পানিরছড়া গ্রাম হোয়ানক ইউনিয়ন

গ্রামের দৃশ্য ছবি
গ্রামের দৃশ্য ছবি

পানিরছড়া গ্রাম হোয়ানক ইউনিয়ন

এই বটবৃক্ষ পানিরছড়াকে পরিচয় করাতে কম ভূমিকা রাখে না। কক্সবাজারের মহেশখালীর ৫ নং হোয়ানক ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড। সৌন্দর্যমন্ডিত ও বিখ্যাত এ গ্রামের উত্তরে মোহরাকাটা গ্রাম,দক্ষিণে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন, পূর্বে পাহাড়ের ওপাশে শাপলাপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে মাছ ও লবণ চাষের বিরাট এলাকা পেরিয়ে খাল আর এরপরে বঙ্গোপসাগর (যেহেতু মহেশখালীর তিনদিকে বঙ্গোপসাগর)।এখানে বৃহত্তর পানিরছড়া, বারঘর পাড়া, ছড়ার আগা, জৈয়ারকাটা মহল্লা বিদ্যমান।

পানিরছড়া নামকরণের মতভেদ থাকলেও কিছু মত যৌক্তিক (যেমন-পানিরছড়ার বিখ্যাত ছড়া যেটি জনমানুষের পানির সমস্যা মেটাতো, এই গ্রামের পানি খুবই সুস্বাদু ইত্যাদি)। 

১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পানিরছড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম ঐতিহ্যের সাক্ষী। আর বিদ্যালয়টির উত্তরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝে একটি বিরাট খেলার মাঠ বিদ্যালয়দ্বয়কে আলাদা করেছে,দিয়েছে চমৎকার সৌন্দর্য। এ অঞ্চলে প্রায় ১২ হাজার লোকের বাস আর প্রধান ধর্ম ইসলাম হওয়ায় ৮টি নান্দনিক মসজিদ নির্মিত। এইখানেই মহেশখালীর প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি ‘আলোর পাঠশালা’ স্থাপিত। 

উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন জনাব আখতার কামাল(সাবেক প্রধান শিক্ষক,পানিরছড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়), ড. গোলাম কিবরিয়া (শিক্ষক, চট্টগ্রাম ভেটরেনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়), ডা. অহিদুল হেলাল(বি.সি.এস(স্বাস্থ্য)), জনাব কামরুল ইসলাম (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) প্রমুখ। 

এলাকার জনসাধারণ প্রধানত কৃষিজীবী। ধান,লবণ,পান প্রধানত চাষ হয়। সরকারি,বেসরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অনুপাতে খুব বেশি না। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগে চাকরিজীবী কম নয়।

এবার ছবির মাধ্যমে ঘুরে আসা যাক।

ছবিঃআসিফ মোহাম্মদ শোভন

বি.দ্র.-অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল ক্ষমা করবেন।