গোয়ালী গ্রাম কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন

গোয়ালী গ্রাম কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন

নবীনগরের গোয়ালী গ্রামের নামকরণের ইতিকথাঃ এস এম শাহনূর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, নবীনগর উপজেলার,২০ নং দক্ষিণ কাইতলা ইউনিয়নের অন্তর্গত গোয়ালী গ্রাম। আশপাশের গ্রাম গুলোর তুলনায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অত্র গ্রামটি পিছিয়ে থাকলেও এই গ্রামের নামকরণের সাথে জড়িয়ে রয়েছে এক ঐতিহাসিক পরিচয়। গোয়ালী গ্রামের নামকরণের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে অনেক খরকুটা পোড়াতে হয়েছে।ঝরাতে হয়েছে শরীরের ঘাম।ব্যয় করতে হয়েছে অনেক মূল্যবান সময়।এই তথ্যটি উদঘাটন করতে গিয়ে,সুবোধ বালকের মতো শুনতে হয়েছে বহু নবীন-প্রবীণ ব্যক্তির না বলা গল্প।কখনো মনের অজান্তেই আওড়িয়েছি বিশ্ব কবির গোয়ালিনী কবিতা।

“হাটেতে চল পথের বাঁকে বাঁকে,
হে গোয়ালিনী, শিশুরে নিয়ে কাঁখে।
হাটের সাথে ঘরের সাথে
বেঁধেছ ডোর আপন হাতে
পরুষ কলকোলাহলের ফাঁকে।”
(বিচিত্রিতা>গোয়ালিনী/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

কারণ,কেউ বলেছেন, গো চারণ ভূমি থেকে গোয়ালী।আবার কেউ বলেছেন গোয়াল,(স্ত্রী বাচক গোয়ালিনী-Dairymaid)গোপাল কিংবা গোলাপ থেকে গোয়ালী নামের উৎপত্তি হতে পারে। যেহেতু অঁজো পাড়াগাঁয়ের নামকরণের তথ্য গুলো লিখিত আকারে কোথাও লিপিবদ্ধ নেই,তাই নামকরণের ইতিহাস উদঘাটন করা সত্যিই কষ্টকর ও সময় সাপেক্ষ।কিন্তু না।গবেষণা ও আরো তথ্য সংগৃহীত হলে গোয়ালী গ্রামের নামকরণের ক্ষেত্রে উপরোক্ত কোন তথ্যই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়নি।গোয়ালী গ্রামের নামকরণের পিছনে রয়েছে মজার এক ইতিহাস।

★কেন লিখলাম?
আমার লেখা “মেহারী ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের নামকরণের ইতিকথা” এবং “কাইতলা গ্রামের নামকরণের ইতিকথা”র পর্বগুলো ধারাবাহিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকলে, গোয়ালী গ্রামের কিছু গুণী মানুষ আমাকে “গোয়ালী গ্রামের নামকরণের ইতিকথা” লেখার প্রস্তাব পেশ করেন। সুদীর্ঘ এক বছর পর গোয়ালী গ্রামের নামকরণের ইতিকথা” লেখার সৌভাগ্য হয়েছে। উপরোক্ত শিরোনামে বর্ণিত লিখা খানা সম্পন্ন করতে আমাকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থ,ব্যক্তি,কল্প কাহিনীর আশ্রয় নিতে হয়েছ।তবে এই লেখাটি সম্পন্ন করতে যিনি কিংবা যাঁহারা সময় অসময়ে আমাকে তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এখানে উনাদের সকলের নাম উল্লেখ করা সম্ভব না হলেও কিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করলে উনাদের প্রতি অবজ্ঞা করা হবে বলে মনে হয়। তথ্য দিয়ে যাঁরা সহযোগিতা করলেন-
* জনাব, মোঃ শাহজাহান
অতিরিক্ত মহাপরিচালক(অবঃ)
বাংলাদেশ রেলওয়ে।
* জনাব, ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
সহযোগী বিজ্ঞানী(আই সি ডি ডি আর বি)।
* জনাব, আলহাজ্ব নাঈমুল হক মাস্টার
প্রধান শিক্ষক(অব:)
সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়।
* জনাব, শেখ আব্দুস সবুর
সাব ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ।
* জনাব, মোঃ চৌধুরী শাহীন
জাপান প্রবাসী ও ব্যবসায়ী।
* জনাব, মোঃ মুন্সি সাব্বির আহমেদ
একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা- পরিচালক।
* জনাব,মোহাম্মদ আবু নাছিম
সহকারী শিক্ষক,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
* জনাব তারেক মাহমুদ ইকবাল
লন্ডন প্রবাসী।
* জনাব মোঃ দুলাল মোক্তার

