বর্নী গ্রাম ডুবাইল ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

বর্নী গ্রাম ডুবাইল ইউনিয়ন

আমার গ্রামের নাম বর্ণী। আমার গ্রাম আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। কারণ এই গ্রামেই আমার জন্ম, বড় হওয়া, শিক্ষার হাতে খড়ি, শিশু কিশোর কাল যৌবনকাল সব এই গ্রাম থেকেই পেয়েছি।

অবস্থানঃ আমাদের গ্রামটি ঢাকা বিভাগের টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার থানার  ডুবাইল ইউনিয়ন এর ৪নং ওয়ার্ডেে আমাদের বর্ণী গ্রামের অবস্থান।

গ্রামের উত্তর মটরা গ্রাম, পূর্ব পাশে পড়াইখালি গ্রাম, দক্ষিন পাশে বাড়পাখিয়া গ্রাম ও লৌহজং নদী এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে সুবিশাল ফসলি মাঠ, তারপর আছে পেরাগজানি গ্রাম,

আর গ্রামের ভেতর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পাকা রাস্তা রয়েছে।

আমাদের গ্রামটি প্রায় ৩ কিমি লম্বা।

এখানে প্রায় ১৫০০ ঘর লোকের বসবাস।

আমাদের গ্রামের 100% মানুষ মুসলিম।কোন হিন্দু মালুর জাত নাই।নামাজ পড়ার জন্য রয়েছে ৬টি মসজিদ,এছারাও একটি বড় বাজার রয়েছে। বাজারে পোলাপাইন ভরপুর আড্ডা মারে।শাহীন এর দোকানের পিছে জাইয়া পোলাপান বিড়ি খায় আর ওয়াইফাই চালায়। বাজারে গুরা থেকে বুড়া সবাই একসাথে ক্যারাম খ্যালে। বাজারে আছে ১৭ টা দোকান। আফসোস বাজারের রাস্তাটা এখনও পাকা হইল না 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ রয়েছে একটি সরকারি প্রাইমারী স্কুল, একটি উচ্চবিদ্যালয় যার নাম বর্ণী সুফিয়া উমর উচ্চ বিদ্যালয়, আরো আছে একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও মক্তব।আমাদের গ্রামে কোন কলেজ নাই। কিন্তু মইসাল পাড়ার পোলাপাইন নিজেগো কলেজ পাড়ার পোলাপাইন দাবী করে। 

বিনোদনঃ বিনোদনের জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। যেখানে নিয়মিত খেলাধুলা হয়।

ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলা হয়।

উল্লেখযোগ্য স্থানঃএই গ্রামে উল্লেখযোগ্য অনেক স্থান রয়েছে।যেমন পুর্ব পাড়ায় আছে টুকের পাড়, যেখানে সবাই গাজা খায়।আর পশ্চিম পাড়ায় আছে হামিদের টাল আর পল্টন পাড় যেখানেও অনেক গাজা খোরদের আনাগুনা। গ্রামে আরও উল্লেখযোগ্য জায়গা হলো তালতলা সেখানে সব ধরনের কাজ চলে মাল খাওয়া থেকে মাগিবাজি সব চলে।

পেশাঃ এই গ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোক বাস করে। কেউ কৃষি, চাকরি, কেউ নির্মাণ কাজ, বাশের কাজ, কেউ বা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত।এবং অনেক গাজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ও আছে।

ফসলঃ ধান, পাট,গম, সরিষা,কালাই, লেবু ইত্যাদি ফসল জন্মে।

বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিগনঃ আমাদের গ্রামের বিশিষ্ঠ ব্যাক্তি হলেন এই গ্রামের মেম্বার জনাব বাঘা। তিনি সবাইকে বাইঞ্চুদ বলে গালি মারে। আর খুব ফাফর মারে মনে হয় হালায় এমপি। আরও একজন হলেন বাদশা।তিনি ফকিন্নিচুদা হইলেও নিজেকে বাদশা বলে অভিহিত করে থাকেন।