একনজরে সুলতানপুর ইউনিয়ন

সুলতানপুর ইউনিয়ন  টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া  সদর  উপজেলার অন্যতম   ১১নং ইউনিয়ন পরিষদ। এই ইউনিয়নের প্রশাসনিক সকল  কার্যক্রম  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর  থানার অন্তর্ভুক্ত। এই  ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপিত হয় ১৯২০ সালে। এটি জাতীয় সংসদ এর ২৪৫ নং নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের অংশ  বিশেষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে ০৫ কিলোমিটার  দক্ষিণ থেকে ১১.৫০ কিলোমিটার  দক্ষিণ পর্যন্ত  ব্রাহ্মণবাড়িয়া কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সুলতানপুর ইউনিয়ন টি  অবস্থিত । এই ইউনিয়নের পূর্ব দিকে রয়েছে  বাসুদেব এবং মাছিহাতা ইউনিয়ন,  উত্তর দিকে মাছিহাতা এবং রামরাইল ইউনিয়ন। পশ্চিম দিকে  রামরাইল ইউনিয়ন  এবং তিতাস  নদী, নবীনগর  উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন এবং কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন  এবং দক্ষিণ দিকে  রয়েছে তিতাস নদী এবং কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়ন।

সুলতানপুর নামকরণ  এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
সমতট অঞ্চলের বর্তমান তিতাস পাড়ে, হাজার বছর আগে  অথৈ জলরাশির মাঝে যে কয়েকটি অঞ্চল ভেসে উঠে ছিল সুলতানপুর গ্রামটি তার মধ্যে  একটি। ধীরে ধীরে  ভেসে উঠা চর হয়ে উঠে সবুজ শ্যামল । এমন প্রাকৃতিক সুন্দর চরটিতে ধীরে  ধীরে  বসতি গড়ে উঠে। বসতি স্থাপনকারীরা অনেকেই সম্রাট্ট ছিল । সুলতানপুর গ্রামের অনেক স্থানে  ইট-পাথরের অট্টালিকার ধ্বংশাবিশেষ এর সাক্ষ্য প্রমাণ করে। এখানে বসতি স্থাপনকারীরা কষ্টি পাথরের মূর্তি স্থাপন করেছিল। ইংরেজি ২০০৮ সালে স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল মেম্বারের পুকুর কাটার  সময় প্রায় সাত মন ওজনের একটি  কষ্টি পাথরের মহাদেব মূর্তি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত পাওয়া মূর্তিগুলির মাঝে  এটাই সব চেয়ে বড় । এই মূর্তিটি বর্তমানে কুমিল্লা যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তাছাড়াও স্বর্ণ ও মূর্তির ভাঙ্গা অংশ  পাওয়া গিয়াছে। গ্রামের বয়স্কদের কাছে জানা যায় এখানে অন্যান্য সম্প্রদায়ের পাশাপাশি কোচ্ সম্প্রদায়ের বসতি ছিল। শতশত বৎসরে বিবর্তনে ঐ সমস্ত জাতি গোষ্ঠি এক সময় বিলীন হয়ে যায়।

তৎপর বিভিন্ন প্রাচীন বসতি অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা লোকজন নতুন করে আবার বসতি স্থাপণ শুরু করে। ধীরে  ধীরে এলাকা ভরাট হতে থাকে এবং ঐ নতুন ভরাট অঞ্চলগুলিতে বসতি স্থাপন শুরু হয়। ঐ সমস্ত প্রাচীন জনপদের পরিচিতি বা নাম কী ছিল তা জানা যায়নি। সুলতানী আমলে এই জনপদটির নাম সুলতানপুর হয়েছে বলে বয়স্করা  বলে থাকেন । সুলতানী আমলেই এখানে মুসলিম সমাজ গড়ে উঠতে থাকে। সুলতানপুর জামে মসজিদ টি প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে নির্মিত হয়ে ছিল। যখন ব্রিটিশ দখলকারীরা কিছু গ্রাম মিলিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে এবং  তখন বৃহৎ গ্রাম হিসাবে বড় সুলতানপুর কে কেন্দ্র করে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে আর এই ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয় পাশাপাশি পাতৈরহাতা, শিলাউর,উরশীউড়া, হাবলাউচ্চ এবং বিরামপুর মৌজা। সমতট অঞ্চলের সুলতানপুর গ্রামটি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল। এবং সরাইল পরগনার অধীন ছিল।

 ১৯৪৭ দেশ বিভাগের পর সুলতানপুর গ্রামটি কুমিল্লা জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু কাগজ পত্রে জেলার নাম ত্রিপুরা লেখা হত। ১৯৬৩ সালে ত্রিপুরা স্থানে জেলার নাম কুমিল্লা লেখা শুরু হয়। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা ডিস্ট্রিক বোর্ড রাস্তা সুলতানপুর ইউনিয়নের পাতৈরহাতা উরশীউড়া এবং সুলতানপুর গ্রামের উপর দিয়ে ব্রিটিশ আমলেই নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ সাালে উক্ত ডিস্ট্রিক বোর্ড রাস্তাটিকে কেন্দ্র করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পাকা রাস্তা নির্মাণ করে যাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কুমিল্লা মহাসড়ক নামে পরিচিত। বর্তমানে সুলতানপুর হতে আখাউড়া হয়ে  ভারতের আগর তলা পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ হয়েছে এই রাস্তা দিয়ে  কলকাতা আগরতলা পর্যন্ত বাস, ট্রাক ইত্যাদি আরও অনেক যানবাহন চলাচল করে।

মৌজা ৬ টি
(১) বড় সুলতানপুর,
(২) বিরামপুর,
(৩) হাবলাউচ্চ,
(৪) শিলাউর,
(৫) উরশীউড়া,
(৬) পাতৈরহাতা।