★সীমানাঃ
উত্তরে- শংকরপুর।
পূর্বে- মূলগ্রাম ইউনিয়নের শেরপুর গ্রাম।
পশ্চিমে-বুড়ি নদী ও লাউর ফতেপুর ইউনিয়ন।
দক্ষিণে- অদের খাল ও কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রাম।

★একনজরে গোয়ালী গ্রামঃ
১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
১টি কিন্ডার গার্টেন
১টি কমিউনিটি ক্লিনিক
১টি ঈদগাহ মাঠ
১টি মাজার
১টি খেলার মাঠ
১টি অস্থায়ী বাজার
২টি মাদ্রাসা
২টি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা।
(কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও চৌধুরী বাড়ি)
৩টি মসজিদ
৩টি কবরস্থান

মোট জনসংখ্যা =৬০০০জন (প্রায়)
গ্রামের আয়তন =২.৬০ বর্গ কিলোমিটার(প্রায়)
পুরুষ ও মহিলার অনুপাত =৫২ঃ৪৮
শিক্ষার হার=৭৫%
দারিদ্র্যতার হার=১০%

পেশাঃ
কৃষিজীবি=৪০%
প্রবাসী =৩৫%
চাকুরীজীবি =১০%
ব্যবসায়ী =১০%
অন্যান্য =৫%

★গোষ্ঠী/গোত্র গুলোর নামঃ
ম্যাকাইভার ও পেজ এর মতে, “গোষ্ঠী বলতে আমরা বুঝি কোন সামাজিক ব্যক্তির সমষ্টি, যারা পরস্পরের সঙ্গে নির্দিষ্ট সম্পর্কে সম্পর্কযুক্ত।” গোয়ালী গ্রামে রয়েছে বেশ কিছু গোষ্ঠী।যারা নিজ নিজ গোত্রের গন্ডির মধ্যে থেকেও অপরাপর গোষ্ঠীর মানুষজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দীর্ঘকাল পাশাপাশি বসবাস করে চলেছে।

* নঘইরা(নয় ঘর) গোষ্ঠী
* বলু সরকারের গোষ্ঠী
* সফরের গোষ্ঠী
* এরেকের গোষ্ঠী
* মন্তাজ সরকারের গোষ্ঠী
* ফয়জুদ্দিন সরকারের গোষ্ঠী
* মাহমুদ হোসেনের গোষ্ঠী
* কলিমের গোষ্ঠী
* রফির গোষ্ঠী
* কান্দা সরকারের গোষ্ঠী
কথায় বলে,”দাদার নামে গাধা,বাপের নামে আধা,নিজের নামে শাহজাদা”। আজকাল একান্ন পরিবার ভেঙ্গে যেমন একক পরিবারের জৌলুস বেড়েছে। ঠিক তেমনি এক সময়ের সমাজ বদ্ধ মানুগুলো নিজের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।তাই গোষ্ঠী /গোত্র গুলোও ভেঙে ভেঙে পরিচিতি পাচ্ছে বাড়ি হিসাবে।গোয়ালী গ্রামের তেমনি কয়েকটি পরিচিত বাড়ির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
★বাড়ি গুলোর নামঃ
চৌধুরী বাড়ি
সরকার বাড়ি
হাজারী বাড়ি
মুন্সি বাড়ি
গাজী বাড়ি
শেখ বাড়ি
মাষ্টার বাড়ি
নোয়া বাড়ি
পোড়া বাড়ি
চেয়ারম্যান বাড়ি
সরদার বাড়ি

★সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন সমূহঃ
* গোয়ালী জনকল্যাণ পরিষদ
* পূর্বাশা ক্লাব
* একতা ক্লাব
* গোয়ালী স্টুডেন্ট ফোরাম
* গোয়ালী স্পোর্টিং ক্লাব
* মুন্সি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন
* গোয়ালী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ

★মুক্তিযুদ্ধে গোয়ালী গ্রামঃ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে পাকসেনাদের বুলেটের গুলিতে তাজা রক্তে রক্তাক্ত হয়েছে গোয়ালী গ্রামের পবিত্র মাটি।এখানেও পাকিস্তানিরা অগ্নি সংযোগ করেছে,অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছে,নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দেশপ্রেমিক সাধারণত মানুষকে।চৌধুরী বাড়ি থেকে হায়েনাদের ছুড়া ভারী মর্টারের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বল্লভপুর গ্রামের মোঃ মোহন মিয়া সরকার সহ আরো অনেকে। এলাকা ছেড়েছেন সাধারণত জনতা। জাতির এমন ক্রান্তিলগ্নে গোয়ালী গ্রামের বহু তরুণ সরাসরি সম্মুখ সমরে অংশ গ্রহণ করেন।এঁরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। সরকারি গেজেট মোতাবেক মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকায় গোয়ালী গ্রামের
যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন-

জনাব, মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
জনাব, মোঃ মুন্সি শাহজাহান
জনাব, ড.জসীম উদ্দিন
জনাব, আব্দুর রউফ মিয়া
জনাব, সার্জেন্ট আবুল কাশেম
জনাব, সার্জেন্ট আব্দুল কুদ্দুস
জনাব, মোঃ মাজেদুল ইসলাম মিন্টু
জনাব, মোঃ এলাহী মিয়া
জনাব, মোঃ আবুল কাসেম
জনাব, মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া
জানাব,মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া
জনাব, মোঃ আবুল খায়ের মিয়া
জনাব,মোঃ রফিকুল ইসলাম

গোয়ালী নামকরণঃ
কথিত আছে যে,গোয়াস আলী মাহমুদ নামক সুঠাম দেহের অধিকারী এক সাহসী যুবকের নামানুসারে গোয়ালী গ্রামের নামকরণ হয় গোয়ালী।

নামকরনের পিছনের ইতিহাসঃ
বহু আগে থেকেই নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রাম নানাবিধ কারণে প্রসিদ্ধ ছিল। বছরজুড়ে যাত্রাপালা, নাটক, নাচ-গান, পুতুল নাচ, সার্কাস; হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা-পার্বণ এবং শ্রী কৃষ্ণ কীর্তন সহ নানা অনুষ্ঠানে মুখরিত থাকত যে গ্রাম তার নাম কাইতলা। নুরনগর পরগনার জমিদারির ইতিহাস থেকে জানা যায়, এক সময় কাইতলা জমিদার বাড়ি ছিল এতদ অঞ্চলের একটি পূর্ণাঙ্গ জমিদার বাড়ি। নির্ভরশীল তথ্য থেকে জানা যায়, আঠার শো শতকের প্রথম দিকে কাইতলা জমিদার বাড়ির প্রথম জমিদার বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী জমিদারি প্রাপ্তি উপলক্ষে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।ঐ অনুষ্ঠানে এলাকার কুলিন ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারন প্রজাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কোন এক অজ্ঞাত কারণে উপস্থিত দুই দল দর্শকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জমিদারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বর্তমান মুরাদনগর উপজেলার দেওড়া/ডালপাড় গ্রামের গোয়াস আলী মাহমুদ নামক সুঠাম দেহের অধিকারী এক সাহসী যুবক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী উভয়পক্ষকে নগদে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে অনুষ্ঠানের শান্তিময় পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। অনুষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসলে জমিদার তার পাইক বরকন্দাজের মাধ্যমে ঐ সাহসী যুবককে কাছে ডাকলেন। তিনি যুবকের নাম পরিচয় জানলেন। যুবকের নাম ছিল গোয়াস আলী মাহমুদ। জমিদার বাবু যুবকের সাহসিকতার প্রশংসা করলেন। তিনি যুবককে পরিবারসহ কাইতলা গ্রামের পশ্চিমে বর্তমান মহেশ রোডের পশ্চিম পাশে তখনকার সময়ের এক উর্বর চারণ ভূমিতে এসে বসবাস করার পরামর্শ দিলেন। অবশ্য তখনও এই চারণভূমিতে বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার বসবাস করত বলে জানা যায়।গোয়াস আলী মাহমুদ যখন থেকে সপরিবারে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন।এর পর থেকেই এই চারণভূমির নাম হয় গোয়া(স)+আলী=গোয়ালী।

