কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের নামকরণের ইতিকথা: এস এম শাহনূর

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের নামকরণের ইতিকথা: এস এম শাহনূর

কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের নামকরণের ইতিকথা: এস এম শাহনূর

“তসলিম হাজার বার বেল্লভপুর
এখানে দিবারাত্রি পয়দা হয় নূর”।
– শায়খুল বাঙ্গাল (র.)

➤ প্রথম পর্ব:
“যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই,
পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন”।
[কবি গগন হরকরা (গগন চন্দ্র দাস) /জগজ্যেতি।]
উপরোক্ত পঙক্তির আক্ষরিক অর্থ যাহাই হউক না কেন ভাবার্থ কিন্তু শতভাগ সত্য। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার,কসবা উপজেলাধীন ছায়া সুনিবিড় এক নিভৃত ও সূর্যদীঘল গ্রামের নাম বল্লভপুর।বল্লভপুর নামের আদি তথ্য খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অত্র গ্রামের এক আলোক উজ্জ্বল ইতিহাস।যে ইতিহাস গৌরবের,গর্বের ও অহংকারের।মধ্যযুগ থেকে অত্র গ্রামের বহু নাথযোগী ও সূফী সাধক একেশ্বরবাদের বাণী বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। এখানে জন্মগ্রহন করেছেন বহু ভাষাবিদ ও ত্রিপুরা রাজ দরবারের কাজী আলহাজ্ব মাকছাদ অালী মৌলানা [১] ও
উনার সুযোগ্য উত্তরসূরি মোবাল্লিক ও ইসলাম ধর্ম প্রচারক শায়খুল বাঙাল ছৈয়দ আবু মাছাকিন লাহিন্দী আল কাদেরী (রাহ)[জন্ম১৮৭৩,ওফাত১৯৭৮ ] [২],
কুরআন সুন্নাহের তাবেদার ও মদীনার আশিক মাস্তান হাজী আব্দুল জব্বার,[৩]
৭১ রে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে জীবন দানকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্স কর্পোরাল মোঃ মোস্তফা কামাল [৪]সহ বহু জ্ঞানী গুণী মানুষের জীবন গাঁথা বল্লভপুর নামক এই প্রাচীন জনপদেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।

নাম দিয়ে যায় চেনা,নামেইতো পরিচয়।মনীষী Cavendis এর ভাষায়,”A beautiful name is better than more wealth.” মাতৃগর্ভ থেকে পৃথিবীর অালো বাতাসের সংস্পর্শে আসার পর আমার প্রথম চিৎকার যেই গ্রামের মানুষ প্রথম শুনতে পেলো তার নাম বল্লভপুর।আমি আমার জন্মের জন্য পিতা হাজী আব্দুল জব্বার এবং মাতা জাহানারা বেগম এর নিকট চির ঋণী।আরো ঋণী বল্লভপুর গ্রামের সহজ সরলমনা মানুষগুলোর প্রতি,যাঁদের স্নেহ ও ভালোবাসায় কেটেছে আমার শৈশব ও কৈশোরের মধুমাখা অনিন্দ্য সুন্দর দিনগুলো,চাঁদনী রাতগুলো।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা কালীন সময়েই আমার খুব জানতে ইচ্ছে করতো, কী করে এই গ্রামের নাম বল্লভপুর হলো?এতদ্ বিষয়ে আমার দ্বারা জিজ্ঞাসিত হয়েছেন মরহুম শাহাদাৎ হোসেন চাঁদমিয়া,মরহুম আবুল বাশার ভূইয়া,মরহুম সোলায়মান মিয়া,মরহুম জামশেদ খন্দকার সহ বহু প্রবীণ ব্যক্তিত্ব।

একটি হচ্ছে সংস্কৃত নাথ শব্দের সমার্থক শব্দ বল্লভ থেকেই বল্লভপুর নামের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।যার আক্ষরিক অর্থ প্রিয়,প্রাণেশ্বর,পতি,স্বামী। (বিস্তারিত ব্যাখ্যা সামনে দেখুন)

দ্বিতীয়টি, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই নাথযোগীগণ বল্লভাচার্য কর্তৃক প্রচারিত শৈব>রুদ্রজ ধর্মের কৃষ্ণ প্রধান শুদ্ধাদৈত মতবাদ/নীয়ম নীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল।তাই বল্লভাচার্যের নামানুসারেও এর নাম বল্লভপুর হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।[৫](বিস্তারিত ব্যাখ্যা সামনে দেখুন)

বল্লভাচার্য নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পঞ্চদশ শতকের অথবা তার কিছুকাল ধরে বল্লভপুর নামকরণের সৃষ্টি হয়েছে।

➤তথ্য সূত্র:১

। রাজমালা/কৈলাশ চন্দ্র সিংহ

২।কাছিদায়ে শায়খুল বাঙাল/এস এম অাশরাফ অালী প্রণীত
৩।লিংক দেখুন, https://m.facebook.com/groups/493423707663243?view=permalink&id=493442280994719
৪।বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গাইড(সামরিক)
শহীদ ল্যান্স কর্পোরাল মোঃমোস্তফা কামাল
পিতাঃ মরহুম অাব্দুল মাজিদ সরকার।
৫। Female ascetics in Hinduism By Lynn Teskey Denton, Steven Collins.

➤ দ্বিতীয়_পর্ব:
“কান টানলে মাথা আসে”।আর মাথার সাথে চুল,নাক,চোঁখ,মুখ আরো কত কী ই না আসে।আমি উচুমানের কোন বৈকারণিক বা পন্ডিত নয় তাই প্রবাদখানার বিস্তারিত বিশ্লেষণ দিতে পারছিনা।বল্লভপুর গ্রামের নামকরণের ইতিহাস লিখতে গিয়েও কান টানার মতই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। নামকরণের সাথে রসুনের কোয়ার মত জড়িয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু শব্দ।জানা যায়, কয়েকশো বছর অাগে বল্লভপুর গ্রামের যে অংশটিতে প্রথম জনবসতি এবং ঘনবসতি গড়ে উঠে তা হলো “যোগী পুকুুর” এর চারপাশ। পুকুরের উত্তর পাড়ে একমাত্র মুসলিম পরিবার ছাড়া বাকী তিন পাড়েই ছিল ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের বসবাস।পুকুরের দক্ষিন পাড়ে ছিল অত্র গায়ের একমাত্র পাকা বাড়ী। যা এখনও কয়েকশো বছরের অতীত অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে।ইহা একসময় মেঘনাথের বসতভিটা ছিল।পুকুরের পশ্চিমপাড়ে ছিল মানিক্য নাথের বাড়ী।জনশ্রুতি রয়েছে যে,পুকুরের পূর্ব পাড়ে একটি আচার্য বাড়ী ছিল।আসুন বল্লভ,যোগী,নাথ,আচার্য,পুর শব্দগুলোর সমার্থক ও উৎপত্তিগত কিছু তথ্য জেনে নেই।যা পরবর্তী পাঠকে সহজ করে দিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।মজার তথ্য হচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশে মোট ৮৭৩২০ টি গ্রামের[১] মধ্যে বল্লভপুর নামে ২১টি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে।ভারতে বিখ্যাত এক শহরের নাম বল্লভপুর।এছাড়াও সেখানে এই নামে রয়েছে ডজন খানেক জনপদ। নেপালে মিলেছে বল্লভপুর নামক স্থানের অস্তিত্ব। যা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামকে আরো ঐতিহাসিক পটভূমিকায় দাঁড় করিয়েছে।তবে আমার গবেষণা এবং লেখার বিষয় কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের নামকরণের ইতিহাস ছাড়া বৈকিছু নয়।

➤তথ্যসূত্রঃ
[১] জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

Ballavpur Stand For?
Here Ballav means- Beloved.
It’s masculine gender.
★And pur , place name suffix, meaning “city” or “town”or” village” or”settlement”, used in several place names across South Asia, Southeast Asia, Afghanistan and Iran.
★ The significance of the given name Ballavpur gives you compassion, creativity, reliability, generosity, loyalty and a love for domestic life.

