আঞ্চলিক ভাষার মজার ধাঁধাঁ বা হেঁয়ালি
লোকসাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা হচ্ছে ধাঁধাঁ বা হেঁয়ালি । এই ধাঁধাঁ বা হেঁয়ালিতে সাধারণভাবে আনন্দ উপভােগের সরল আবেদন রয়েছে। প্রথমত ধাঁধাঁ বা হেঁয়ালি গুলােয় প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসামূলক যা তাৎক্ষণিক একটি ধাঁধাঁর সৃষ্টি করে এবং যার একটি সরল অর্থ রয়েছে। এ ধরনের ধাঁধাঁর প্রচলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লােকসমাজে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। বিয়ে সহ বিভিন্ন গ্রামীণ অনুষ্ঠানে কিংবা কর্মহীন অলস দিনগুলােতে এ ধরনের ধাঁধাঁর আসর জমে উঠে। এগুলােতে রয়েছে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সাহিত্য রস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রচলিত কিছু ধাঁধাঁ বা হেঁয়ালি নিচে দেওয়া হলাে
- পানির তলে ইতল গাছ, কাটতে লাগে বারমাস -(ছায়া)।
- এই দেখলাম এই নাই, আড়াক্ষেতে বাঘ নাই -(বিদ্যুতের ঝিলিক)
- আল্লার কী কুদরত, লাঠির ভিতরে শরবত -(আখ)।
- জংগলের ভুইত্যা পাতে দে মুইত্যা -(লেবু )।
- কাঠের বলদ গােস্তের শিং, চলছে বলদ গাদলা দিন -(শামুক)।
- গলা আছে তলা নাই, পেড আছে উজুরি নাই -(পলাে)। ৭. রাজার বাড়ির ঘােড়ি এক বিয়ানে বুড়ি -(কলাগাছ)।
- আইন্ধার ঘরে বান্দর নাচে, না না করলে আরও নাচে -(জিহবা)।
- আছলাম মাডির তলে, তুলছে কমবক্তরে, খাইচ না আমারে, নিব গা তােরে -(বড়শিতে গাঁথা কেঁচো নদীর মাছকে সাবধান করছে)।
- কাঠের বলদ, গােস্তের শিং, চলছে গাড়ি, গাদলা দিন -(শামুক)।
- আন্দার ঘরে বান্দর নাচে, না করলে আরাে নাচে -(হাতপাখা)।
- লাগ লাগ কইলে লাগে না, লেম্বু-টেম্ভ কইলাে লাগে -(ঠোট)।
- এমুন একটা চুমুনি, ভাত রান্দে নমুনি, হাজার বেড়া হাইয়া যা (যায়)। আরাে ভাত রইয়া যা (যায়)- (চুন)।
- রাজার পুত মইরা রইছে কান্দুইন্যা নাই, সােনার উড়ান (উঠোন) ফইরা (পড়ে) রইছে হুরুইন্যা নাই (ঝাড় দেওয়া) -[ সাপ ও আকাশ]
- কোড়া কোডা নব্বই কোড়া বেত তুলছে আশি কোড়া কইনছেন কামিনী বাই (ভাই) এই গরের (ঘর) দুয়ার নাই -(কবর)।
- উড়িতে ঝিকিমিকি, পড়িতে ধান্দা।মস্তকের মইধ্যে তার লেঞ্জুর বান্দা -(কনি জাল)।
- হারুই (দাঁড়ানাে) রইছে বেডাডা।আকুই রইছে (হা-করে আছে) পাছা -(সিকা)।
- নানী বাড়িত গেলাম, বন বিছাইয়া রইলাম -(বাঙগি)
- কান্দার উফরে (উপরে) কান্দা লাল কাপড়ে বান্দা -[কলার থােড়]
- এই দেখলাম এই নাই, আড়া ক্ষেতে বাঘ নাই -(বিজলি)।
- চার বাজুদা (চারদিকে) লােহার লাইল (আল)কেমনে ক্ষেতে জোয়ার আইল (এল) – [নারিকেল]
- আমরার (আমাদের বাংলা তুমি কেন ভাংলা আমি একটা চিমটি দিলাম, তুমি কেন কানলা (কাঁদলা)। [বােলতার বাসা]
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষার মজার ধাঁধাঁ
- এতুন গাছে মেতুন ধরে,সন্ধ্যা অইলে ঝইরা পড়ে -(বাজার)।
- একজাত পুকুরে দুইজাত পানি -(ডিম)।
- এক গাছে দুই মাথা -(নৌকা)।
- সবুজ বুড়ি হাটে যায়, হাটে গিয়া টিমটি খায় – (লাউ)।
- এক তালাতে ৩২ কাটি, দুই তালাতে ঘিয়ের বাটি তিন তালাতে দুই বেটারি -(মুখ)।
- ঘর আছে দুয়ার নাই, মানুষ আছে শব্দ নাই – (কবর)।
- এখান থেকে মারলাম বাটি, বাটি গেল কামার হাটি -(রাস্তা)।
- গাঙের পাড় তুরুম গছে, তুরুম তুরুম লড়ে,একটা তুরুম খাইলে পরে, শইলডা কেমন করে – (মরিচ)।
- গাঙের পাড় ডুফিডা শুইয়া আহার করে
- দিতে গেলে কষাকষি, দিয়া সারলে মন খুশি, যদি হয় অরণ্ডি, পাঁচ টাকা দণ্ডি -(কাচের চুড়ি)।
- কান্দির উপর কান্দি, লাল কাপড়ে বান্ধি,এই শিলক না ভাঙাইতে পারলে, চিরজীবনের বান্দি -(কলার থাের)
- উপর থেকে পড়ল গুডা, গুডার ভিতর লও,এই শিলক না ভাঙাইতে পারলে, তুমি আমার বউ -(জাম)
- তিন তের দিয়া বার,নয়দা আইন্না পূরণ কর,আমার জামাইর এই নাম,পার কইরা দেও বাড়িত যাম -(ষাইট)
- কালা গাছের পাহাড়েতে, কালা হরিণ থাকে দশ বেটা ধইরা আনে, দুই বেটা মারে । (উঁকুন)
- আখির ভিতরে পাখির বাসা,জলকে দিল ঢেউয়ে। দুপায়া নিল কে? সমুদ্রেতে বাঘের পা, ছাগলে খাইল সাতশ’ না, কোনাে কইন্যা বিবরণ, ইঁদুর হইয়া বিড়াল মারে,কোনাে কারণ?
- ডাব না খাইলে কী হয়? – (নারিকেল)।
- খালে নাই কেচকি বিলে নাই কেচকি, এক বাইত দেইখ্যা আইলাম গাছের আগাত কেচকি- (জাম্বুরা)।
- আড়াইলে বিছারে, পাইলে নে না – (রাস্তা)
- উঁচু খুচ বুক টান, কোনাে দাদার চার কান? -(ঘর)।
- ধরতে চিড়া, খাইতে মিডা, মাইঝ খানে বিডা, চার কোণাতে খুড়া, এই মাইয়া এইডা কিডা – (গাভীর উর)
- উড়িতে ঝিকিমিকি, পড়িতে ধান্ধা, আদার করিতে লেংগুরে বান্ধা – (কনিজাল)
- ছুড়ু মুণ্ডু ডুবাডা, কৈয়ে ফুট মারে, রাজা আইয়ে প্রজা আইয়ে, উইঠ্যা সালাম করে -(হুক্কা)।
- কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা, এক লক্ষ তেঁতুল গাছে ক লক্ষ পাতা? -(দুই লক্ষ পাতা)
- ইডা গুরগুরি বিড়ালের ছাও, পাঁচ পাছা আঠার পাও -(জমিতে মই দেওয়া)।
- এক হাত গাছটা, গুডা ধরে পাঁচটা – (হাতের আঙুল)।
- ২৬. আছাড় দিলে ভাঙে না, টিপ দিলে ভাঙে -(ভাত)।
- গাছের আগায় শইলের পােনা, চাইয়া চাইয়া যায় গােনা – (খেজুর)
- এক একটা ঝাড়ে ৮০ টা বাশ, প্রত্যেকটা বাশে ৮০ টা ঘাইট এবার ক কড়া ঘাইট?
- হাতে লইয়া টেম টেম-ও বেড়া তােমারে কত দেম -(পাতিল)।
- মা রইছে নানির পেটে, পুত গেছে গা মেড্ডার হাটে -(কলা)।
- মাইয়া লােকের হাতে নাচে, সাত শ পুরুষ কোথায় আছে -(চালুনি)।
- জন্ম দিল না জন্মদাতা, জন্ম দিল পরে,যখন ছেলের জন্ম হলাে, মা ছিল না ঘরে – (পাতি হাঁস)।
- কোনাে ফুল মেয়েদের কাছে থাকে, কিন্তু গন্ধ পায় না – (নাক ফুল)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষার মজার ধাঁধাঁ
- জিব্বাতে টুপি পরে নাম তার বলব না, সারা মাঠে চড়াও তারে মানা সে করবে না, মাঝে মাঝে খেতে দিও কালাে কিছু জল,একটু ভেবে উত্তর দিও ভুল হবে না ফল – (দোয়াত-কলম)।
- তিন কেল্লা দশ পাও, তারে চিপ্পা রস খাও? -(তাল)।
- বন থেইক্কা আইল টিয়া, সােনার টোপর মাথায় দিয়া -(আনারস)
- শূড় দিয়া করি কাজ নহি আমি হাতি, পরের উপকার করি তবু খাই লাথি – (টেকি)
- মায়ের পেটে পঞ্চাশ ভাই, বের হয়ে দেয় মাকে ঘাই -(ম্যাচের কাঠি)।
- হাতে ধরে টিপা টিপি, মুখটি করে কালা, দিতে পারলে খুবই ভালা – (চুড়ি)
- উপরে ঝিকিমিকি মাকরের হাশ, ফুল নাই করা নাই ধরে বার মাস -(পানের বরা)।
- লাল গাভি বন খায়, জল খাইলে মারা যা -(আগুন)।
- বাকা ধরে মরারে, মরা ধরে জেতারে – (বড়শি)।
- আমি থাকি খালে, তুমি থাক ডালে,তােমার আমার দেখা হবে মরণের কালে – (মাছ ও মরিচ)।
- উপর দিকে থই বহ, নিচের দিকে ধ্যানী এই শিলক যে ভাঙতে পারেন সে বড় জ্ঞানী -(কলার থাের)।
- পতি দিলেন আমার হাতে, আমি রাখলাম আদরের সাথে, পরে দেখি কিছুই নাই,হায় আল্লাহ করলাম কী, পতি চাইলে দিয়াম কী? -(শিলাবৃষ্টি)।
- আগাটা জুরু জুরু গুড়িটা মুইট্টা, এই শিলক ভাঙতে লাগব পাহাড়ের উইট্টা, বলেন তাে ভাই সদাগর, এই শিলক ভাঙতে লাগবে বেইলের আড়াইফর -(ঝাড়)।
- আমি যাকে আনতে গেলাম, তাকে দেখে ফিরে এলাম,সে যখন চলে গেল, তখন তাকে নিয়ে এলাম -(পানি)।
- কাজলের চাইতে কালাে কোনাে জিনিসটি? -(কলঙ্ক)।
- কোনাে দেশের পেট কাটলে মিষ্টে ফল বের হয় -(আসাম)।
- মাটির হাঁড়ি কাঠের গাই, গলা কাটিয়া দুধ দুয়ার -(খেজুরের রস)।
- এক বর্ণ দুই বর্ণ তিন বর্ণ জোড়া, কোনাে দয়বের কারণে মাথা গেল পােড়া,কলির বয়ানে পেটে করে রাও, আকারে বােঝা যায় দুধ কেমন খাও -(হুক্কা)।
- ঘরের পিছনে গাই, এক বিয়ান দিলে নাই -(কলাগাছ)।
- ইছ ইছ দুখ পাই, দিছ যখন থাকদে, ধীরে ধীরে যাকদে – (চুড়ি)।
- দে দে দে না, না দিয়া ঘুমা না -(দরজা)।
- উছ খুছ বুকটান, কোনাে খালার দুইকান -(চৌচালা ঘরের চাল)।
- শুতে গেলে দিতে হয়, না দিলে তার কষ্ট হয়, যেটা বুঝেন সেটা না -(বালিশ)
- আমার আছে তােমার নাই, আফার আছে বাবার নাই – (আ)।
- তিন কুনাইচ্ছা গাতাটা ফালা ফালদা পড়ে,পাইলেও আতা না পাইলেও আতা – (পেলুইন)।
- জামাইল্লা কামাইল্লা আমাইন্না ব্যবসা করে পাইছে ১০ টাকা, সমান ভাগে ভাগ করে দিলে পাবে কত টাকা ?- (৫ টাকা)।
- একটি গাছে একটি পাখি আরেকটি গাছে অনেকগুলাে পাখি ।একটি পাখি অনেকগুলাে পাখিকে জিজ্ঞাসা করল- তােমরা ক ভাই? অনেকগুলাে পাখি বলল। আইছি যত আইব অত, তার অর্ধেক তত পাই তারে নিয়া একশ ভাই! -(৩৬-১৮-৯+১=১০০)।
- ছি ছি পাতা বাে বাে ডাল, ফলটা পাকা বিছিটা লাল। (তেঁতুলের বিচি)
- পান খাও পণ্ডিত ভাই কথা কও ঠারে, সে পান জন্ম হইছে কোনাে স্থানে, যে জানে-(পানের জন্ম বিক্রমপুর)
- পানের আদ্যি কথা, ছাগলে চাবা, হ্যাওড়া পাতা । (পানের জন্ম বিক্রমপুর)
- ইরা দিলাম জিরা দিলাম আরও দিলাম রইন, তােমরা জানে নিতা আইছ মা না বইন? (বইন)
- কান্দার উপরে কান্দা, লাল কাপড়ে বান্ধা -(কলার থাের )।
- আলের গরু বলদের শিং, কই যাসরে গরু গাদলা মাইয়া দিন -(শামুক)
- এক বাইত দেইখ্যা আইলাম গাছের আগাত পনি -(ডাব)।
- ছট্ট মটু পােলা লােহার তামুক খা, সাত গাঙ পার হইয়া শ্বশুর বাড়িত যা- (সাপ)।
- পেটে খা পিঠে টানে -(নৌকা)।
- উপর থাইক্যা পড়ল বুড়ি, হেতা কম্বল দিয়া।ভাসতে ভাসতে গেল কানাই নগে দিয়া -(বৃষ্টি)।
- নাকটি চেপে কানটি ধরে বসে -(চশমা)।
- দুই ঠ্যাং ছড়াইয়া,মাইঝে দা ভইরা, আমার কাম সাইরা,তােমারে দিলাম ছাইরা -(সুপারি কাটার ছুড়াতি)।
- চাইর বাজদা কুডা কুডা, মাইঝে একটা লাল বেড়া -(আনারস)।
- একজাত গেলাসে দুইজাত পানি, তারে আমি ওস্তাদ মানি -(ডিম)।
- পাঁচ মুনি দেয় এক মুনির ধারে, এক মুনি তুইল্লা দে লেরবিরার ঘাড়ে, লিরবিরা টাইন্যা আনে অন্ধকার ঘরে -(ভাত খাওয়া)।
- তিন দিক দিয়া বাল, মাঝ খানে লাল, স্বামী থাকে যতদিন ব্যবহার করে তত দিন -(সিঁদুর)।
- জামরাইয়া দিলে হুমরাইয়া উঠে, সব মানুষের জীবন বাঁচে -(কলসি)
- গভীর জঙ্গলে কোকিলের বাসা, জ্বলন্ত আগুনে কোনাে ফল কাঁচা -(রুহু)।
- তিন অক্ষরে নাম তার জলে বাস করে, মইধ্যের অক্ষর বাদ দিলে আকাশে উড়াল মারে -(চিতল)।
- ছােটু মুটু বেডা ডা, লােহার তামুক খা, বড় বড় গাছের সাথে যুদ্ধ করতে যা-(কুড়াল)
- লাল কাঠ নীল কাঠ, হলুদ কাঠের জোড়া, এই শিলক না ভাঙ্গাইল্লে শ্বশুরবাড়ির চোরা -(পালকি)।
- পানির তলে শিউলি ঝিকিমিকি করে, আজ জানি শিউলি কারে পাগল করে -(শিংমাছ)
- উপর থাইক্কা মারলাম তীর, তীরে করে করে মির মির -(পনার বাইশ)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষার মজার ধাঁধাঁ
- আলা মা বইন, ধন কিনতে যাই, দারাইলে খুঁচাইলে ধন ঘর ভইরা পাই -(ঝগড়া)।
- মামুর বাড়ির মেনা গাই, মেন মেনাইতে চার হাজার টাকার মরিচ খাইয়া আরাে খাইতে চাই। (পাটা)।
- সােজা রাস্তা হাইট্টা যা, উইক্কা উইক্কা ফিরা চা -(সুই)।
- কলিকাতা আগুন লাগছে কাঠের আওলা দিয়া, ধুমা উড়ে নবীনগর দিয়া -(হুক্কা)।
- কোনাে কল কল না? -(আক্কল)।
- কোনাে শাড়ি শাড়ি না? -(মশারি)
- ঢেউ আছে পানি নাই -(ঢেউটিন)।
- লম্বা বেডা হাফিজ, গলা ভরা তাবিজ – (সুপারি গাছ)।
- একখান সুপারি গুনতে পারে কোন ব্যাপারি? -(আকাশের তারা)।
- ছােট ছােট ছেমরি, কাপড় পড়ে সাদাশাড়ি খায় না দায় না তবু এত সুন্দরী -(রসুন)।
- উড়ে এসে জুড়ে বসে, দেখতে পাহাড়, ছােট ছােট জীব মারে করে নাকো আহার, (কনিজাল)।
- আগা থর থর গােড়া মােটা, এ শিলক না ভাঙ্গাইতে পারলে শ্বশুর বাড়ির চোরা -(ঝাঁড়)।
- চার পায়ে বসি আমি আট পায়ে হাটি, গাড়িও না ঘােড়াও না আস্ত মানুষ গিলি -(পালকি)।
- পানির তলে টিনের ঘর, দেখতে বড় সুন্দর,আমি গেছলাম চাইতাম- আমারে দেনা আইতাম -(মাছের আন্তা)।
- ছিটকি গাছে বুলবুলি নাচে, হাজার পুটকি কার আছে?উত্তর -চালুন ।
- গাঙ্গের পাড় বত্যা অল অল করে, গইন্যা মাছে ঠোকর দিলে ঝর ঝরাইয়া পড়ে, উত্তর :-কুয়াশা
- জন্ম কালে সাদা যৌবন কালে লাল বৃদ্ধ কালে কালাে এই সিলুক ভাঙতে পারলে তুমি অনেক ভালাে -উত্তর : জাম।
- হুইত্যা রইছে আছ কেরে হামাই দিলে কান্দছ কেরে।- উত্তর : শিং মাছ।
- জলে কুমকুম পানিতে ভাসে হাড্ডি নাই তার মাংশ আছে- উত্তর : জোঁক।
- খােদার কী লীলা লাড়ির ভিতরে পানি- উত্তর : ইক্ষু গাছ।
- এক যে শয়তান নাকে বসে ধরে দুই কান উত্তর : চশমা
- মাটির হাঁড়ি কাঠের গাই, বছর বছর দুধ দোয়াই উত্তর : খেজুর গাছ।
- এক থাল সুপারি, গুণতে পারে কোনাে ব্যাপারী? উত্তর : তারা।
- গাঙ পাড়ে একটা টিম গাছ টিম টিম করে একটা টিলুম খাইয়া দ্যাখ। সইলডা কেমুন করে – উত্তর : মরিচ
- আল্লার কী কুদরুত। পুটকির মধ্যে বিদ্যুৎ -উত্তর : গিনিপিগ।
- খালে নাই পানি বিলে নাই পানি আল্লা তায়ালা দিয়া রাখছে গাছের উপর পানি -উত্তর : ডাব।
- আন্ধার ঘরে বান্দর নাচে না করলে বেশি নাচে -উত্তর : জিহবা
- এত্ত বড় উঠান ডা রাতা মুরগির ডিম ডা।
- উত্তর : তারা
- আতে লইয়্যা টেম টেম কত দেম কত দেম -উত্তর : হাড়িপাতিল (মাটির)
আরো পড়ুন
২০০টি আঞ্চলিক ভাষায় মজার প্রবাদ ও প্রবচন
পুতুল নাচের সূত্রপাত এবং ইতিহাস