগান,কাঠাল বাগান,লিচু বাগান,আছে বিভিন্ন কাঠ গাছের বাগান,রয়েছে অনেক কাঠের বাগান,রয়েছে বিশ্বের বিহত আয়ের পথ মাছের খামার,যেখান থেকে আয় হয় হাজার হাজার টাকা,,,
আমাদের এই গ্রামের সম্মানিত ব্যক্তি ঃ আমাদের এই এলাকায় একজন কবি রয়েছে এই মহান কবির কবিতা বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উচু করে দাড়াবার সুযোগ করে দিয়েছে,আমাদের এই মহান কবির নাম সাংবাদিক মোঃ শাহজামাল,আর একজন সুনাম ধন্য ব্যক্তি রয়েছে আমাদের ছোট্ট গ্রামে তিনি হলেন আমাদের মেম্বার,এই জনপ্রতিনিধির নাম মোঃ আঃ রশিদ সেখ,,,,
গ্রাম সম্পর্কে শেষ কথাঃ একটি গ্রামে যতটুকু থাকা দরকার তার চেয়ে একটু বেশীই আছে গ্রাম মানেই হাসি কান্না,আলোছায়া ঘেরা নির্জন নিরিবিলি,জনপথ,রাতে মৃধু জোছনার আলোয় পথ চলা,হাজারও তারার মিটিমিটি গল্প গুজবে মেতে উঠা,ঝিঝি পোকার,কোকিলের কন্ঠে বেজে উঠা মধুর সুর শোনা,চায়ের দোকানে আড্ডাবাজী করা,আপনাকে সুন্দর ভাবে বাচার প্রেরনা যোগায়,,,
সাংবাদিক শাহজামালের মোবাঃ 01912185062
গ্রাম সম্পর্কে আমি একটু বেশী বলে ফেললাম ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,
উপস্থাপন করলাম আমি মোঃ ফয়জুর রহমান