★Another meaning of Ballavpur:
Ballav is a Sanskrit word which means cowherd ( a person employed to take care cattle or a person whose occupation is tending & herding cows). & meaning of pur might be Village.

★★ মূল শব্দঃ #বল্লভ [ Ballav ]
Common Noun – Masculine Gender
a woman’s partner in marriage; the male spouse
বৈবাহিক জীবনের পুরুষজন।

♦ পদের ধরনঃ বিশেষ্য পদ।
♦ শব্দ-উৎসঃ সংস্কৃত বল্লভ(বল্লভ)>বাংলা বল্লভ।

♦ রূপতাত্বিক বিশ্লেষনঃ

[সং. √ বল্ল্ + অভ]।

♦ সমার্থক শব্দাবলীঃ
————————–
১. পতি, নাথ,স্বামী;
২.প্রণয়ী;
৩. প্রিয় (প্রাণবল্লভ)।
৪.দয়িত;
৫.হৃদয়েশ্বর; স্বামী, পতি।
৬.রমণ,
৭.কামদেব, পতি, বল্লভ রাধারমণ.
৮.পুরুষ।
৯.সন্তোষবিধানকারী।
১০.স্বামী;
গৃহস্থ fm.গৃহস্থনী , পতি ,
স্বামী , পৈ , গিবিয়েক , নাথ , কান্ত ,
মবদ , লালাক , পরিণেতা , জওজে ,
ক্ষেত্ৰী , উপযন্তা , জীবন-সঙ্গী ,
পৈয়েক , বল্লভ , ধর , গিবিহঁত fm.গিবীহঁতনী , ভৰ্ত্তা , খচম , আৰ্যপুত্ৰ ,
পাণিগ্ৰহণকারী , পাণিগ্ৰাহ ,
পাণিগ্ৰাহক , পাণিগ্ৰাহী , লালু , লাল ,
ভতার, বঙহবদেউ ,
Bodo: फिसाइ ,
Mising: মিলং ,
Khasi: u tnga , u lok ,
Garo: se , segipa ,
Meeteilon: mapuroiba ,
Bishnupriya Manipuri: হেয়ক ,
Mizo (Lushai): pasal ,
Karbi: penan , pihan , sangman ,
Kok-Borok: bwsai , nwsai , sai ,
Dimasa: basai ,
Tai: ফু , চাৱ ফু ,
Nepali: पति , स्वामी , नाथ , कान्त ,
उपयन्ता , जीवन-साथी , खसम ,
Deori: muka

♦ বল্লভা, (অশু. কিন্তু প্রচলিত) বল্লভী বি. (স্ত্রী.) প্রিয়া; প্রণয়িনী।

★★মূল শব্দঃ #নাথ [ nātha ]
♦ পদের ধরনঃ বিশেষ্য পদ

♦ শব্দ-উৎস: সংস্কৃত नाथ (নাথ)>বাংলা নাথ।
♦ রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √ নাথ্ (প্রার্থনা) + অ (অচ্) , কর্তৃবাচ্য

[সং. √ নাথ্ + অ]।

♦নাথ বানান বিশ্লেষণ: ন্+আ+থ্+অ।
উচ্চারণ: nat̪ ʰ (নাথ্)।
নাথ্ (না-এর সাথে রুদ্ধ থ্ ধ্বনি একাক্ষর তৈরি করেছে।)

স্বামী, রক্ষক দীননাথ, প্রাণনাথ, নরনাথ.; প্রভু; অধিপতি জগন্নাথ

♦ নাথবতী বি. (স্ত্রী.) সধবা, এয়োস্ত্রী, যার স্বামী আছে (নাথবতী নারী)।

১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| দাম্পত্যসঙ্গী
| আত্মীয় | ব্যক্তিসত্তা | জীবসত্তা |
জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক সত্তা | সত ্তা |}
অর্থ: প্রথাগত বৈবাহিকসূত্র জীবনে নারীর যৌনসঙ্গী।
সমার্থক শব্দাবলি: কান্ত , নাথ, পতি, বর, ভর্তা, ভাতার, স্বামী।
ইংরেজি: husband, hubby, married man ।
বিশেষ্য
২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| ব্যক্তিসত্তা
| জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ ২.১: যে পালন করে বা রক্ষা করে।
সমার্থক শব্দাবলি: নাথ, পালক, রক্ষক, রক্ষাকর্তা।
উদাহরণ: ভূপতি (ভূমির রক্ষক)
অর্থ ২.২: এমন একজন ব্যক্তি, যিনি কোনো বিষয় বা অবস্থার অপরিবর্তনীয় অধিকর্তা। যেমন
সমার্থক শব্দাবলি: অধীশ্বর, প্রভু।
উদাহরণ: দিনের পতি সূর্য। জগতের পতি ঈশ্বর।
ইংরেজি: head, chief, top dog

★★মূল শব্দঃযোগী yōgī (-গিন্)
♦পদের ধরনঃ বিশেষ্য পদ
♦সমার্থক শব্দাবলীঃ
————————
১.যিনি যোগসাধনা করেন,
২.তাপস;
৩. সমাধিমগ্ন ব্যক্তি।
[সং. √ যুজ্ + ইন্]। ̃ ন্দ্র, ̃শ, ̃শ্বর ,
যোগেশ, যোগেশ্বর বি.
১. যোগীশ্রেষ্ঠ, মহাযোগী;
২. শিব;
৩. শ্রীকৃষ্ণ।

★★মূল শব্দঃ #আচার্য
♦পদের ধরনঃ বিশেষ্য পদ।
➤সমার্থক শব্দাবলীঃ
—————————–
১. বেদ শিক্ষাগুরু;
২. দৈবজ্ঞ ব্রাহ্মণ;
৩. শিক্ষাগুরু;
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বা চ্যান্সেলর।
[সং. আ + √ চর্ + য]।
আচার্যা–বি. (স্ত্রী.) শিক্ষাদানকারিণী, শিক্ষাদাত্রী।
আচার্যানী –বি. (স্ত্রী.) আচার্যের পত্নী।
ওপার বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরকে আচার্য এবং উপাচার্য বলা হয়। আচার্য শব্দের অর্থ দৈবজ্ঞ ব্রাক্ষন, গ্রহবিপ্র, বৈদাধ্যাপক, শিক্ষাগুরু।
বৈদিক যুগে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রভিত্তিক শিক্ষালয়ের শিক্ষকদের আচার্য বলা হত। তারা বৈদিক ধর্ম শিক্ষা দিতেন। অন্য এক তর্থে যানা যায়, যিনি যে কোন শাস্ত্রে জ্ঞান লাভ করে অনুরুপ আচরন করতেন, তাকেও সে আচরনের আচার্য বলা হতো। এই আচরনের মধ্যে বৈদিক শাস্ত্র শিক্ষাদানই প্রধান। হিন্দুদের শিক্ষা গুরুর পদ বা আসনের নামই আচার্যের আসন। যিনি শিষ্যকে বা শিষ্যদের বেদ পড়াতেন, তিনি আচার্য হিসেবে পরিচিত হতেন। হিন্দুদের পূজা- পার্বনের মূল আসনে বসে যিনি পূজা পার্বন সম্পর্ন করেন, তিনিও আচার্য। তার স্ত্রী আচার্যা বা আচার্যানী।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আচার্য হচ্ছেন
বাংলাদেশের রাস্ট্রপতি। ১৯৯২ সালের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইন অণুযায়ী আচার্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান। [১]

➤তথ্যসূত্র
[১] ↑ “The Private University Act, 1992” । Südasien-Institut। সংগৃহীত ৬ এপ্রিল ২০১১।

➤স্থান-নাম হচ্ছে যে কোন স্থানের বা ভৌগোলিক অঞ্চলের সাধারণ নাম।[১]
যেমনঃ বল্লভপুর,মেহারী,কসবা,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের স্থান-নাম প্রত্যয় দেখা যায়। বেশির ভাগ স্থান-নামের প্রত্যয় অংশে সংস্কৃত, প্রাকৃত, দেশী, আরবী, ফার্সী ইত্যাদি ভাষা হতে উদ্ভূত শব্দের প্রত্যয় যুক্ত হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশের স্থান-নামের প্রত্যয়-তালিকায় রয়েছে পুর,বন,বান্ধা,বিল,বাড়ীয়া অারো অনেক অনেক প্রত্যয়।
যেমনঃ

