নবজাতকের টিকা নির্দিষ্ট ভাইরাস এবং রোগের বিপদ থেকে নবজাতক শিশুদের রক্ষা করে। এই নিবন্ধে আমরা নবজাতকের টিকার প্রয়োজনীয়তা, সুরক্ষা, সুবিধা এবং প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করব।
নবজাতক শিশুদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা প্রথমতঃ মা এবং পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতকের ভ্যাকসিন হচ্ছে একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায় যা নবজাতক শিশুদের বিভিন্ন ভাইরাস এবং রোগের বিপদ থেকে রক্ষা করে। এটি নবজাতকের মধ্যে সুরক্ষা উন্নত করে এবং তাদের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করে।
নবজাতকের ভ্যাকসিন প্রথম অঙ্গীকার প্রদানের মাধ্যমে নবজাতক শিশুদের রক্ষা করা হয় বিভিন্ন ভাইরাস এবং রোগের বিরুদ্ধে। সাধারণত, নবজাতকের টিকার সিডিউল স্কেজিউল অনুযায়ী পরিবারের ডাক্তার বা স্থানীয় হাসপাতালে প্রদান করা হয়।
নবজাতকের টিকা প্রস্তুতি করার সময়, মা এবং পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং পরামর্শ প্রদান করা উচিত। অধিকাংশ মামলায়, নবজাতকের টিকা সুরক্ষায় কোনও ঝুঁকি নেই এবং এটি নবজাতক শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
নবজাতকের টিকা একটি প্রয়োজনীয় কদম যা মা এবং শিশুদের জন্য অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।টিকা অনেক ভয়ানক রোগ প্রতিরোধ করে এবং এটি আমাদের সুরক্ষিত রাখে। ভিবিন্ন মারাত্মক রোগ যেমন হুপিং কাশি, হাম, মাম্পস,পলিও, জলবসন্ত,, যক্ষ্মা ও ধনুস্টংকা থেকে টিকা আমাদের সুরক্ষিত রাখে । প্রতিটি শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শে টিকাগুলো সময় মতো প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের সম্ভাবনাকে কমিয়ে সুনিশ্চিত করে যায়। টিক নবজাতক থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরীসহ বড়দের অনেক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরির মাধ্যমে সুরক্ষা দেয়। যেসব শিশুদের নিয়ম মত টিকা দেওয়া হয় না তারা হুপিং কাশি, হাম, মাম্পস,পলিওসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে, এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
নবজাতকের টিকা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অর্থের মানুষিক প্রাথমিকভাবে জরুরি। এটি বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে অনুমানযোগ্য প্রতিরোধ প্রদান করে এবং অন্যান্য অনুভূতির ভীতির্ন পর্যালোচনা করে। এটি নিম্নলিখিত সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে:
প্রাথমিক রোগের প্রতিরোধ: নবজাতকের ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে একে বিভিন্ন রোগ বিরোধী প্রাথমিক প্রতিরোধ ক্রিয়া করা হয়, যা তাদের বুদ্ধিমত্তার এবং শারীরিক সংরক্ষণ সাহায্য করে।
পূর্বানুমানিক চিকিৎসা: এই টিকা প্রদানের মাধ্যমে শিশুর পূর্বানুমানিক চিকিৎসা হতে পারে যা অনেক জীবনমুক্তি রক্ষা করতে পারে।
সমাজের সুরক্ষা: নবজাতকের টিকা প্রদানের মাধ্যমে অন্যান্য শিশুর সুরক্ষা উন্নত হতে পারে এবং সামাজিক জীবনের গোপনীয়তা সাহায্য করে।
নবজাতকের টিকা প্রয়োজন কারণ এটি নবজাতক শিশুদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তাদের সুরক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত মৌলিক। নবজাতকের টিকা প্রদানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. রোগের ঝুঁকি: নবজাতকের টিকা না দেওয়া পরিস্থিতিতে তারা বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, যেমন পিনমাটে, ডাইপিথেরিয়া, হিব, টেটানাস, পোলিও, হাইড্রোসেফালাস, এবং অন্যান্য সংক্রামণের জন্য নিয়ন্ত্রণ নেই যার ফলে অধিক মামলা হতে পারে।
২. সংক্রমণ প্রসার: নবজাতকের টিকা না দেওয়া পরিস্থিতিতে সংক্রমণ প্রসারের ঝুঁকি থাকে। এটি অন্যান্য নবজাতক শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগের ফলে অন্যান্য শিশুদেরও সংক্রমিত হতে পারে।