গোয়াস আলী মাহমুদ এর উত্তরসূরী ছিলেন সুজাত মুহুরী এবং নাজাত মুহুরী নামক দুই ভাই।উনারা তৎকালীন সময়ে গাঁয়ের পড়ালেখা জানেওয়ালাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বলে জানা যায়। তাঁদের কোন পুত্র সন্তান ছিল না।তাই বংশ রক্ষার জন্য মেয়েদের বিয়ে দিয়ে বরকে নিজস্ব ভিটা মাটিতে থাকার ব্যবস্থা করেন।গোয়ালী গ্রামে সেই প্রাচীন বংশের দৌহিত্রদের মধ্যে মোঃ আব্দুল হান্নান, মোঃ আদিলক, মোহাম্মদ আলী প্রমুখরা এখনও গোয়ালী গ্রামের আদিবসতি/প্রথম মুসলিম পরিবারের গৌরব বহন করে চলেছেন। আরো জানা যায়, গ্রামের প্রাচীন বংশের উক্ত লোকজন দীর্ঘকাল যাবৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সকল প্রয়োজনে আলীম বেপারীর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছেন।

★চিকিৎসকঃ
* ডাঃ তাজুল ইসলাম সরকার( হোমিওপ্যাথি)
পিতা: মরহুম সূরুজ মিয়া সরকার।
তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে শাহাদাৎ বরণ করেন।
* ডাঃ আব্দুল মজিদ চৌধুরী
(এমবিবিএস,স্কিন স্পেশালিষ্ট)
* ডাঃ মোঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী
* ডাঃ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম শিমু
* ডাঃ মরহুম আব্দুল খালেক
(হোমিওপ্যাথিক)
* ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ
(এলোপ্যাথিক)
* ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন সংগ্রাম
(পল্লী চিকিৎসক)

★সমাজ সংস্কারকঃ
* মরহুম বলু সরকার
* মরহুম আশ্রাব আলী সরকার
* মরহুম মোহাম্মদ এরেক সরকার
* মরহুম আব্দুর রাজ্জাক চাষী
* মরহুম মফিজুল ইসলাম চৌধুরী
* আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
(সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান)
* মোঃ মাজেদুল ইসলাম চৌধুরী
(সাবেক ইউপি মেম্বার)
* মরহুম আব্দুল আলীম বেপারী
* হাজী মোঃ সিদ্দিক মিয়া

