ফুলগাছ গ্রাম মোগলহাট ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

ফুলগাছ গ্রাম মোগলহাট ইউনিয়ন

আমার বাড়ি ১নং ফুলগাছ  মোগলহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড।আমার জম্ম এখানেই, এ গ্রাম এর পরিবেশ অনেক সুন্দর, এ গ্রামটি লালমনিরহাট শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত।

জনশ্রুতিতে জানা যায় যে এ গ্রামে আগে অনেক ফুলগাছ ছিল, সেখান থেকেই এর নামকরন। ফুলগাছ নামে তিনটি গ্রাম আছে, ফুলগাছ,১নং ফুলগাছ এবং ২নং ফুলগাছ, ফুলগাছকে আাবার রেলগেটও বলা হয়, আর ২নং ফুলগাছকে দোপাপাড়া বলা হয়

আমার গ্রাম এর পূর্ব দিকে ঈদগাহ মাঠ, পশ্চিম দিকে রেললাইন, উওরে একটি বিখ্যাত মোড় আছে, নাম চাপার মোড়, জানা যায় এখনের মানুষ নাকি বেশি চাপা মারে, এর আরেক নাম এস মোড়, দেখতে অনেকটা S  এর মতো।

আমাদের গ্রাম অপরুপ সুন্দর,  আমাদের গ্রাম এর মানুষ কৃষিজীবী। বিশেষ বিভিন্ন জাতে বীজ উৎপাদন করা হয়, যেমন করলা, টমেটো, ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়া,পানি কুমড়া, মরিচ, লাউ, ঝিগ্ঙা,এসব এর হাইব্রিড বীজ উৎপাদন করা হয়।  এছাড়া এ গ্রাম এ প্রচুর পরিমান এ সবজি চাষ করা হয়, এ জায়গার মাটি খুবই উর্বর। 

আমাদের গ্রামে দুজন ডাক্তার, ব্যাংকার, ওসি,সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, শিক্ষক, চাকরিজীবী আছে। অনেকে আমাদের গ্রামকে চাকরিয়ালা পাড়া বলে থাকে, আসলে অন্যান্য গ্রাম থেকে আমাদের গ্রাম এ একটু চাকরিজীবী বেশি। এছাড়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আফসার মিলিটারি,  অবসর প্রাপ্ত কমান্ডার। তাকে সবাই মিলিটারি নামে চিনে।

এছাড়াও আরও একজন আছে, যিনি খাদ্য মন্রী নামে পরিচিত, ফজল করিম মন্রী, মন্রী না বললে কেউই চিনবে না। লোকেমুখে শুনা যায় তিনি নাকি গরিব মামুষদের খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করতেন, সেই থেকে তিনি খাদ্য মন্রী নামে পরিচিত। যা হোক এসব জিনিস নিয়ে আমাদের গ্রামটা  অনেক সুন্দর,  যদিও আমাদের গ্রামে কোন নদী নাই।

এ গ্রামের মানুষ অনেক ভাল ও ভদ্র,  তবে এখন কিছু টোকাই দেখা যায়, যাহোক আমাদের গ্রাম এ আসার আমন্ত্রণ থাকলো, আসলে আপনাদের অনেক ভাল লাগবে। আশা করি।