গ্রাম মাজু গ্রাম ডাউকী ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

গ্রাম মাজু গ্রাম ডাউকী ইউনিয়ন

আমাদের এই গ্রামটি আলামদাঙ্গা থানার ডাউকী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। গ্রামের পশ্চিম পাশে আছে বকশীপুর গ্রাম। আর এই বকশীপুর গ্রামই হল মাজু গ্রামের গেট ওয়ে বা প্রবেশ দ্বার। কেননা আলমদাঙ্গা উপজিলা হতে সরাসরি এই বকশীপুর গ্রামের ভেতর দিয়েই মাজু গ্রামে ঢুকতে হয়। আর গ্রামের ঠিক পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গিয়েছে কুমার নদী। এই কুমার নদীই কুষ্টিয়া জিলার সীমান্তবর্তী গোস্বামী-দুর্গাপুর গ্রামের সীমারেখা টেনে দিয়েছে। এই দুটি গ্রাম হল দুটি জিলার নদীর এপার ওপার গ্রাম।

আমাদের গ্রামে প্রায় তিন মাস হল নূতন হাট বসেছে। যদিও দুর্গাপুরেও হাট বসে যা ব্রিটিশ আমল থেকেই নাম করা। অনেক ঐতিহ্যবাহী পুরাতন হাট। এপার ওপারের দুটি হাটই সমান জমজমাট। গ্রামের উত্তর পাশে মাদবপুর আর দক্ষিণ পাশে অভয়নগর-ছত্রপাড়া গ্রাম। যাদের পদভারে আমাদের গ্রামের শনি এবং বুধবারের হাট হয়ে উঠে মুখরীত।

মাজু হল আলামদাঙ্গা থানার একটি আদর্শ গ্রাম। শিক্ষাদীক্ষায় বরাবরিই অনেক এগিয়ে। বর্তমানে প্রায় পনেরো জন শিক্ষক বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক পদে নিযুক্ত। মরহুম সৈয়দ উদ্দিন জোয়ারদার ১৯৯৪/১৯৯৫ সালে আলমদাঙ্গা থানার একমাত্র গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।তাছাড়া উচ্চশিক্ষার হারও নেহায়েত কম নয়। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নের ফলে গ্রামের মানুষেরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক এগিয়ে। কেউ কৃষি কাজ কেউ কুমারের কাজ, ব্যবসা-  বাণিজ্য আবার যুবকদের একটা অংশ ঢাকা-  চিটাগং-কক্সবাজার অঞ্চলে টাইলস ফিটিং ব্যাবসার সাথে সরাসরি জড়িত।

গ্রামের জীবনযাত্রা অনেকটা শহুরে স্টাইলের। পিচ ডালা রাস্তা, রাতের অন্ধকারের বুক চিরে রাস্থার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোলার প্যানেলের লাইট পোস্ট গুলো অন্ধকারকে চিরতরে বিতাড়িত করেছে। জানিনা গাছের সেই গেছো ভূতেরা এখন কোথায় বাসা বেঁধেছে।  স্যাটেলাইট টি ভি, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ওয়্যারড ইন্টারনেট-  কি নেই আমাদের গ্রামে। তাই গ্রামকে এখন আর আলাদা করে গ্রাম বলা যায় না – বলা যায় গ্লোবাল ( বিশ্ব ) ভিলেজ (গ্রাম)।