এলাকা ভিত্তিক কিছু ছবি

[post_gallery]

গ্রাম ২২ টি
১ নং ওয়ার্ডেঃ- পাতৈরহাতা, উরশীউড়া,
২ নং ওয়ার্ডেঃ- উত্তর জাঙ্গাল, দক্ষিণ জাঙ্গাল, ইয়াকুব নগর।
৩ নং ওয়ার্ডেঃ- সুলতানপুর (উত্তর অংশ), পূর্ব
৪ নং ওয়ার্ডেঃ সুলতানপুর (দক্ষিণ অংশ)
৫ নং ওয়ার্ডেঃ- টানচক-মনাই বাড়ী, সীতাসার, মহিউদ্দিননগর, যুক্কা-টাঙ্গা-পদ্মার পাড়।
৬ নং ওয়ার্ডেঃ- হালকাটা, শাহপুর, বিরামপুর (দক্ষিণ), ছোট শাহপুর, রাজকৃষ্ণপুর,
৭ নং ওয়ার্ডেঃ- বিরামপুর,
৮ নং ওয়ার্ডেঃ- হাবলাউচ্চ, মিয়াচাঁনপুর, ঈশাননগর,
৯ নং ওয়ার্ডেঃ- শিলাউর,     
বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় (৩) টি।
(১) বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,
(২) হাবলাউচ্চ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,
(৩) লায়ন ফিরোজুর রহমান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ একাডেমী।
মসজিদ ৫০ টি তার সংখ্যা বাড়তে পারে।
মাজার ০৫ টি
মন্দির ০৩ টি
আশ্রম ০৩ টি
মঠ ০২ টি
ইউপি কমপ্লেক্স ভবন ০১ টি
জেল খানা ০১ টি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার (উরশীউড়া)।
ডাকঘর ০২ টি। হাবলাউচ্চ।
ভূমি অফিস ০১ টি। সুলতানপুর।
গ্রামীণ ব্যাংক ০১ টি। সুলতানপুর।
ব্র্যাক ব্যাংক ০১ টি। দক্ষিণ জাঙ্গাল।
বি জি বি  ক্যাম্প ১ টি
60 বি জি বি বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়ান
কমিউনিটি ক্লিনিক ০৩ টি।
উরশীউড়া কমিউনিটি ক্লিনিক,
দক্ষিণ জাঙ্গাল কমিউনিটি ক্লিনিক,
হাবলাউচ্চ কমিউনিটি ক্লিনিক।
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ০১ টি
মুসলিম পরিবার ৫৭৮৫ জন
হিন্দু পরিবার ৪৫০ টি

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৯ টি।
(১) সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, (২) শাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৩) মহিউদ্দিননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৪) উরশীউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৫) বিরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৬) হাবলাউচ্চ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৭) শিলাউর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৮) টাঙ্গারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
(৯) উত্তর জাঙ্গাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বেসরকারী আলেয়া মাদ্রাসা ২ টি।
(১) বিরামপুর দাখিল মাদ্রাসা
(২) দক্ষিণ জাঙ্গাল কফিল উদ্দিন টেকনিক্যাল দাখিল মাদ্রাসা।

কওমি মাদ্রাসা ১ টি।
সুলতানপুর দারুল উলুম মাদ্রাসা
বেসরকারী কিন্ডার গার্টেন ১২ টি সম্ভবত
যুব উন্নয়ন কমপ্লেক্স  ০১ টি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ৮০ জন
জেলা দায়রা জজ ০২ জন
মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আলমগীর
নুরুন নাহার ওসমানী(শাহপুর)।
আইনজীবি ১২ জন।
মোঃ খোরশেদ আলম(শিলাউর),
সারোয়ার আলম(হাবলাউচ্চ),
দীন ইসলাম(হাবলাউচ্চ),
বশির উদ্দিন আহম্মদ(হাবলাউচ্চ),
ইসমাঈল মিয়া(শিলাউর),
সুধীর চন্দ্র ঘোষ
রিয়াজুল হক(উরশীউড়া),
খলিলুর রহমান(উত্তর জাঙ্গাল),
আনোয়ার হোসেন(দক্ষিণ জাঙ্গাল),
রফিকুল ইসলাম
শেখ এখলাছুর রহমান(হাবলাউচ্চ),
সোহেল(হাবলাউচ্চ)

সহকারী আইনজীবি ০৬ জন

এম,বি,বিএস ডাক্তারঃ- ১৫ জন
ডাঃ ফরিদ উদ্দিন,
ডাঃ আছমা খানম,
ডাঃ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ,
ডাঃ তারেক মাহবুব খান(শাহপুর),
ডাঃ শামশেদ রব্বানী খান(শাহপুর,
ডাঃ নজরুল ইসলাম(শাহপুর,
ডাঃ আরশাদুল ইসলাম(শাহপুর),
ডাঃ তানজিয়া আক্তার খানম,
ডাঃ রওনাক জাহান মন্টি(শাহপুর),
ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম(মহিউদ্দিননগর),
ডাঃ মোঃ মহফিজ(মহিউদ্দিননগর),
ডাঃ তানভির আহম্মদ(মহিউদ্দিননগর),
ডাঃ শেখ আশরাফুল হক মারুফ(সুলতানপুর),
ডাঃ আবুল কাসেম চৌধুরী(সুলতানপুর)
ডাঃ শেখ সুলতানা হক হ্যাপী(সুলতানপুর)।

ইঞ্জিনিয়ার ০৫ জন।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম(মহিউদ্দিননগর),
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোর্শেদ রাব্বানী খান(শাহপুর),
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তারেক নিয়াজ খান(শাহপুর),
ইঞ্জিনিয়ার স্নিগ্ধা খানম(শাহপুর)।