কচুয়া কাজীপাড়া গ্রাম পাঁচন্দর ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

কচুয়া কাজীপাড়া গ্রাম পাঁচন্দর ইউনিয়ন

তানোর থানা থেকে মুন্ডুমালা বাজার যাওয়ার পথে কাউন্সিল মোড়ে নেমে বাঁ দিকে চলে যাওয়া রাস্তা ধরে ৩-৪ কিলোমিটার এগোলেই যে গ্রামটির দেখা মেলে, তার নামই কচুয়া কাজীপাড়া। সুযোগ সুবিধার বাইরে মফস্বল এলাকার একটি সাঁওতাল গ্রাম। গ্রামটির উত্তরে পাঁচন্দর, দক্ষিণে কচুয়া, পূর্বে কচুয়া নাপিতপাড়া, ও পশ্চিমে কাঁঠালকুন্ডি। গ্রামটি ৩ নং পাঁচন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।

জনসংখ্যা আনুমানিক ৫০০ হলেও প্রায় ১০০ পরিবারের বাস এই গ্রামে। রাস্তার ২ পার্শ্বে ঘরবাড়িগুলো অবস্থিক হওয়ায় গ্রামটি প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো লম্বা। 

এটি একটি আদিবাসি আধ্যূষিত গ্রাম। এর মধ্যে অধিকাংশই সাঁওতাল। এছাড়া গ্রামের সীমিত অংশজুড়ে কর্মকার সম্প্রদায়ের বসবাস। মূলতঃ কচুয়া গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বলে এই গ্রামকে কচুয়া কাজীপাড়া বলা হয়ে থাকে।

এছাড়াও কচুয়া গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা অন্যান্য গ্রামগুলো হল – কচুয়া উত্তরপাড়া, কচুয়া দক্ষিণপাড়া ও কচুয়া নাপিতপাড়া। তবে কচুয়া ও কচুয়া কাজীপাড়া আদিবাসি আধ্যূষিত এলাকা হলেও বাকি তিনটি গ্রামে মুসলিমরা বসবাস করে।

সরকারের আধ্যাদেশ অনুসারে গ্রামের পাশে খাস জমি বের হওয়ায় অনেক গ্রামবাসি ওখানে বসতি গড়ে তোলে, আর জায়গাটির নামকরণ করা হয় হঠাৎপাড়া। তবে উল্লেখ্য যে, এই হঠাৎপাড়াও কাজীপাড়ার একটি অংশ। 

এই গ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র বিষয়টি হচ্ছে, এই গ্রামের কবরস্থান। ৮-১০ বিঘা জমির জায়গাজুড়ে কবরস্থানটি অবস্থিত। এর জন্যে রয়েছে বিশেষ কমিটি, আর বরাবরের মতোই এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ থাকে কমিটির উপর। 

গ্রামের কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ ঃঃ

১. সুরেশ টুডু (স্থানীয় কবর কমিটির সভাপতি ও গ্রাম স্কুল কমিটির সভাপতি)

২. নরেন মুর্মু (সমাজ বিশ্লেষক)