নাওভাঙ্গা গ্রাম জহিরাবাদ ইউনিয়ন

নাওভাঙ্গা গ্রাম জহিরাবাদ ইউনিয়ন

নাওভাঙ্গা গ্রাম জহিরাবাদ ইউনিয়ন

নাওভাঙ্গা একটি চরাঞ্চল গ্রাম। এটি মেঘনা নদির তিরে অবস্থিত। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে পূর্ব দিকে অবস্থিত। বিগত প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে এটি বিলিন হয়ে যায়। তারপর প্রায় ২০-২৫ বছর আগে নতুন করে চর জাগে এবং ধীরে ধীরে মানুষ জন চাষাবাদ করতে আসতো এবং যখন চর বিশাল বড় আকারে জেগে উঠে তখন মানুষ বসবাস করতে শুরু করে এখন প্রায় ৪০ টি বসত বাড়ি এবং সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রতে প্রায় ২০০ পরিবার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে প্রায় ১২০০-১৪০০ লোক বসবাস করে। নাওভাঙ্গা গ্রামে যাতায়াত ব্যবস্থা জল পথ। মেঘনা নদীর পাশ ঘেঁষে রয়েছে শত বছরের পুরনো আমিরাবাদ বাজার। নাওভাঙ্গা গ্রামের মানুষ আমিরাবাদ বাজারে নৌকা নিয়ে এসে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে এবং তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য এই বাজারেই বিক্রয় করে। 

এখানের প্রধান পেশা কৃষি। তার পাশাপাশি রয়েছে মাছ ধরা এবং গবাদি পশু পালন করা। এখানের প্রধান ফসল ধান, ভুট্টা, চিনাবাদাম, পাট এবং বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি ।

এই গ্রামে একটি সরকারি স্কুল আছে এবং দুটি মসজিদ আছে। তবে এখনও কোন রাস্তা হয়নি তবে রাস্তা হওয়ার কাজ ছলছে। এখানে প্রতিটি বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ আছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে পল্লি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলছে।

বর্ষা কালে সম্পূর্ণ গ্রাম পানিতে ডুবে যায় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হয়।

গ্রামে প্রবেশ করতে হলে আমিরাবাদ বাজার লঞ্চঘাট এর পাশে রয়েছে খেয়া ঘাট এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকা ৫/১০ টাকা প্রতিবার।

এই গ্রামের মানুষ অনেক পরিশ্রমী এবং সাহসী। যেন তাদের মেঘনা নদীর সাথে এক অদ্ভুত সম্পর্ক। কালবৈশাখী ঝরে প্রতি বছর কারো না কারো বাড়ি ভেঙ্গে যায় কিন্তু আবার বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে। সেই নদীর বুক থেকে মাছ শিকার করে তারা যেন সেই নদীর পাশের জমিতে ফসল ফলায় । তারা যেন মেঘনা নদীকে জানান দিচ্ছে তুমি যাই করনা কেন ? তোমার থেকেই আমি তা উসুল করব।

 এই গ্রামে যেতে হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর গামী লঞ্চে করে যেতে হবে প্রায় তিন (৩) ঘণ্টার লঞ্ছ ভ্রমণ এর পরে আমিরাবাদ ঘাটে নেমে খেয়া পার হয়ে সহজে যেতে পারবেন।

বাসে যেতে হলে একটু বেগ পোহাতে হবে । নটরডেম কলেজ এর বিপরীতে মতলব পরিবহণ এ মতলব বাজারে নেমে সেখান থেকে রিক্সা করে চেয়ারম্যান ঘাট সেখান থেকে নৌকা দিয়ে খেয়া পার হয়ে সিএনজি অথবা বাইক ভারা নিয়ে যেতে পারেন আমিরাবাদ সেখান থেকে আবার খেয়া পার হয়ে নাওভাঙ্গা গ্রাম।