➤পুর প্রত্যয় যোগে-
———————-
বল্লভপুর,
শেরপুর,
জয়পুর,
জামালপুর।
বন প্রত্যয় যোগে–
————————–
সুন্দরবন ,
মগবন,
মহিষাবন।

➤বন্দ প্রত্যয় যোগে–
—————————

পায়রাবন্দ ,
লাঙ্গলবন্দ,
লক্ষণাবন্দ।
বাগ প্রত্যয় যোগে–
সেনবাগ ,
হাম বাগ,
হাজারীবাগ,
লালবাগ।
➤বাজার প্রত্যয় যোগে–
——————————
কক্সবাজার ,
বিয়া বাজার ,
দোয় বাজার ,
বাগা বাজার
বান্ধা প্রত্যয় যোগে–
গাইবান্ধা ,
হাতিবান্ধা ,
বাংলাবান্ধ।

➤বাড়িয়া প্রত্যয় যোগে–
——————————
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
মঠবাড়িয়া,
গাছবাড়িয়া,
বাঁশবাড়িয়া ,
ফুলবাড়িয়া ,
সাতবাড়িয়া ,
জামবাড়িয়া
আমবাড়িয়া।

‘‘পুর’’ অর্থ নগর বা এলাকা যা উপমহাদেশে বিভিন্ন অঞ্চল বা এলাকার নামের শেষাংশ হিসাবে সাধারণতঃ ব্যবহার করা হয়। বাংলা ভাষায় পুর বা পুরী শব্দের আভিধানিক অর্থ বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানের (২০১১) পৃ. ৭৬০ দেখা যায় l
পুর= (বিশেষ্যপদ) যার অর্থ আলয়, ভবন, গৃহ, নিকেতন (তোরা যাবি রাজার পুরে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।) নগর, গ্রাম, শহর ইত্যাদি(হস্তিনাপুর)।

{সংস্কৃত ধাতু-পু+ক্বিপ} থেকে এর আবির্ভাব l বাইরের দেশের কথা ঠিক জানি না তবে খেয়াল করে দেখবেন বাংলাদেশের পুর সংশ্লিষ্ট স্থানগুলো প্রাচীন জনপদ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নদী তীরবর্তী বন্দর। পুরের সাথে মিল রেখে আরবি ভাষায় বুর ﺑﻮﺭ শব্দের অর্থ- বন্দর। আরবি ভাষার বাংলাদেশের ম্যাপ ঘাটলে দেখা যাবে সব পুরকে বুর লেখা হয়েছে।

পুর অর্থ নগর, আবাস এবং দুর্গ। ভারতের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থ
ঋগ্বেদে শব্দটি নগর এবং বাসস্থান অর্থে প্রায় ৩০ বারের কাছাকাছি ব্যবহৃত হয়েছে। [২]

➤তথ্যসূত্র:
১. ↑ United Nations Conference on the Standardization of Geographical Names, London, 10–31 May 1972. 1974. New York: United Nations. Dept. of Economic and Social Affairs, p. 68.

২. ↑ Tej Ram Sharma (১৯৭৮)। Personal and geographical names in the Gupta inscriptions । Concept Publishing Co., Delhi। পৃ: ২২৪-২২৫।

➤তৃতীয় পর্ব:

কী করে বল্লভপুর একটি জনবহুল গ্রাম হল?

ম্যাকাইভার ও পেজ এর মতে, “গোষ্ঠী বলতে আমরা বুঝি কোন সামাজিক ব্যক্তির সমষ্টি, যারা পরস্পরের সঙ্গে নির্দিষ্ট সম্পর্কে সম্পর্কযুক্ত।” রত্নগর্ভা গ্রাম বল্লভপুরে রয়েছে বেশ কিছু গোষ্ঠী।যারা নিজ নিজ গোত্রের গন্ডির মধ্যে থেকেও অপরাপর গোষ্ঠীর মানুষজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দীর্ঘকাল পাশাপাশি বসবাস করে চলেছে।

মোট জনসংখ্যা-২৪৮০ জন (প্রায়)
মোট পুরুষ -১১৮০ জন (প্রায়)
মোট মহিলা-১৩০০ জন (প্রায়)
মোট ভোটার সংখ্যা -৯৬৫ জন
পুরুষ ভোটার সংখ্যা -৪৬২ জন
মহিলা ভোটার সংখ্যা -৫০৩ জন

➤এক সময়ের কম জনতার বল্লভপুর কেমন ছিল?
✪ বল্লভপুর মধ্যপাড়ায় যোগী পুকুরের উত্তর পাড়ে ছিল একটি মাত্র মুসলিম পরিবার এবং বাকি তিন পাড়েই ছিল হিন্দু বসতি। এক সময় মধ্যপাড়ায় যে কয়টি হিন্দু বাড়ি ছিল সেগুলো হল-
নবীন নাথের বাড়ি
মহির নাথের বাড়ি
মানিক্য নাথের বাড়ি

✪ বল্লভপুর পশ্চিম পাড়ায় এক সময় শুধুমাত্র একটি হিন্দু বাড়ি ছিল আর সেটি হল-
রমেশের বাড়ি।

✪ গ্রামে মাত্র দুটি ব্রাহ্মণ পরিবার ছিল।গ্রামের একেবারে পূর্বে মিয়া চান এর বসত ভিটায় ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মধুসুধন চক্রবর্তী তাঁর সহোদর পার্বতী কুমার চক্রবর্তী ও——- চক্রবর্তীদের বসবাস ছিল।লোকে একে ঠাকুর বাড়ি বলত বলে জানা যায়।

অপর ব্রাহ্মণ পরিবারটি গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বর্তমান নমঃশূদ্র পাড়ায় ছিল। লোকে একে দেবেন্দ্র কুমার চক্রবর্তীর বাড়ি বলত।

মূলতঃ এ দুটো ব্রাহ্মণ পরিবারকে অন্যান্য হিন্দুদের পূজা আর্চনার সুবিধার জন্য এক সময় অন্যত্র থেকে আনা হয়েছিল বলে জানা যায়।

✪ পূর্বপাড়ায় পদ্মা পুকুরের পশ্চিম পাড়ে ছিল আম কাঠাল আর ফল ফসলের বাগান।কাইতলা জমিদারের পাইক, পেয়াদাগণ এখান থেকে জমিদার পরিবারের জন্য ফল,ফুল ও তৈল জাতীয় শস্যদানা সংগ্রহ করত বলে জানা যায়।সাধারণ প্রজাগণ তাই এ জায়গাটিকে বলত রাজার বাগ।বল্লভপুর গ্রামের পানীয়জলের প্রথম গভীর নলকূপ/টিউবওয়েলটি সম্ভবত এখানেই বসানো হয়েছিল।গ্রামের লোকজন বিশেষত মহিলারা এ টিউবওয়েল থেকে সংগৃহীত পানি কলসি কাখে করে নিয়ে যেত।লোকজন একে বলত “বাগের কল”।অপর নলকূপটি ছিল নবীননাথের বাড়িতে।
মধ্যে পুকুরের উত্তর পাড়ে চঁন্দ্রাবল্লভ নামে এক ধনাঢ্য হিন্দু পরিবারের বসতি ছিল বলেও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

➤গোষ্ঠী বা গোত্র গুলোর নামঃ
✪ নোয়াব আলী/বলু সরকারের গোষ্ঠী
নোয়াব আলী সরকারের পূর্ব পুরুষগণ তৎকালীন বরদাখাত পরগনার সাতমোড়া গ্রাম থেকে বহুকাল আগে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন বলে জানা যায়।

