শংকরদিয়া গ্রাম গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

শংকরদিয়া গ্রাম গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়ন

শংকরদিয়া গ্রাম কুষ্টিয়া শহর থেকে বিত্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ড ও ঝাউদিয়া বাজার হয়ে যেতে ২০ কি:মি দূরে অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর থেকে ট্রেনে হালসা হয়ে পাটিকাবাড়ী ও দূর্গাপুর হয়েও আসা যাওয়া করা যায়। এক্ষেত্রেও দূরত্ব একই হয়। শংকরদিয়া গ্রামের পূর্বে আসান নগর, দক্ষিণে শরীফ পুর, পশ্চিমে নরহরিদিয়া ও উত্তরে আড়পাড়া গ্রাম অবস্থিত। নরহরিদিয়া গ্রামের পশ্চিম দিক দিয়ে কুমার নদী বহমান যা পার হয়ে আলমডাঙ্গা শহরে যাওয়া যায়। আবার দক্ষিণে ঐ কুমার নদী পার হয়ে ঘোষবিলা গ্রামে যাতায়াত করা যায়।

শংকরদিয়া গ্রামে মুসলমান ও হিন্দু এই দুই সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। জনসংখ্যা মোটামুটি ১০,০০০। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কামার, কুমার, কাঠ মিস্ত্রিদের বসবাস। এদের মধ্যে স্বর্ণকার, লৌহকার, কার্পেন্টার বা কাঠ মিস্ত্রিদের স্ব স্ব পেশায় নিয়োজিত আছে। মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ৯২% ও ৮% শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। মুসলমানদের মধ্যে নানা পেশার লোকজনের বসবাস। তবে অধিকাংশই কৃষিজীবি। এছাড়া সরকারী চাকুরীজীবি ও স্কুল কলেজের শিক্ষকও আছেন।

শংকরদিয়া গ্রামে একটি কলেজ, একটি হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুল আছে। হাইস্কুলটি মরহুম আবু বকর যিনি বড়মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। শংকরদিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন বড় মিয়ার সুযোগ্য প্রথম সন্তান জনাব মাসুদ উদ দারাইন ওরফে দারা মিয়া যিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের ডেপুটি কন্ট্রোলার হিসেবে রিটায়ার করেন।

শংকরদিয়া গ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তিদের তালিকা :-

  • মরহুম আবু বকর বড় মিয়া (কবি ও শিক্ষক, PTI),
  • মরহুম আমিনুল ইসলাম মেজ মিয়া (ডাক্তার),
  • মরহুম আহাম্মদ আলী ছোট মিয়া (শংকরদিয়া গ্রামের শিক্ষার কান্ডারী যিনি বৃটিশ আমলে প্রাইমারি স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন ও সুদীর্ঘ ৪০ বছর শংকরদিয়া সহ আশেপাশের গ্রামের ছেলে মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেন।,
  • মরহুম ইউনুছ আলী যিনি দীর্ঘ কাল দূর্গাপুর ই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন।
  • মরহুম সেকেন্দার দারাইন যিনি বাংলাদেশ বিমানের Accounts Manager হিসেবে দুবাইয়ে চাকুরীরত অবস্থায় ওমরা পালনের জন্য দুবাই থেকে সড়ক পথে সৌদি আরবের সীমান্তে মারা যান,
  • মরহুম খন্দকার বদিউজ্জামান আজাদ মিয়া ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাক্তার হিসেবে চাকুরী করেন, ইন্জি: কায়সার দারাইন যিনি বর্তমানে Tokai Power Products এর CEO, উনার কম্পানী বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও মিটার ইত্যাদি তৈরী করে.
  • জনাব মওলা বক্স উনি বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল এসপি হিসেবে রিটায়ার করে অবসর যাপন করছেন,
  • খোন্দকার বদরুল আলম সেন্সাস মিয়া একজন মেকানিক্যাল ও ম্যানুফ্যাকচারিং এ বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ক্যানাডাতে চাকুরী করে ব্যুৎপত্তি অর্জন করে বর্তমানে ক্যানাডাতে অবসর যাপন করছেন এবং দেশেও ছুটি কাটাতে আসেন,
  • জনাব নজরুল ইসলাম ইনি আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে অবসর নেওয়ার পরে আলমডাঙ্গাতে অবসর যাপন করছেন.
  • ডা: সামাদ ইনি আমেরিকার নিউইয়র্কে সপরিবারে বসবাস করেন,
  • ডা: সালমান ইনি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন চিকিৎসক এবং আলমডাঙ্গাতে বসবাস করেন,
  • জনাব মহিদুল ইসলাম ইনি বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের একজন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন, জনাব টীপু মিয়া ইনি শংকরদিয়া কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত আছেন, জনাব আলহাজ্ব কামাল শাহ্ ইনি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ও বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন,
  • মরহুম আব্দুল বারী ইনি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ও অবসরকালীন মারা যান, জনাব কামাল উদ্দিন ইনি একজন সমাজ সেবক এবং ঢাকায় ও আলমডাঙ্গাতে অবস্থান করে গ্রামে হরহামেশা আসেন ও গ্রামবাসীর সুখ দুঃখে কাছে থাকেন, জনাব ফিট্টু ইনি থানা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন,
  • জনাব মন্টু ইনি পুলিশ বিভাগের ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন, জনাব সুজন ইনি আমেরিকাতে বসবাস করছেন,
  • বাবু সচীন্দ্রনাথ কর্মকার ইনি শংকরদিয়াতে গ্রাম ডাক্তার হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং আলমডাঙ্গাতে অবস্থান করছেন,
  • সুব্রত কর্মকার ইনি একজন সফ্ট ওয়্যার ইন্জিনিয়ার, শ্যামলী কর্মকার ইনি একজন ডেন্টিষ্ট হিসেবে গ্রামের জনগনকে সেবা দিয়ে আসছেন,
  • জনাব আব্দুর রশীদ ইনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে অবসর জীবন যাপন করছেন,
  • জনাব আজম আলী ইনিও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে অবসর নেওয়ার পরে অবসর জীবন যাপন করছেন।