বিষ্ণুপুর গ্রাম আঠারোবাড়ী ইউনিয়ন
খালবলা বাজার সংলগ্ন, ( উত্তর-পশ্চিম ) পাশে কাচাঁ মাটিয়া নদীর ঘেষে অপরূপ সুন্দর একটি গ্রাম বিষ্ণুপুর। এই গ্রামের রয়েছে হাজারো ঐতিহ্য ও ইতিহাস। এই গ্রামে রয়েছে মসজিদ,মাদ্রাসা,মক্তব, স্কুল। এই গ্রামের মানুষ জন খুব ন্যায় পরায়ণ। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জনই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। তন্মোধ্যে রয়েছে অটো ড্রাইবার,ট্রাক,নসিমণ ড্রাইবার এর সাথে জড়িত মানুষ জন। এক কালে এখানে হিন্দু দাদারা বসবাস করতেন। ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনারা দেশ ত্যাগ করে চলে যান। ( মুরব্বিদের কথা ) এই এলাকায় ভুইয়াদের গ্রাম বললেও ভুল হবে না। এই এলাকয় ঘুরলেই বেশ ভুইয়া বাড়ি পাওয়া যায়।
আঠারবাড়ী ইউনিয়ন এর মধ্যে এই গ্রামকে অন্যতম গুরত্ব বহন করে, কেননা এখানের মাটি বেশ কৃষি উপযোগী যা গ্রামের চাহিদা মিটিয়ে বাজার সহ পাশ্বর্বতী থানা তেও পাঠানো হয়।
এখানে রয়েছে শত বছরের পুরনো পুকুর ও বেশ কয়েকটি বড় পুকুর ও পাওয়া যাবে। গ্রামের অসংখ্য আধা পাকা – বাড়ি থাকলেও বেশির ভাগ বাড়ি টিনের তৈরি। যদিও মানুষের জীবন যাত্রার মান দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গ্রামের 99% ছেলে – মেয়েরাই স্কুলে যায়। এই গ্রামে অসংখ্য মেধাবীদের জন্মস্থান।
এই গ্রামে মাঝ বরাবর একটি পাকা রাস্তা রয়েছে। ( বর্তমানে সংস্কার যোগ্য ) যেটি সুটিয়া,ভাদাটি,মহেশপুর, খালবলা ( শিবগঞ্জের বাজার ) এবং রায় বাজারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।
বিষ্ণুপুর পূর্বপাড়া ইসলামিক মাহফিল আয়োজনে বিখ্যাত। এই গ্রামে অসংখ্য আলেম-উলামাদের সংস্পর্শ এসেছে।
এই গ্রামের মানুষ খুবই বন্ধুসুলভ ও আপ্যায়নে বেশ আগ্রহী। আজকে এই এখানেই , আমি এই গ্রামের সবসময় মঙ্গল কামনা করি।
লেখক: ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল ( অধ্যয়নরত বিএসসি )