৩. জীবনের অপেক্ষায়: নবজাতকের টিকা না দেওয়া পরিস্থিতিতে তারা জীবনের প্রার্থমিক দিনগুলিতে রোগের হামলার প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিক হয় না, যা তাদের স্বাস্থ্য ও উন্নতির পরিবর্তে অনেক ক্ষতি করে।
৪. প্রতিরোধ প্রত্যাহার: নবজাতকের টিকা না দেওয়া পরিস্থিতিতে তারা প্রতিরোধ প্রত্যাহারের ঝুঁকিতে পড়তে পারে, যার ফলে তারা নতুন জন্মের প্রথম মাসের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
এই কারণে, সামাজিক দায়িত্বে থাকা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি যাতে নবজাতকের টিকা দেওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিযা মনে করে সবসময় টিকা দিতে পারে ৷
নবজাতকের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে এবং তাদের স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক প্রস্তুতি করা হয়। নবজাতকের টিকা দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিকা রয়েছে, যেগুলি হলো:
টিকার নাম | যে বয়সে টিকা দেয়া উচিত | ডোজ |
বিসিজি | জন্ম-২ সপ্তাহ | |
পোলিও | জন্ম-২ সপ্তাহ | অতিঃডোজ |
ডিপিটি ডিটি/ডিটিপি | ৬ সপ্তাহ | ১ম ডোজ |
১০ সপ্তাহ | ২য় ডোজ | |
১৪ সপ্তাহ | ৩য় ডোজ | |
১৫-১৮ সপ্তাহ | ১ম বুস্টার | |
৫ বৎসর | ২য় বুস্টার | |
৬ সপ্তাহ | ১ম ডোজ | |
হেপ-বি | ১০ সপ্তাহ | ২য় ডোজ |
১৪ সপ্তাহ | ৩য় ডোজ | |
১৫-১৮ সপ্তাহ | ১ম বুস্টার | |
৫ বৎসর | ২য় বুস্টার | |
জন্ম-২ সপ্তাহ | ১ম ডোজ | |
হিব | ১ম ডোজ ১ মাস পর | ২য় ডোজ |
২য় ডোজ ১ বা ৫ মাস পর | ৩য় ডোজ | |
৩য় ডোজ ১ বা ৫ বৎসর পর | ১ম বুস্টার | |
১ম বুস্টার ৫ বৎসর পর | ২য় বুস্টার | |
৬ সপ্তাহ | ১ম ডোজ | |
হাম | ১০-১৪ সপ্তাহ | ২য় ডোজ |
১৪-১৮ সপ্তাহ | ৩য় ডোজ | |
১৮-২৪ মাস বুস্টার | ||
৯ মাস | ||
জলবসন্ত | ১ বৎসর | |
এমএমআর | ১৫-১৮ মাস | ১ম ডোজ |
হেপ-এ | ৪-৫ বৎসর | ২য় ডোজ |
১২-১৫ বৎসর | বুস্টার | |
১ বৎসর | ১ম ডোজ | |
টাইফয়েড | ১ম ডোজ ৬-১২ মাস পর | ২য় ডোজ |
২ বৎসর বয়স থেকে | ||
১৫-৪৯ বৎসর | ১ম ডোজ | |
১ম ডোজের ১ মাস পর | ২য় ডোজ | |
২য় ডোজের ৫ মাস পর | ৩য় ডোজ | |
৩য় ডোজের ১ বৎসর পর | ৪র্থ ডোজ | |
৪র্থ ডোজের ১ বৎসর পর | ৫ম ডোজ |
তাছাড়া বিশেষ টিকা আছে যা সময়মাফিক দেওয়া হয় যা নিচে বর্ণনা করা হল।
ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা:
৬ মাস পর থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়া যায় । এই টিকা প্রতিবছরই নেওয়া লাগতে পারে। যাদের বংশগত শ্বাস রোগের সমস্যা আছে তাদের এই টিকাটি নেওয়া ভালো। এই টিকাটি করোনার সময় ও যাদের ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া আছে তাদের জটিলতা কম হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
ডায়রিয়ার টিকা:
২ মাস বয়সের পর থেকেই রোটা ডায়রিয়ার টিকা দেওয়া হয়। ৬-৭ মাস বয়সের মধ্যেই ২-৩ ডোজ ডায়রিয়ার টিকা দিতে হয়।
জলবসন্ত টিকা:
এক বছর বয়স হলেই হেপাটাইটিস ‘এ’ জন্ডিস ও চিকেন পক্সের (জলবসন্ত) টিকা দেওয়া শুরু করতে হয়। হেপাটাইটিস ‘এ’ এর টিকা ১টা নেওয়ার ৬-১২ মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। চিকেন পক্সের দ্বিতীয় ডোজ স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে নিতে হবে। দুই বছর বয়স হলে টাইফয়েড, মুখে খাওয়ার কলেরা ও মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন নেওয়া যায়। এ ছাড়া ৯ বছর থেকে মেয়েদের এইচপিভি ভ্যাকসিন দিতে হয়।
নবজাতক শিশুদের টিকা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে তারা প্রাথমিক সুরক্ষা প্রাপ্ত হয়েছে। একটি শিশুর জন্য টিকা দেওয়ার নিয়মগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:
১.নবজাতকের টিকা দেওয়ার সময়:
নবজাতকের টিকা দেওয়ার সময় সাধারণত জন্মের পর তা দেওয়া হয়। বেশিরভাগ দেশে এই টিকা জন্মের পর ১২ সপ্তাহ অথবা তার পরে প্রদান করা হয়।
২. স্বাস্থ্য পরীক্ষা: টিকা দেওয়ার প্রথম দিনে, নবজাতকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর টিকা প্রদানের পরিস্থিতি নিশ্চিত করে এবং কোনও সমস্যার উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