✪ খন্দকার গোষ্ঠী
খন্দকার গোষ্ঠীর পূর্ব পুরুষগণ নিয়ামতপুর গ্রাম থেকে বহুকাল আগে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন বলে জানা যায়।[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ মমিন গোষ্ঠী
খোয়াজ আলী মুন্সি এবং নিয়াজ আলী মুন্সি ছিলেন দুই ভাই।[উনারা কোন গ্রাম থেকে আসেন জানা যায়নি,পরে সংযুক্ত করা হবে ]

মরহুম খোয়াজ আলী মুন্সির ছেলে মরহুম আলী আহাম্মদ মুন্সি,
আলী আহাম্মদ মুন্সির ৩ ছেলে যথাক্রমে
১. মুন্সি গোলাম মাওলা
২. মুন্সি হাবিবুর রহমান
৩. মুন্সি গোলাম রব্বানী
[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

মরহুম নিয়াজ আলী মুন্সির ২ ছেলের মধ্যে
১. মরহুম ফজলুর রহমান মুন্সি
এর ৩ ছেলে যথাক্রমে মোঃ নসু মুন্সি, মোঃ খলিলুর রহমান মুন্সি ও মোঃ আবু কাউছার মুন্সি থেকে বর্তমান প্রজন্ম…..। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

২.মরহুম শামসুল হক মুন্সি
এর ছেলে মুন্সি মোঃ বিল্লাল হোসেন।[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

মরহুম আলী আহাম্মদ মুন্সির ভগ্নিপতি মরহুম ওয়াহাদ আলী পাকিস্তান আমলে সোনার গাও থেকে ওনার চার পুত্র সন্তান মরহুম মুগ্গিল হোসেন, মরহুম জয়দুল হোসেন, মরহুম আলী হোসেন ও মরহুম নজু হোসেন সহ এখানে এসে বসবাস শুরু করেন।মরহুম মুগ্গিল হোসেনের বড় ছেলে মোঃ শিরো মিয়া,মরহুম জয়দুল হোসেনের বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম, মরহুম আলী হোসেনের ছেলে মরহুম নূরুল ইসলাম আরো অনেক..…..।[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ বন্দে আলী বেপারী বাড়ি/ভূঁইয়া গোষ্ঠী
মরহুম বন্দে আলী বেপারী সপরিবারে শিমরাইল গ্রাম থেকে ব্রিটিশ শাসনামলে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন বলে জানা যায়।ভূঁইয়া গোষ্ঠী ২০০ ( প্রায়) বছর পূর্বে শিমরাইল থেকে বল্লভপুরে বসবাস শুরু করেন।
কাজিম ভূঁইয়া, নাজিম ভূঁইয়া ও নাদিম ভূঁইয়াগণের বাড়ীর পাট্টা/পাটনা দলিলের (তারিখ ও সন) থেকে এটি প্রমাণিত হয় বলে জানা যায়।

মরহুম বন্দে আলী বেপারী ও মরহুম জাকির হোসেন ভূঁইয়ার পিতার নাম মরহুম আলা বক্স,দাদার নাম মরহুম ওসমান ও প্রপিতামহের নাম মরহুম মাহমুদ আলী ছিল বলে জানা যায়।

মরহুম বন্দে আলী বেপারী(তিনি গোয়ালী চৌধুরী বাড়ির আহমেদ আলী চৌধুরীর মেয়েকে বিবাহ করেন),মরহুম লাল মিয়া ভূঁইয়া ও মরহুম কালা গাজী ভূঁইয়া ওনারা আপন তিন ভাই।

➤বন্দে আলী বেপারীর তিন সন্তানের মধ্যে
১. মরহুম আব্দুল বারী ভূঁইয়ার সন্তান জনাব,হামিদুর রহমান ভূঁইয়া থেকে বর্তমান প্রজন্ম….। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

২. মরহুম আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সন্তান আব্দুল কাদির ভূঁইয়া থেকে বর্তমান প্রজন্ম……।[ আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

৩.মরহুম হাশেম ভূঁইয়ার সন্তান মরহুম আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া থেকে বর্তমান প্রজন্ম…..। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

➤ মরহুম লাল মিয়া ভূঁইয়া
( ওনার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় কোন তথ্য পাওয়া যায়নি)
➤মরহুম কালা গাজী ভূঁইয়ার সন্তান
মরহুম সহিদ ভূঁইয়া ও মরহুম সুধন ভূঁইয়া থেকে বর্তমান প্রজন্ম…..। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

➤মরহুম জাকির হোসেন ভূঁইয়ার সন্তানের মধ্যে
১. মরহুম সেকান্দর ভূঁইয়ার সন্তান
মরহুম আবুল বাশার ভূঁইয়া ও অন্যান্যদের থেকে বর্তমান প্রজন্ম…..।[ আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

২. মরহুম আজিজ ভূঁইয়ার সন্তান
মরহুম আলহাজ্ব আবু শামা ভূঁইয়া(মেম্বার) ও অন্যান্যদের থেকে বর্তমান প্রজন্ম…..। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

৩. মরহুম আব্দুল আজিজ ভূঁইয়ার সন্তান
জনাব, জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া(মেম্বার)ও অন্যান্যদের থেকে বর্তমান প্রজন্ম……। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ বখতার গোষ্ঠী
বখতার আলী শিদলাই গ্রাম থেকে পাকিস্তান আমলে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন বলে জানা যায়।বখতার আলীর দুই ছেলের একজন মরহুম চাঁন মিয়া থেকে জনাব,ইউনুস মাষ্টার, জনাব,আব্দুল মান্নান মুহরি সহ আরো অনেক…..।[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]
অপর ছেলে মরহুম হাজী রেহমান মেম্বার থেকে হাজী মোঃ মমিনুল হক মেম্বার সহ আরো অনেক…….।[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ স্রোতের পূর্বকুলে প্রথম মুসলিম বসতি মরহুম জালু মিয়া। মরহুম জালু মিয়ার দুই ছেলে মোঃ আবুল কাশেম ও আবু তাহের থেকে আরো অনেক……। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

অতঃপর পাকিস্তান আমলেই একে একে এসে বসতি স্থাপন করেন মরহুম আব্দুল মান্নান খলিফার পরিবার, মরহুম সুবহানের পরিবার,মরহুম লাল মিয়া ও মরহুম গনি মিয়ার পরিবার।
মরহুম লাল মিয়া ও মরহুম গনি মিয়া ওনারা আসেন শেরপুর থেকে।ওনাদের বাবার নাম ছিল চেরাগ আলী।চেরাগ আলীর অপর ভাইয়ের নাম ছিল বসকর আলী।তাদের পিতার নাম ছিল বিনন।মরহুম বিনন এর পিতার নাম ছিল আদম মিয়া। যার নামানুসারে শেরপুরের আদমের গোষ্ঠীর নামকরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।[আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ মরহুম আছু মিয়া,মরহুম কালু মিয়ার পরিবার এবং সুবেদার সাহেবের পরিবার আসেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে।স্বাধীনতার কিছুকাল পূর্ব থেকেই মরহুম মিয়াচাঁন এর পরিবার গোয়ালী থেকে এখানে এসে বসতি শুরু করেন। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ মরহুম ফয়জুর রহমান এর ছেলে মোঃ…… … আরো অনেক…..।
মরহুম ফয়জুর রহমান গাঙ্গের কুট থেকে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন। [আমি আমার বংশ লতিকা তৈরী করে রেখে গেলাম।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গোষ্ঠীর কেউ একজন আপনার বংশের লতিকা বা কোষ্ঠী তৈরী করে অবদান রাখুন ]

✪ ফুল মিয়ার বাড়ী
গত শতাব্দীর আশির দশকে মরহুম ফুল মিয়া সুবেদার সপরিবারে গোয়ালী গ্রাম থেকে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন।ওনার বড় ছেলে হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম থেকে বর্তমান প্রজন্ম…………..।

✪ ফয়েজ উদ্দিন সরকার বাড়ী
গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষ দিকে মরহুম ফয়েজ উদ্দিন সরকার ওনার চার পুত্র মরহুম ছিদ্দিক সরকার ও পরিবারের অন্যান্যদের সহ গোয়ালী গ্রাম থেকে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন।গোয়ালী গ্রামে ফয়েজ উদ্দিন সরকারের গোষ্ঠী নামে এখনো একটি গোষ্ঠী রয়েছে।

✪ মাষ্টার বাড়ী
গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষের দিকে ৮৮/৮৯ সালে জনাব,আলহাজ্ব নাঈমুল হক মাষ্টার সপরিবারে গোয়ালী গ্রাম থেকে বল্লভপুর পদ্ম পুকুরের পশ্চিম পাড়ে এসে বসবাস শুরু করেন।

,➤তথ্যদাতাঃ
১. মরহুম শাহাদাৎ হোসেন চান মিয়া
২. মরহুম আবুল বাশার ভূঁইয়া
৩. মরহুম জামশেদ খন্দকার
৪.জনাব, মোঃ হামিদুর রহমান ভূঁইয়া
৫.জনাব, মোঃ মমিনুল হক সরকার
৬.জনাব,মোঃ শাহ কামাল মাষ্টার
৭.জনাব,মুন্সি মোঃ ইকবাল হোসেন

➤তথ্য

➤ চতুর্থ পূর্ব:

ভৌগোলিক বল্লভপুর গ্রামের বিশেষত্ব:

কসবা উপজেলার (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা)মেহারী ইউনিয়নের অন্তর্গত এক সূর্যদীঘল গ্রাম বল্লভপুর।

✪ আয়তন:
দৈর্ঘ্য – ১ কিলোমিটার,
প্রস্থ – ০.৪৪ কিলোমিটার,

✪ অবস্থান/স্থানাঙ্ক :
২৩°.৮০৫৫১৬ উত্তর অক্ষাংশ
এবং
৯১°.০৬২৯৮২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

✪ সীমানা:
উত্তরে – অদের খাল ও নবীনগর উপজেলার গোয়ালী গ্রাম,
পূর্বে – মূলগ্রাম ইউনিয়নের শেরপুর গ্রাম,
দক্ষিণে – ফসিল মাঠ,মেহারী ও চাওলা বাড়ি,
পশ্চিমে – আনন্দ ভুবন ও শিমরাইল গ্রাম,

➤রত্নাগর্ভা বল্লভপুর গ্রামের প্রথম:
✪ প্রথম বহু ভাষাবিদ- মরহুম মৌলানা আবু মিজান মাকসাদ আলী হানাফি মুনইমি(রঃ),

Screenshot 20200616 121115 2
[তিনি ১২৪৭ বাংলা ১লা ভাদ্র মোতাবেক ১৮৪০ ইংরেজি ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।ত্রিপুরার ১৭৭ তম মহারাজ শ্রী শ্রী বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্য বাহাদুরের রাজ দরবারে ১৯১০ থেকে ১৯১৬ পর্যন্ত ৬ বছর মুসলিম কাজির (বিচারক) দায়িত্ব পালন করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ ২২ মার্চ মোতাবেক ১৩২২ বাংলা ৭ চৈত্র মোতাবেক ১৩২৫ ত্রিপুরাব্দ রোজ রবিবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।]

✪ প্রথম হাজী সাহেব-মরহুম ছৈয়দ আবু মাছাকিন গোলাম মতিউর রহমান লাহিন্দী আল কাদেরী বল্লভপুরী (রঃ) প্রকাশ দুদু মিয়া পীর সাহেব,

IMG 20200616 120254 2
[তিনি ১২৭৯ বাংলা ৩ রা চৈত্র, মোতাবেক ১২৯০
হিজরী , মোতাবেক ১৮৭৩ ইংরেজী সালে জন্ম গ্রহণ করেন।এবং ১৩৮৫ বাংলা ১৬ ই আশ্বিণ ( বাংলাদেশ পঞ্জিকা মতে ১৮ ই আশ্বিণ ), মোতাবেক ১৩৯৮ হিজরি ২৯ শে শওয়াল এবং ১৯৭৮ ইংরেজি ৩ রা অক্টোবর রোজ মঙ্গলবার সকাল ৮-২৫ মিনিটে ইন্তিকাল করেন।হযরত শায়খুল বাঙ্গাল সাতবার খানায়ে কাবার হজ্জ ও সাতবার মদিনা মুনাওয়ারাতে হাজিরি দিয়েছেন ।১৩৪৮ বাংলায় তিনি অনেক মুরিদ ও খলিফা সমভিব্যাহারে হজ্ব পালন করেন । তখন অনেক আরবিও উনার হাতে বাইআত গ্রহণ করেন এবং উনি ‘ শায়খুল বাঙ্গাল অর্থাৎ ‘বাংলার শায়খ’ খেতাবে ভূষিত হন।]

✪ প্রথম সরকারি চাকুরিজীবি – মরহুম শাসসুল হক সোনা মিয়া হাজী
(১৩০৭ ত্রিপুরা সনে ১৯০৩ ইংরেজিতে ঈদুল আযহার দিন জন্মগ্রহণ করেন। এবং ১৩৮১বাংলা সনের ৫ ফাল্গুন বুধবার সন্ধ্যার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় দাফন করা হয়।তিনি পুলিশ বিভাগে সিপাহী থেকে দারোগা পদোন্নতি পেয়েছিলেন)

✪ প্রথম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার/ সদস্য- মরহুম সিরাজ মিয়া সরকার
বল্লভপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রথম পাকাকরণে ওনার শারীরিক ও আর্থিক অবদান সবচেয়ে বেশী ছিল বলে জানা যায়।ক্ষণজন্মা এই ব্যক্তি ছিলেন বলু সরকারের সর্বকনিষ্ঠ ও পঞ্চম পুত্র।

✪ প্রথম এম বি বি এস ডাক্তার – মরহুম ডা. আব্দুল আওয়াল চিশতি
(বাংলাদেশ রেলওয়ের সি এম ও ছিলেন।)

✪ প্রথম গ্রাম সরকার – মরহুম আ: মান্নান খলিফা সরকার।মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন।কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে একাধারে চারবার নির্বাচিত হয়ে এলাকার শিক্ষাবান্ধব অভিভাবক হিসেবে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। পাশাপাশি ২০১০ সালে বল্লভপুর পূর্ব পাড়া প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান স্থানান্তরিত পপুলার প্রি -ক্যাডেট স্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।

✪ প্রথম ডিগ্রি অর্জনকারী পুরুষ – মরহুম আনোয়ারুল হক, বিএসসি, বিএড,
(তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ুয়া বল্লভপুর গ্রামের প্রথম ছাত্র।
B.Sc. (Comilla Victoria College-1966), B.Ed.
Ex-Teacher: Sabera Sobhan Govt. Girls High School, Brahmanbaria.)

✪ প্রথম সামরিক কর্মকর্তা – মরহুম কমান্ডার সফিকুল ইসলাম
(তিনি চীনে বাংলাদেশ এম্বাসিতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে থাকালীন ১৯৮৮ সালে অকাল পরলোক গমন করেন)

✪ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক – প্রফেসর ফরহাদ হোসেন
(প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মুসলিম ছাত্র।তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে বিদেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সেমিনারে আলোচক ছিলেন এবং বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসাবে কথা বলেন।)

✪ প্রথম টিভি ব্যক্তিত্ব: জাকির হোসেন শিশির।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও জাতীয় বেতারে ডাকসুর ব্যানারে সংগীত পরিবেশন করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূতি’ অনুষ্ঠানের থিম সং রচয়িতা।

✪ প্রথম ডিগ্রি অর্জনকারী নারী – মোছাম্মৎ আসমা আক্তার,বিএ,সিএন এড,
পিতা – মরহুম হাজী আব্দুল জব্বার

✪ প্রথম বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত ব্যক্তিত্ব – এস এম শাহনূর

PicsArt 06 16 12.50.09
(বিশ্ববাঙালি সম্মাননা- ২০১৯,অমর একুশে সাহিত্য পুরস্কার -২০২০, সকালের সূর্য (পত্রিকা)সাহিত্য বাসর সম্মাননা এবং জাতিসংঘ শান্তি পদকপ্রাপ্ত)

