বড় পলির গাঁও ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়ন

বড় পলির গাঁও ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়ন

বড় পলির গাঁও ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়ন

মৌজাঃ দক্ষিণ লাকেশ্বর।

আমার গ্রামের উত্তর এবং পশ্চিম সীমান্ত নদী দ্বারা বেষ্টিত। দক্ষিণ দিকে আবাদী ফসলের মাঠ পেরিয়ে ভাটিপাড়া গ্রাম, পূর্ব দিকে সিংরাওলী ও ছোট পলির গ্রাম এবং পশ্চিম-দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে “বুরাইয়া ও ছৈলা গ্রাম অবস্হিত। উত্তর দিকে নদীর উত্তর পাড়ে লাকেশ্বর অবস্হিত। যাহা এক সময় সুনাইত্তা নামে পরিচিত ছিল। গ্রামের উত্তর দিকে “বিশাল বাজার নাম তার লাকেশ্বর বাজার” পূর্বেকার জমিদার এবং বড় বড় হিন্দু কোটিপতিদের বসবাস ছিল এই লাকেশ্বরে। 

লাকেশ্বর নামকরনের ইতিহাস

২ টি নাম করনের মতামত প্রচলিত আছে

বৃটিশ আমলে হিন্দু জমিদারেরা এই এলাকার মালিক ছিলেন, তখন নাম ছিল “নাগেশ্বর”।

ইংরেজ সাহেবরা যখন বাংলা দখল করে নিলেন, তারা এই এলাকা পরিদর্শনে আসলেন। কারন এই এলাকায় “মির্যা মোহাম্মদ” নামের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ধনী বসবাস করতেন। যার বংশধরেরা বর্তমানে উক্ত এলাকার কয়েকটি গ্রামে বসবাস করেন। ইংরেজ সাহেবরা মির্যা সাহেবকে খুব মান্যগণ্য করতেন। তারা “নাগেশ্বর” উচ্চারণ করতে পারতেন না। সাহেবরা ন কে ল উচ্চারন করতেন। আর সেই থেকে নাগেশ্বর দিনেদিনে “লাকেশ্বরে” রূপ নিল।

২য় মত হল।

১৮শতকের ১ম দিকে হিন্দুরা যখন ইংরেজ সাহেবদের প্রিয়জন হয়ে উঠলেন, তখন সকল ভূমির মালিক ইংরেজরা হিন্দুদের করে দিলেন। দিনে দিনে হিন্দুরা জমিদার লাট বনে গেল। তারাই তখন এই এলাকায় “লাখের বাত্তি” জ্বালিয়েছিল। কতিত আছে এই লাকেশ্বরে যে জমিদার ছিল ‘তার নাকি ৯৯৯ হাল খামার” ছিল। (১২ বিঘা= ১ হাল).

লাকেশ্বর মূলত ২ ভাগে বিভক্ত, মাঝ বরাবর নদী, নাম তার ঢালার গাং। নদীর দক্ষিণ অংশ হল বড় পলির গ্রাম এবং ছোট পলির গ্রাম নামে প্রতিষ্টিত। উক্ত গ্রামে ১ টি মসজিদ, ১ টি উচ্চ-বিদ্যালয়, ১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ টি কেজি স্কুল “হলি ফ্লাওয়ার একাডেমী” নাম আছে। গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি ছোট বিল আছে স্হানীয় ভাষায় যাকে ঝাই বিল নামে ডাকা হয়। গ্রামের মাঝ দিয়ে ১ টি ছোট খাল প্রবাহিত হয়ে গ্রামকে ২ ভাগে বিভক্ত করেছে।

তবে দুঃখের বিষয় গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্হা খুবই নাজুক

আমার গ্রামে ১ টি খামার আছে “বঙ্গবন্ধু বহুমুখী খামার”

গ্রামের ১০০% মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কম বেশ ৬০% মানুষ ব্যবসায়ী এবং ১৫% প্রবাসী, ১০% কৃষিজীবিত, বাকিরা অন্যান্য। ” 

গ্রামের ৯০% নাগরিক স্বশিক্ষিত। ০৫% মানুষ উচ্চশিক্ষিত। দারিদ্র্যতার হার ০৫%.

IMG 20201012 052706 371 17b4eca9
Screenshot 2020 10 12 051544 0b8cd8fa