৩. টিকা সিরিজ:
অনেক টিকা সিরিজে নবজাতকের টিকা একটি প্রথম ডোজ এবং এরপরে অনেক সময় পর অন্য ডোজ গ্রহণ করতে হয়।
৪. ডাইপিটি টিকা:
ডাইপিটি টিকা সাধারণত জন্মের পর ২ মাস, ৪ মাস এবং ৬ মাস বয়সে প্রদান করা হয়। এই টিকা ডিফটেরিয়া, প্রজুরা এবং টেটানাস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. হিব টিকা:
হিব টিকা সাধারণত জন্মের পর ২, ৪ এবং ৬ মাসে দেওয়া হয়। এই টিকা হিব রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬.পলিও টিকা:
পলিও টিকা জন্মের পর ২ এবং ৪ মাস বয়সে প্রদান করা হয়।
নবজাতকের টিকা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ এবং এটি শিশুর সুরক্ষা ও সুস্থ বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একবার টিকা প্রদানের পর যদি নবজাতক জ্বরে ভুগতে থাকে, তবে এর সাথে সাথে সঠিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এই কারণে, নবজাতকের টিকা দেওয়ার পর জ্বর আসলে করণীয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ: নবজাতকের টিকা দেওয়ার পর যদি নবজাতক জ্বরে ভুগতে থাকে, তবে সর্বপ্রথমে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ডাক্তার শিশুর জ্বরের কারণ নির্ধারণ করতে সাহায্য করবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবেন।
২. তাপ মেপান: জ্বরের উপস্থিতিতে, নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা সচেতন করা জরুরি। একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা মাপা হতে পারে, যা সহায়ক হতে পারে।
৩. আতঙ্ক না করা: নবজাতকের টিকা দেওয়ার পর জ্বর একটি সাধারণ অবস্থা হতে পারে, যা সময়ের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দূর হয়ে যায় ।
৪. অশ্রেয়ানি কর্মকান্ড চেক: শিশুর অশ্রেয়ানি কামনা আরম্ভ হলে, সেটি তাদের স্বাস্থ্যকর অবস্থার সংকেত হতে পারে। শিশুকে সুষ্ঠু পরিদর্শন করার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
৫. শিশুকে পানি দিন: শিশুর ডেহাইড্রেশন হতে বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করানো গুরুত্বপূর্ণ। অধিক পানি শিশুর দেহের প্রয়োজনীয় তরলতা বজায় রাখে এবং জ্বর কমায়।
সুতরাং টিকা দেওয়ার পর আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা ওই রোগের অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে অ্যান্টিজেন তৈরি করে। তো এই জ্বর আসা টা ভয়ের কিছু না। শরীরের অনাক্রমতা। তাও বাচ্চা দের ডক্টর দেখিয়ে নিবেন। জ্বর না হলেও ভয়ের কিছু না সেটা।
নবজাতকের টিকা সম্পর্কে আমাদের সমস্তের জন্য সচেতনতা গড়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রাথমিকভাবে শিশুদের অনেক ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে, এবং শিশুর জীবনে মহৎ অনুভূতির একটি সামগ্রিক ভাগ।তছাড়া জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজন তাই শারীরিক শিক্ষার সম্পর্কে জানতে ভিডিট করুন
আপনি কি সম্প্রতি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন? আপনার পাসপোর্ট আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে চাচ্ছেন? এই…
১. ভূমিকা ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হলো বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যা একটি ইলেকট্রনিক চিপ সহ ইস্যু…
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে, জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার নিয়ম জানা এবং তা অনুসরণ করা প্রতিটি বাংলাদেশি…
জন্ম নিবন্ধন সনদ হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস যা প্রত্যেক নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করে। এটি…
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আপনি সহজেই ঘরে বসে আপনার Birth certificate check…
চলুন জেনে নেয় ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস সম্পর্কে , ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট…