মঙলশাহ গ্রাম কাজলশাহ ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

মঙলশাহ গ্রাম কাজলশাহ ইউনিয়ন

 গ্রাম পরিচিত : আমাদের গ্রামের নাম মঙলশাহ। গ্রামখানি সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় উত্তর পশ্চিম দিকের মধ্যখানে অবস্থিত। গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে একটি আঁকাবাঁকা ছোট্ট নদী এবং পাশেই রয়েছে একটি মাঝারি আকারের বিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তোলেছে এক শান্তির দ্বীপ।

আয়তন ও লোকসংখ্যা : আমাদের গ্রামটি জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের একটি মাঝারি গ্রাম। গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার প্রস্থ এবং পূর্ব-পশ্চিমে দুই কিলোমিটার প্রস্থ। গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় এক হাজার দুই শত। আমদের গ্রামটি মিলনের অনন্য নাজির এখানে মুসলিম-হিন্দু ধর্মের লোকই মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে।

ভূ-প্রকৃতি : আমাদের গ্রামটি গ্রাম বাংলার এক সুন্দর্যের প্রতীক । গ্রামের সম্পূর্ণ জমিই সমতল। মাঝেমধ্যে বসতবাড়ি ও তার চারপাশে বিভিন্ন ফলজ গাছপালা, ছোট-বড় বাঁশঝাড় গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে।

যাতায়াত ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে আমাদের গ্রাম অনেক উন্নত।পঞ্চায়েত রাস্তার মাধ্যমে গ্রামটি পাশের জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত। গ্রামের প্রধান সড়কগুলি পাকা এবং প্রশস্ত । তাই জেলার মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্তা খুব ই সুন্দর । মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।

উৎপন্ন দ্রব্য : মূলতঃ আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। তাছাড়া একাংশ মানুষ গ্রামের ছোট্ট নদী ও ঝিল থেকে মাছ ধরে এবং ধান চাষ করে জীবিকা উপার্জন করে। আমাদের গ্রামের কৃষকদের চাষের প্রধান উৎস হলো ধান। জমি উর্বর হওয়ার দরুন বিশেষ কোনো আধুনিক টেকনোলজি না থাকা সত্ত্বেও কৃষকেরা ভালো ফসল পেয়ে থাকে।গ্রামের কৃষকরা খুবই পরিশ্রমী বলে জমি কখনোই পতিত ফেলে রাখে না। বছর জুড়ে নানা সময়ে নানা ফসল ফলানো হয় ।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান : আমাদের গ্রামে একটি হাফিজি মাদ্রাসার পাশাপাশি একটি এতিমখানা ও নবনির্মিত একটি হাসপাতাল, এবং দুইটি মসজিদ ,একটি সরকারি ক্লিনিক রয়েছে। তাছাড়া যদিও আমাদের গ্রামে কোনো দাখিল মাদ্রাসা বা স্কুল নেই, তবে গ্রামের পাশেই রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা, দুইটি প্রাইমারী স্কুল, এবং দুইটি হাইস্কুল।

গ্রামের আবহাওয়া : আমাদের গ্রামের আবহাওয়া খুব মলিন ও সুন্দর। বিন্দুমাত্র কোনো শব্দদূষণ নেই। তাছাড়া গ্রামের মানুষ নিরীহ ও প্রকৃতি প্রিয়।গরম ঠান্ডা উভয় ঋতুতে গ্রাম ভিন্ন ভিন্ন রূপে পরিণত হয়।

খেলাধুলা: আমাদের গ্রাম খেলাধুলার দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই! গ্রামের ছোট্ট নদীর তীরে অবস্থিত বিশাল সবুজ ঘাসের মাঠ। এখানে ফুটবল ক্রিকেট এর পাশাপাশি হাডুডু খেলাও হয়। তাছাড়া গ্রামে দুইটি ফুটবল ক্লাব এবং একটি ক্রিকেট ক্লাব রয়েছে।

সবশেষে,,,  আমাদের গ্রাম আমাদের জেলার মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম।আমাদের গ্রাম দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার ফলে সবাই পড়াশুনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং অনেক ছেলে মেয়েরা বাহিরে গিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের গ্রামের প্রতি গর্ব অনুভব করি এবং ভালোবাসি। এককথায়, আমার চোখে আমাদের গ্রাম বিশ্বের সেরা গ্রাম।