✪ প্রথম পিএইচডি ডিগ্রিধারী – ড. শামা নাজ ইসলাম
পিতা- মরহুম কমান্ডার সফিকুল ইসলাম।
(ড.শামা নাজ ইসলাম, মরহুম কমান্ডার সফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। তিনি বল্লভপুর গ্রামের প্রথম বুয়েট(BUET) এ (EEE)পড়ুয়া শিক্ষার্থী।বর্তমানে National University of Austria তে অধ্যাপক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।

✪ প্রথম পিএইচডি ডিগ্রিধারী পুরুষ – মোঃ খায়রুল হক পায়েল
তিনি বুয়েট এ পড়ুয়া বল্লভপুর গ্রামের প্রথম ছাত্র।
B.Sc. in Chemical Engineering (BUET)
M.Sc – Chalmers University, Sweden
Ph.D -University of Dublin, Ireland
Birth Date: 07/02/1984

✪ প্রথম বিসিএস কর্মকর্তা – মোনালিসা পপি
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বল্লভপুর গ্রামের প্রথম শিক্ষার্থী।
B.Sc. in Food Engineering, Bangladesh Agricultural University
M.Sc in Food Engineering – Bangladesh Agricultural University
Technical Instructor (33 BCS)
d of Food Engineering Department horegonj Polytechnic Institute, Kishoregonj.
Birth Date: 07/09/1986

✪ প্রথম বিসিএস (পুরুষ) কর্মকর্তা -মোঃ শফিউল হক পরশ।
পিতা – মরহুম আনোয়ারুল হক বিএসসি,বিএড,;
[ তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বল্লভপুর গ্রামের প্রথম শিক্ষার্থী।
B.Sc. in Civil Engineering, (CUET)
Assistant Engineer (34 BCS)
Department of Public Health Engineering (DPHE)
Birth Date: 31/05/1981]

✪ প্রথম নারী নেত্রী – প্রভাষক রুমানুল ফেরদৌসী
বিবিএস অনার্স (ফার্স্ট ক্লাস) ও এমবিএস(ফার্স্ট ক্লাস)
তিনি ১৯৮৪ইং সালে কসবা উপজেলার মান্দাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। কসবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও “ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের” সুদক্ষ অধ্যক্ষ জনাব,মোঃ ইকবাল হোসেনের সহধর্মিণী। তিনি কসবা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক।
*প্রভাষক- গোপীনাথপুর আলহাজ্ব এডভোকেট শাহ আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
*সদস্য- ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।

✪ প্রথম মেরিন ইঞ্জিনিয়ার – মোঃ আতিকুর রহমান
Father’s name: Late Samsul Alam,
Mother’s name: Mrs. Jahanara Begum,
Kaitola Jajneswar high school, SSC-GPA 5, Comilla Victoria Govt. College,HSC- GPA 5, Bangladesh Marine Academy, 48th batch,Engineering ,( First class.)

✪ প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী – শারিকা নওরীণ পলি ।
(পিতা- মরহুম আ: মান্নান সরকার)

✪ প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হিন্দু ছাত্র – অভিজিত দাস ।

➤খাল,বিল,জলাশয়:
গ্রামের উত্তর দিকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বয়ে গেছে অদের খাল, পশ্চিমে রাজার খাল,পদ্ম পুকুর,মিয়া চানের পুকুর,মাষ্টার বাড়ির পশ্চিমের ‘মধ্যে পুকুর’, জুগি(যোগী) পুকুর,খন্দকার বাড়ির পুকুর,মসজিদের পুকুর,ভূইয়া বাড়ির পুকুর, বেপারী বাড়ির পুকুর,চারাল্লাইর পুকুর (বাজার পুকুর),দখিন চক(বিল)উল্লেখযোগ্য।

➤প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ:
গ্রামের পূর্বে(বারক শাহের আখড়ায়) ১টি, কবরস্থানের পশ্চিম পাশে ১টি এবং গ্রামের পশ্চিমে ১টি(আনোয়ার মাষ্টারের বাড়িতে) সহ মোট ৩টি বিশালাকৃতির শতবর্ষী বটবৃক্ষ (নব্বইয়ের দশকে গাছগুলো উদাও হয়ে যায়)।

✪ মরহুম মৌলানা আবু মিজান মাকসাদ আলী হানাফি মুনইমি(রঃ) ও পরিবারের অন্যান্যদের সমাধি।

FB IMG 1592286569402

➤ দর্শনীয় স্থান:
✪ আনন্দ ভুবন

IMG 20200616 115409 1
বল্লভপুর-শিমরাইল গ্রামের মধ্যবর্তী রাজার খালের উপর নির্মিত বড়ভাঙ্গা ব্রিজ ও তার চারি পাশের নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সমূহের তালিকায় এটি আনন্দ ভুবন নামে পরিচিত।

CYMERA 20190831 222052 1

➤মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি:
মুক্তিযুদ্ধের সময় কসবা উপজেলা ২নং সেক্টরের বৃহত্তম রণাঙ্গন ছিল। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর লতোয়ামুড়া ও চন্দ্রপুরে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং কুল্লাপাথরে অপর এক লড়াইয়ে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাছাড়া এ সময় উপজেলার আকছিনা, আড়াইবাড়ী, হরিয়াবহ, ক্ষীরণাল, চারগাছ ও বায়েক অঞ্চলে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়।শিমরাইল ও জমশেরপুর গ্রামে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ সমাধি।অক্টোবরের শেষের দিকে পাকবাহিনী চারগাছ হয়ে গোয়ালী চৌধুরী বাড়িতে এসে নারকীয় তান্ডব ও হত্যাযজ্ঞ চালায়।তখন ছিল ভরা বর্ষাকাল। মরহুম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কে পাকবাহিনী যেদিন হত্যা করে।ঠিক সেদিনই চৌধুরী বাড়ি থেকে পাকবাহিনীর ছুড়া মর্টারের এলোপাথাড়ি গোলার আঘাতে(বল্লভপুর আইডিয়াল স্কুলের পূর্বপাশের হাটু জলে) শহীদ হন মোঃ মোহন সরকার ও মোঃ হুরু মিয়া।৭১ পরবর্তী সময়ে কত ধরনের তালিকা হয়েছে, কতজনা পেয়েছে কত খেতাব,কিন্তু আজো শহীদ মোঃ মোহন সরকার,শহীদ মোঃ হুরু মিয়ার নাম কোন তালিকায় উঠেনি।এ পরিবার দু’টি পায়নি সরকারি একমুঠো সাহায্য সহযোগিতা। কুমিল্লার কোন এক যুদ্ধে সম্মুখ রণাঙ্গনে শহীদ হন এ গ্রামেরই অকুতোভয় সন্তান ল্যান্স কর্পোরাল মোস্তফা কামাল। পাকবাহিনীর ভয়ে সকল মানুষ গ্রাম ছাড়লেও যে মানুষটি পাকিদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্ভয়ে গ্রামের সকল মানুষের ঘর বাড়ি পাহারা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি হলেন মরহুম হাজী আব্দুল জব্বার। স্বাধীনতার পর বল্লভপুরের প্রথম রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যন জনাব,মরহুম মিঞাচান এবং সদস্য সচিব ছিলেন জনাব, মরহুম আ: মান্নান খলিফা ।

➤ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ:
✪ বল্লভপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ

FB IMG 1592286366197 2
মরহুম খোয়াজ আলী মুন্সি মসজিদের জন্য জমি দান করেন।প্রথম দিকে মসজিদ খানা শনের ছাউনি ছিল বলে জানা যায়।পরবর্তীতে মরহুম হাজী আব্দুল জব্বার(বড় ভাঙ্গায়-নিজ জমিতে ইটভাটা বানিয়ে, ইট পুড়িয়ে) গ্রামের ধর্মপ্রাণ লোকজনের সহযোগিতায় চাঁদ তারা ও লতাপাতা খঁচিত পাকা মসজিদে রূপদান করেন।৯৯-০০ অর্থবছরে বল্লভপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক পাঠাগার চালু করা হয়।( সম্ভবত) ২০০৫ সালে মসজিদের সামনের দিকে প্রশস্ত করা হয়।বারবার সংস্কার করলেও মুসল্লি সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০০৯ সালে মসজিদটিকে ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করা হয়।গ্রামের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতায় সময় সময় মসজিদটিকে সংস্করণ, পরিবর্ধন ও পরিশোভন করে নান্দনিক রূপ দেওয়া হয়।