★দলিল লেখকঃ
* মরহুম বজলু মুহুরী
* মরহুম আলী নূর মুহুরী
* মোহাম্মদ দুলাল মোক্তার

★শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীঃ

* মরহুম মোঃ আব্দুল খালেক
সাবেক প্রধান শিক্ষক,
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
* জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
*মোঃ শামীম মিয়া
সিনিয়র শিক্ষক,
কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়।
* মোঃ শফিকুল ইসলাম
হেড মাওলানা,
নারায়ণগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
* মরহুম মুজিবুর রহমান
সহকারী শিক্ষক,
গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
* মোহাম্মদ আবু নাছিম
সহকারি শিক্ষক,
বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
* মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
সহকারী শিক্ষক,
* মোহাম্মদ আবু কাউসার
সহকারি শিক্ষক,
শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
* মিসেস কাউসার সুলতানা
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,
গোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
* মিসেস শামসুন্নাহার বেগম
সহকারী শিক্ষক,
গোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
* মো: হেলাল উদ্দিন
প্রধান শিক্ষক,
রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
* মাওলানা ফারুক আহমেদ,
সহকারী শিক্ষক,
নারায়নগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
* মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সহকারী অধ্যাপক,
গণিত বিভাগ, বন্দর মহিলা কলেজ,নারায়নগঞ্জ।
* সালমা আক্তার
সহকারী শিক্ষক,
বাদৈর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়।
* মোঃ সাদেক সরকার
* মোঃ সোহেল সামাদ সরকার
* মোঃ দ্বীন ইসলাম
* মোঃ কামাল হোসাইন
* মোছাম্মৎ জুলেখা আক্তার
* মোছাম্মৎ রুমা আক্তার
* মোঃ রুহুল আমীন
* মোঃ ইসমাইল হোসেন

★বিশেষ ব্যক্তিত্বঃ

* মরহুম আশ্রাফ আলী সিপাহী।
গ্রামের প্রথম পুলিশের চাকুরীজীবি।

* মোঃ ওয়ালী নাজির চৌধুরী (জন্ম-১৮৭৫- মৃত্যু-১৯৭৫)।
গ্রামের প্রথম এন্ট্রাস(মেট্রিক)পাশ করা শিক্ষিত গুণী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি।
কর্মজীবনে তিনি কুমিল্লা ভূমি অফিসে নাজিরের চাকরি করতেন।পরবর্তীকালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে প্রজাস্বত্ব আইনের অধীনে নিজ এলাকায় বিপুল পরিমান জমিজমা ও খাজনাদি আদায়ের অধিকার লাভ করেন।

* শহীদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকসেনা কর্তৃক নিজ বাড়িতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন।পরে তাঁকে গাঙ্গের কুট কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

* জনাব,মুন্সি মোঃ শাহজাহান
অতিরিক্ত মহাপরিচালক(অব:)
বাংলাদেশ রেলওয়ে।

* ড. মোঃ জসীমউদ্দিন
সহযোগী বিজ্ঞানী(আইসিডিডিআরবি)

* জনাব, ব্রিগেডিয়ার আরিফুল হক চৌধুরী

* মাহফজুল ইসলাম চৌধুরী
পিতা: শহীদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
পেশা: সাবেক সহকারী সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ.

* প্রফেসর ডাঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী নাজিম
পিতাঃ মরহুম মমিনুল ইসলাম চৌধুরী
নিউরো স্পেশালিষ্ট, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ।

* শহীদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বড় কন্যা হোসনেআরার সুযোগ্য পুত্র অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী
বিমান বেসামরিক ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

* বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।
সৈয়দাবাদ সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও গোয়ালী গ্রামের প্রথম ছাত্রনেতা।
এএসআই আব পুলিশ(অবঃ)।

*এ কে এম তানভীর আহমেদ চৌধুরী (সেলিম)
বিশিষ্ট গাড়ী ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক।
উনি শহীদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে আজিজুল ইসলাম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র।

* মরহুম শেখ আব্দুস সালাম
উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা।

* জনাব, মো আলাউদ্দিন
এএসপি,বাংলাদেশ পুলিশ।

* জনাব, মোঃ মাহবুবুর রহমান নিপু
লেবার ইন্সপেক্টর জেনারেল,
কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর।

*জনাব, আলহাজ্ব মোঃ আবুল বাশার মহাজন
(শিক্ষানুরাগী)

* জনাব, মোঃ সুবেহ সাদেক
(শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক)

➤তথ্যসূত্রঃ
[১] নামকরণের ইতিকথা।। এস এম শাহনূর

💻লেখকঃ এস এম শাহনূর
( কবি ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক )