চাঁনপুর গ্রাম মজলিশপুর ইউনিয়ন
চাঁনপুর ৭ নং ওয়ার্ড,১ নং মজলিশপুর ইউনিয়ন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর
অবস্থানঃ ঐতিহ্যবাহী তিতাসনদীর দক্ষিণপার্শ্বে , পূর্ব দিকে আছে খরমপুর ও আমীরপাড়া, পশ্চিম দিকে আছে আনন্দপুর ও শ্যামপুর, উত্তর দিকে আছে ঐতিহ্যবাহী তিতাসনদী, দক্ষিণ দিকে খোলা মাঠ।
উল্লেখ্যযোগ্য স্থান সমূহঃ গ্রামের উল্লেখ্যযোগ্য স্থান এর মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ (স্থাপিত: 1960), রয়েছে একটি প্রাইমারী স্কুল (স্থাপিত: 1968), একটি মক্তব।
গ্রামের দক্ষিণপার্শ্বে রয়েছে একটি সুন্দর খেলার মাঠ, গ্রাম্য সালিশের জন্য রয়েছে একটি নির্ধারিত স্থান (বয়লার মাঠ),
নাম করণঃ গ্রামের পূর্বপুরুষেরা পার্শ্ববর্তী এলাকা চান্দিয়ারা গ্রাম থেকে এসে নতুন স্থান এ বসতভীটা স্থাপন করেন, যেহেতু চান্দিয়া গ্রাম থেকে এসেছে সেইজন্য নুতুন স্থান এর নাম করন করা হয় চাঁনপুর।
গ্রামের উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাক্তিবর্গঃ প্রয়াত হাজী আব্দুল আলী সরদার,
গ্রামের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে পরিচিত, তিনি একাধারে সরদার, সমাজসেবক, অন্যায়ের প্রতিবাদ কারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তার বিচার কার্যের কৃতিত্ব মজলিশপুর ইউনিয়ন বাসীসহ সদর উপজেলার মানুষগণ আজীবন মনে রাখবেন, তিনি নৌকাবাইছ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে
জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রতিযোগীতায় অনেকবার প্রথম স্থান অর্জন করেন, নৌকাবাইছ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সারাদেশে অনেক সুনাম অর্জন করেন, তার
জীবনী নিয়ে বাংলা একাডেমী থেকে নৌকাবাইছ প্রতিযোগীতা নামে একটি গ্রণ্থ বের হয়, তার লেখাগান জি সিরিজের ব্যনারের একটি এ্যালবামে প্রকাশিত হয়।
এছাড়া উল্লেখ্যযোগ্য প্রয়াত ব্যাক্তিদের মধ্যে রয়েছেনঃ প্রয়াত হাজী আব্দুল মোতালিব (সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান মজলিশ পুর ইউনিয়ন ও দাতা সদস্য, বাকাইল উচ্চ বিদ্যলয়),প্রয়াত আব্দুল আজীজ,প্রয়াত হাজী আলী হোসেন মেম্বার,[প্রয়াত হাজী মিয়া চাঁন,প্রয়াত হাজী আব্দুল রশিদ(দাতা সদস্য, মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যলয়)],প্রয়াত ছেরাগ আলী সরদার।
* হিরন মিয়া সরদারঃ হাজী আব্দুল আলী সরদারের বড় ছেলে হিরন মিয়া সরদার। তিনি একাধারে সরদার, সমাজসেবক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। তিনি দারমা মাদ্রাসা, মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মজলিসপুর বাজার কিমিটি, চাঁনপুর ও আনন্দপুর জামে মসজিদ এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। হাজী আব্দুল আলী সরদারের মৃত্যুর পর হিরন মিয়া চাঁনপুর সমাজের সকল মানুষকে একই সুতাই বেধে রেখেছেন এবং গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন।
আব্দুল কুদ্দুস ও রেহেনা বেগম দম্পতিঃ চাঁনপুর তথা মজলিসপুর ইউনিয়নের রত্নগর্ভা পরিবার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত, এই পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন এবং প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করে ও তার ছেলে মেয়েদের দেশের সর্বোচ্চবিদ্যাপীঠ সরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি করিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন।বর্তমানে এই দম্পতিরছেলে মেয়েরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকুরিতে কর্মরত আছেন।
মোঃমোবারক হোসেনঃ যুব সমাজের আইকন হিসেবে মজলিশপুর তথা সদর উপজেলায় পরিচিত মুখ। ছাত্র জীবনে অত্যান্ত মেধাবী ছিলেন, ওনার হাত ধরে চাঁনপুর তথা মজলিশপুরের অনেক মেধাবী ছাত্রের সৃষ্টি হয়েছে।কর্মজীবনে বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন, সেই সাথে অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির সফল সাধারন সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন।চাকরীর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন করে থাকেন। ব্যাক্তি ও কর্মজীবনের সফল একজন মানুষ, ভবিষ্যৎ তরুনদের অনুপ্রেরণার উৎস ।
আয়ের উৎস ও পেশাঃএই গ্রামের প্রধান আয়ের উৎস বেদেশিক মুদ্রা ও কৃষি,ব্যবসা। বাংলাদেশ পুলিশ,সেনাবাহিন,নৌবাহিনী,বিজিবি,প্রাইমারি শিক্ষক,টেকনিক্যাল কলেজ শিক্ষক,ইঞ্জিনিয়ার,অডিট অফিসার,হিসেবে অনেকেই সরকারী চাকরীতে কর্মরত আছে এছাড়াও অনেকেই বেসরকারী চাকরিতে কর্মরত আছে।
ধর্মঃএই গ্রামের শতভাগ মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী
খেলাধুলাঃ নৌকাবাইচ এই গ্রামের মানুষ এর প্রাণের উৎসব
এছাড়া ও ক্রিকেট,ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধুলায় অংশগ্রহন করে থাকে।
এছাড়াও গ্রামের উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাক্তি বর্গের মধ্যে রয়েছেনঃ বাচ্চু মিয়া সরদার (সহসভাপতিঃঃমমজলিশপুর মাদ্রাসা) ,হাজী মলাই মিয়া,হাজী খোরশেদ আলম,হাজী জিন্নত আলী, জিল্লুর রহমান (মেম্বার),গোলাম মোস্তফা(সভাপতি আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়),কামরুল হাসান (দাতা সদস্য বাকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাল)প্রমুখ।