✪ বল্লভপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ:
বল্লভপুর কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে এক মনোরম পরিবেশে বল্লভপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের অবস্থান।
বল্লভপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের জন্য জমি দান করেন মরহুম হাজী আবু শামা মেম্বার ও মরহুম হাজী আব্দুল জব্বার। মহান আল্লাহ ওনাদের এ দানের বিনিময়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।

✪ বল্লভপুর বায়তুল মামুর মসজিদ,

PicsArt 06 16 12.46.10
১৯৯৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ৩ শতক জমির উপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।আলহাজ্ব নাঈমুল হক মাষ্টার মসজিদের জন্য ৩ শতক জমি দান করেন।শুরুতে মসজিদ খানা টিনশেড ছিল।২০১৫ সালে মসজিদ খানা পাকাকরণ করা হয়।মহেশ রোড়ের কাছাকাছি বায়তুল মামুর মসজিদটি বল্লভপুর গ্রামের একটি দৃষ্টিনন্দন ইবাদত খানা।

✪ বল্লভপুর আইডিয়াল স্কুল

FB IMG 1591766239639
২০১৮ সালে নিজস্ব ও স্থায়ী ক্যাম্পাস কমান্ডার সফিকুল ইসলাম ভবনে প্রতিষ্ঠা করা হয় বল্লভপুর আইডিয়াল স্কুল।স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক -এস এম শাহাবুদ্দিন।

✪ বল্লভপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়
তৎকালীন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম শহিদুল ইসলাম তাঁর নির্বাচন পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক স্কুলটির অনুমোদন পাশ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রদান করেন।
১৯৮৮ সালে (৩৫ শতক,নামজারী হয় ২৩ শতক) কাগজে কলমে বল্লভপুর রেজিষ্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু।
১৯৯০ সালে টিনশেড ঘরে প্রথম শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়।

FB IMG 1592286332256
২০১৩ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়।
বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তৎকালীন মেহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (সাবেক) শরীফ শামসুল হকের অনেক অবদান রয়েছে।

✪ স্কুলে জমি দানকারী ৩ জন দাতা সদস্য হলেন-
১. মরহুম৷৷৷৷৷৷৷ চৌধুরী
২. হাজী মোঃ মমিনুল হক মেম্বার
৩. মোঃ হামিদুর রহমান ভূঁইয়া
✪ স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক – জনাব,মোঃ শাহকামাল
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে স্কুলটিকে টিকিয়ে রাখতে যে সকল ব্যক্তিগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।তাদের মধ্যে অন্যতম মরহুম সুলায়মান মিয়া, মরহুম জামশেদ খন্দকার,মরহুম আব্দুল কাদির খন্দকার,মরহুম আব্দুল গনি(গুনু),জনাব, নাঈমুল হক মাষ্টার,মরহুম আলীম বেপারী, জনাব,মোঃ ইউনূছ মাষ্টার,আব্দুল মান্নান মুহুরী,মরহুম শামসুল আলম(ছায়েব আলী) মরহুম শাহাদাৎ হোসেন চান মিয়া সরকার,মরহুম আব্দুর রশিদ সরকার,মরহুম মোতালেব সরকার, মরহুম সমন সরকার,মোঃ মমিনুল হক সরকার, মোঃ নূর আলী মাষ্টার,শ্রী রাইচান ওরফে কডু সরকার প্রমুখ।

➤ সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান:
✪ হাজী আব্দুল জব্বার স্মৃতি পাঠাগার,
✪ তিতাস সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র,
✪ সরকার গোষ্ঠী ইউনাইটেড সোসাইটি,
✪ বল্লভপুর স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (বিলুপ্ত),
✪ বল্লভপুর লাহিন্দী সূর্য মুখী যুব সংঘ,
✪ বল্লভপুর খন্দকার সমিতি(বিলুপ্ত),
✪ বল্লভপুর যুব কল্যাণ সমিতি(বিলুপ্ত),
✪ বিদ্রোহী কিশোর ছাত্র সংসদ(বিলুপ্ত),
✪ বল্লভপুর অবিনশ্বর যুব সংঘ,
(২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এর কার্যক্রম চলে ৬ মাসের মত।)
✪ আদর্শ যুব ক্লাব,
(প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০০৮ সালে কার্যক্রম চলে ৪ বছর।) ✪ ভূঁইয়া সমিতি,
(প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৬ সালে কার্যক্রম চলে ৫ বছর।)
✪ কাজল স্মৃতি সংসদ
(২০১৯ সালে কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষদের মাঝে সম্মাননা প্রদান ও ২০১২ সালে মেধা বৃত্তি প্রদান করে।)

➤জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস:
কৃষি ৫২.০৮%,
অকৃষি শ্রমিক ২.২৭%,
ব্যবসা ১৫.০৬%,
পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২০%,
চাকরি ১০.০৬%,
নির্মাণ ১.৫১%,
প্রবাসী ৯.০৫%
অন্যান্য ৯.৪২%।

➤কৃষিভূমির মালিকানা:
ভূমিমালিক ৬০.৯৯%,
ভূমিহীন ৩৯.০১%।
শহরে ৪৫.৩০%
গ্রামে ৬১.৯২%
প্রবাসে ৫.১০℅

➤প্রধান কৃষি ফসল:
ধান, পাট, গম, আলু,সরিষা।

➤বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি:
ডাল, ভূট্টা,তৈল জাতীয় শস্য।

➤প্রধান ফল-ফলাদি:
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, নারিকেল, পেঁপে, কুল।

➤গ্রামের কিছু সংখ্যক লোক গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি,কবুতর ও মাছ চাষ করে থাকে।

➤যোগাযোগ বিশেষত্ব:
কী ভৌগোলিক কী আঞ্চলিক, সকল দিক থেকেই যোগাযোগ ক্ষেত্রে বল্লভপুর এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।বিটঘর ও কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের মহেশ রোড ব্যবহারকারী লোকজন জেলা সদরে যেতে হলে বল্লভপুর ব্রীজ হয়ে যেতে হয়।বরদাখাত থেকে আন্দিকুট ও লাউর-ফতেহপুর ইউনিয়নের নাগরিক গণ নূরনগর বা পূর্বাঞ্চলে যেতে হলে বল্লভপুর আনন্দ ভুবন (ব্রীজ) হয়ে যেতে হয়।কুটি- চৌমুহনীর সাথে বল্লভপুর থেকে রয়েছে চমৎকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্ষাকালে নৌ পথে বল্লভপুর থেকে নবীনগর,বল্লভপুর থেকে কুটি বাজার,বল্লভপুর থেকে কালিগঞ্জ বাজার ও বাঙ্গরা বাজারে যাওয়া আসা করা যায় অনায়াসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের রেলস্টেশন কিংবা কাউতলী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ালে সিএনজি চালকের কণ্ঠে আপনি ‘বল্লভপুর’ ‘বল্লভপুর’ ডাক শুনতে পাবেন।উপজেলা সদর কসবার টেম্পু স্ট্যান্ড কিংবা কুটি উত্তর বাজারের অটো স্ট্যান্ডে দাঁড়ালেও আপনার কানে ভেসে আসবে বল্লভপুর নামটি।শতশত বছর আগে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এত উন্নত ছিলনা, তখনও তিনলাখ পীর থেকে চারগাছ বাজার হয়ে বল্লভপুর হয়ে কালিগঞ্জ হয়ে গাজীর হাট হয়ে পশ্চিম দিকে যাতায়াতের জন্য ছিল চমৎকার এক মেঠোপথ। একে পোড়া রাজার জাঙাল বলা হয়।আবার কেউ কেউ এ পথকে শেরশাহের আমলে নির্মিত গ্রান্ড ট্রাংক রোডও বলে থাকেন।এক সময় জলপথে বরদাখাত-নূরনগর পরগনার লোকজনের যাতায়তের প্রধান রাস্তা অদের খাল বল্লভপুর গ্রামের বিশেষত্ব আরো বাড়িয়ে ছিল।
তবে অদের খালের পাড় ঘেঁষে বল্লভপুর গ্রামের উত্তর পাশের রাস্তাটি সংস্কার করে পথচারীদের চলাচলের জন্য উপযুক্ত ও উন্মুক্ত করা এখন সময়ের দাবী।

