দোহশুহ গ্রাম বলরামপুর ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

দোহশুহ গ্রাম বলরামপুর ইউনিয়ন

দোহশুহ গ্রামটি হল- পঞ্চগড় জেলা, আটোয়ারী উপজেলা, ৫নং বলরামপুর ইউনিয়ন এর ৯নং ওয়ার্ড।

দোহশুহ  যার অর্থ দুঃখ-সুখ। দুঃখ-সুখ মানুষের জীবনে আবহমান একটি  ব্যাপার  আর এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। লোককথিত এ ধারণা থেকেই গ্রামটির নামকরণ হয় দোহশুহ।

অবস্থানঃ বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪(চার) কি.মি. পশ্চিমে বোদা আটোয়ারী পাকা রাস্তা সংলগ্ন ট্যাংগন নদীর তীর ঘেষে গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামটির উত্তর-পূর্ব সীমানায় চুচুলী মৌজা, পশ্চিমে পটেশ্বরী, রসেয়া-রাধানগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে উত্তরবঠিনা এবং দক্ষিণ সীমানায় ঠাকুরগাঁও জেলাধীন কালেশ্বরগাঁও ও শোল্টহরী মৌজায় বেষ্টিত।

দোহশুহ গ্রামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম থাকার কারণে বাংলাদেশের অনেক জেলার মানুষ বসবাস করেন। এগ্রামের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান। তাছাড়া এখানে রয়েছে বেশ পুরোনো সাওতাঁল উপজাতি এবং সনাতন ধর্মালম্বী মানুষ। এককথায় মুসলিম, হিন্দু ও সাওতাঁল সম্প্রদায়ের বিভেদহীন বসবাস। সব ধর্মের মানুষ বসবাস করলেও নেই কোন সাম্প্রদায়িক উস্কানী, দ্বন্দ বা বিভেদ।

রানীগঞ্জ বাজার হল এ গ্রামের কেন্দ্রস্থল। এখানে রয়েছে- ইসলামিক মিশন, অতি প্রাচীন মন্দির, হাইস্কুল, ভূমি অফিস, পোষ্ট অফিস এবং এনজিও ব্রাক, আশা ও গ্রামীণ ব্যাংক। দর্শনীয় জায়গা হল- ট্যাংগন নদীর পাড়, সাওতাঁল পাড়া, বুড়াবন্দর, মানিকপীর দিঘী।

ইতিহাসঃ শতবর্ষ আগে এ গ্রামের বাসিন্দা খুবই কম ছিল। জমিদার বংশীয় নসির উদ্দিন জমিদার এবং উনার ভাগিদারগণ শুরু করেছিলেন গোড়াপত্তন। বেশ সুনাম এবং প্রভাব ছিল তাদের। ১২০০ একর এর ও অধিক জমির মালিক ছিলেন এ পরিবারটি। দেশ স্বাধীনের পর তৎকালিন সরকার কিছু জমি খাস করে দেন এবং ভূমিহীনদের কে বন্টন করে দেন। নতুন করে বসবাস শুরু করেন সারাদেশের বিভিন্ন জেলার উদ্বাস্তু মানুষ।

বর্তমানে এ গ্রামের প্রভাবশালীর তালিকায় রয়েছেঃ- মোঃ ফজলার রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম খাঁন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার, মোঃ নজরুল ইসলাম (ফেডারেশন চেয়ারম্যান), মোঃ রইসুজ্জামান (প্রফেসর), মোঃ শরিফুল আলম, মোঃ জহিরুল ইসলাম (বর্তমান মেম্বার), মহসীন মাস্টার, খোকন মেম্বার, মইনুল ইসলাম, মজিবর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।

দোহশুহ গ্রামটি সত্যিকার অর্থেই অপরুপ, মনোরম ও নান্দনিক।