আড়ংশাইল গ্রাম মির্জাপুর ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

আড়ংশাইল গ্রাম মির্জাপুর ইউনিয়ন

গ্রামের অবস্থানঃ বড় বড় দিঘী বেষ্টিত অপরুপ সৌন্দর্যময় গ্রাম আড়ংশাইল। যদিও আড়ং দুধের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ৫নং মির্জাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এর উত্তরে আমচর মুকুন্দ, দক্ষিনে সাগর পুর, পশ্চিমে বীরগ্রাম, পুর্বে মির্জাপুর গ্রাম অবস্থিত। 

গ্রামের ২ পাশ দিয়ে শেরপুর-ভবানীপুর রোড এবং শেরপুর-তারাশ রোড থাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই ভাল। প্রায় ৮০% বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। 

প্রতিষ্ঠানঃ গ্রামের ২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  একটি দাখিল মাদ্রাসা,  একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, একটি এতিম খানা আছে। মুসলমানদের ইবাদাতের জন্য ৪ টি জামে মসজিদ, একটি ইদগাহ মাঠ এবং হিন্দুদের উপাসনার একটি মন্দির আছে। 

উল্লেখযোগ্য বিষয়ঃ গ্রামে ৩ টা বড় দিঘী আছে যা ঐতিহাসিক ভাবে বিখ্যাত। কথিত আছে রাণী ভবানী গোসল করার জন্য ১৬ বিঘা (কথিত)  বড় দিঘী খনন করান। দিঘীর ২ পাশে শান বাধানো ঘাট ছিল যা কালের বিবর্তনে ভেংগে গেছে। দিঘীটি  আজও রানীর পুকুর নামে প্রসিদ্ধ।  আরো রাজার দিঘী,  রাজার মায়ের দিঘী। এগুলার প্রকৃত আয়তন জানা যায় নি। এছাড়া আরাও ছোট বড় অনেক পুকুর আছে। আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের ছোট বড় শপিংমল। 

প্রশাসনিক তথ্যঃ গ্রামের বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন জনাব ইয়াকুব আলী। 

অর্থনীতিঃ এ গ্রামের অর্থনীতির ভিত্তি হচ্ছে কৃষি ও ব্যবসা। ধান, আলু, পেয়াজ, আদা রসুন, কাচা মরিচ,হলুদ সহ প্রায় সব ধরনের  শাক সবজি চাষাবাদ করা হয়। এছাড়া দিঘী ও পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়।  এছাড়া অন্যান্য পেশাজীবী মানুষও বসবাস করে। 

ধর্মঃ গ্রামের কয়েক ঘর হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যতিত সবাই মুসলমান।