➤বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায়:
সনাতন বাহন পালকি,
গরু দিয়ে মলন,
লাঙ্গলে জমি চাষ,
ঘোড়ার ঘানি ভাঙ্গানো তৈল,
শিল পাটার ব্যবহার,
ঢেকিতে ধান/চাল ভানা,
বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।
নক্সি কাঁথা সেলাই,
হাত পাখা তৈরী।
কডুর মেলা

➤বিদ্যুৎ :
বল্লভপুর গ্রামের সব কয়টি বাড়ি ঘর পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন।

➤পানীয়জলের উৎস:
নলকূপ ৯৪.৪৬%,
পুকুর ১.৭৯%, ট্যাপ ০.২৮%
এবং অন্যান্য ৩.৪৭%।

➤স্যানিটেশন ব্যবস্থা:
গ্রামের ৭৭.৪০% পরিবার স্বাস্থ্যকর
এবং ১৪.৩১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে।
৮.২৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

➤প্রাকৃতিক দুর্যোগ:
১৯৮৮, ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালের বন্যায় গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।১৯৫৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় অধিকাংশ লোক অর্ধাহারে দিনাতিপাত করে।

➤এনজিও:
ব্র্যাক, আশা, সেভ দ্য চিলড্রেন।

➤তথ্যদাতা:
☆মরহুম শাহাদাৎ হোসেন চান মিয়া।
☆মরহুম জামশেদ খন্দকার
☆জনাব,হামিদুর রহমান ভূঁইয়া
☆এস এম আশরাফ আলী।। কাছিদায়ে শাশখুল বাঙাল
☆মরহুম সোনা মিয়া হাজীর ডায়েরি
☆জনাব,আলহাজ্ব নিয়ামুল হক মাষ্টার
☆জনাব,মোঃ শাহকামাল মাষ্টার
☆Zakir Hossain
☆ ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা

➤ লিংক

➤পঞ্চম পর্ব:
কসবা উপজেলার (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা)মেহারী ইউনিয়নের অন্তর্গত এক সূর্যদীঘল গ্রাম বল্লভপুর।

➤ বল্লভপুর গ্রামের শিক্ষক/শিক্ষিকা বৃন্দের নাম:
(প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা)
✪জনাব,মরহুম আনোয়ারুল হক
প্রাক্তন সিঃশিক্ষক, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারি সাবেরা সোবহান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।
✪ জনাব, মরহুম জহিরুল হক
প্রাক্তন শিক্ষক,কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ জনাব, ইউনুস মিয়া
প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়।
✪জনাব, আলহাজ্ব নায়িমুল হক
অবঃ প্রধান শিক্ষক,কাইতলা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
✪ জনাব,মোঃ ইব্রাহিম
প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, চারগাছ আফিয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ জনাব শাহ কামাল
প্রধান শিক্ষক, বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
✪ জনাব জসিম উদ্দিন
সিঃ শিক্ষক, বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ জনাব, সুমা জসিম
সিঃ শিক্ষক,চারগাছ আফিয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ জনাব, মমিনুল ইসলাম
সহকারী শিক্ষক, বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
✪ জনাব, আছমা আক্তার
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সাভার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
✪ জনাব, মোঃ আতিকুল ইসলাম
সিঃশিক্ষক,মেহারী উবায়দিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা।
✪ জনাব, আশরাফুল আলম আলমগীর
সিঃশিক্ষক,মোলা দাখিল মাদ্রাসা।
✪ জনাব বখতিয়ার খলজি
সিঃ শিক্ষক,কালসার আংগুরা বাশার উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ জনাব, আব্দুল কাইয়ূম
সিঃ শিক্ষক,মেহারী ওবায়দিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।
✪ জনাব, ফাতেমা আক্তার
সহকারী শিক্ষক,বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
✪ জনাব, জরিনা আক্তার
সহকারী শিক্ষক,বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।✪ জনাব,শাহানা বেগম
সহকারী শিক্ষক,বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
✪ জনাব, মোঃ আনোয়ার হোসেন
সহকারী শিক্ষক,শিমরাইল শান্তি পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
✪ জনাব, সাবিনা ইয়াসমিন
সহকারী শিক্ষক,বল্লভপুর আইডিয়াল স্কুল।
✪ জনাব উম্মে ফারজানা মুকুল
সিঃ শিক্ষক,ব্রাক্ষণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।

➤(কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়)
✪ জনাব,প্রফেসর ফরহাদ হোসেন
বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি)
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ,ঢাকা।
✪ জনাব, অধ্যাপিকা ইতি চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান (ইতিহাস)
মোহাম্মদপুর আলহেরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,ঢাকা
✪ প্রভাষক রুমানুল ফেরদৌসী রুমা
প্রভাষক, গোপীনাথপুর আলহাজ্ব এডভোকেট শাহ আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
✪ জনাব, মোঃ ইকবাল হোসেন
অধ্যক্ষ,ব্রাক্ষণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।

➤তথ্যদাতা:
১. Md Iqbal Hossain
২. Bakhtiar Khaljee

➤ ষষ্ঠ পর্ব:

বরেণ্য ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের তালিকা:

✪ মরহুম হাজী আব্দুল জব্বার বল্লভপুরী (রাহ.)
[জন্ম ১৯২৮ ইং,মৃত্যু ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ই]
inbound8510311944163486691
-ছতুরা দরবার শরীফের পীর প্রফেসর আব্দুল খালেক (রঃ)র মাস্তান খেতাবে ভূষিত শিষ্য।বল্লভপুর কবরস্থানে মা বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায়শায়িত। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক ঘুমজাগানিয়া একজন ধর্ম প্রচারক।তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে হজ্জে বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা ও মদীনা মনয়ারায় গমন করেন।

✪ জমশের আলী ওরফে মেঘু মিয়া (র.) এর মাযার,
✪ হযরত আয়েত আলী শাহ (র.)এর মাযার।
inbound7759779391940737380
হযরত আয়েত আলী শাহ (র.)এর জীবদ্দশায় আশপাশের গ্রাম ও দূরদূরান্ত থেকে বহু উন্মাদ ও জিন পরীর আছর ধরা রোগী আসত।এবং ওনার কোরআন হাদিসের আলোকে চিকিৎসায় সেই সকল রোগীরাা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পরিবারের নিকট ফিরে যেত।
✪ বারিক শাহ (র.) আখড়া।
এটি গ্রামের পূর্বপাশে মরহুম মিয়া চানের বাড়ির সন্নিকটে অবস্থিত।বারিক শাহ নামক জনৈক সাধু এখানে বেশ কয়েক বছর অবস্থান করেছেন।তখন প্রতি বছর মহা সমারোহে গান,বাজনা সহ ওরশ অনুষ্ঠিত হত।

➤ মেম্বার গণের নামের তালিকা:
✪ মরহুম সিরাজ মিয়া সরকার
✪ মরহুম আব্দুল বারী ভূঁইয়া
✪ মরহুম হাজী আব্দুর রাহমান
✪ মরহুম হাজী আবু শামা ভূঁইয়া
✪ জনাব, হাজী মমিনুল হক
✪ মরহুম আব্দুর রৌফ ভূঁইয়া
✪ জনাব, মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া
✪ মরহুম মোঃ তাজুল ইসলাম
✪ জনাব, মোঃ সেলিম মিয়া (চ.দা.)

তথ্য সূত্র আওয়ার কন্ঠ