আনুহলা গ্রাম হুগড়া ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

আনুহলা গ্রাম হুগড়া ইউনিয়ন

টাঙ্গাইল জেলার পশ্চিম অংশে হুগড়া ইউনিয়নের ১০ ওয়ার্ডে আমার প্রিয় গ্রাম আনুহলা।আমার গ্রামটির পূর্বদিকে খড়স্রোতা ধলেশ্বরী ও পশ্চিমদিকে প্রমত্তা যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যশোভিত আমার গ্রাম আনুহলা টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে উন্নত কয়েকটি গ্রামের মধ্যে অন্যতম।এছাড়া, আনুহলা গ্রামটি পুরো জেলার মধ্যে শিক্ষা-দীক্ষায় সবচেয়ে সুনামের অধিকারীও বটে।

আনুহলায় রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, একটি ডিগ্রী কলেজ, একটি ২৫ শয্যার ইউনিয়ন দাতব্য সরকারী হাসপাতাল,  নিজস্ব ভবনসহ একটি পোস্ট অফিস, একটি স্বনামধন্য ক্লাব (ক্লাবের অধিকাংশ সদস্যই ন্যুনতম গ্রাজুয়েট), দুটো সুরম্য অট্টালিকা সম্মৃদ্ধ জামে মসজিদ, একটি সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডসহ একাধিক মারে্কটও। 

আনুহলা গ্রামটিতে বেশ কয়েকটি উপাধীধারী বংশের মানুষের বসবাস। এরমধ্যে সিদ্দিকী বংশ, মির্জা বংশ, সরকার বংশ, প্রামানিক বংশ, বেপারী বংশ ও মোল্লা বংশ উল্লেখযোগ্য। 

সিদ্দিকী বংশের ডা. ওসমান গণি সিদ্দিকী শুধু নিজ এলাকায় নন তিনি পুরো টাঙ্গাইল জেলায়ই খুব সন্মানিত মানুষ ছিলেন। চিকিৎসক হিসেবে তিনি সারাজীবন গণমানুষের সেবা করে গেছেন। তার কয়েকজন পুত্রের মধ্যে ডা. মনিরুজ্জামান সিদ্দিকী, ডা. আবু বকর সিদ্দিক, ড. তোফসির উদ্দিন সিদ্দিকী (বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক) সমাজে বেশ পরিচিতি ও সন্মান পেয়েছেন। 

ডা. মনিরুজ্জামান সিদ্দিকীর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, মেঝ ছেলে টাঙ্গাইলের ধরেরবাড়ি মুসলিম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও ছোট ছেলে ঢাকায় সাংবাদিকতা করছেন। তার নাতিদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার, দুই নাতিন ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পাশ করা চিকিৎসক।

মির্জা বংশের মধ্যে একজন আশরাফ মির্জা ছিলেন স্বাধীনতা উত্তর টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান। আরেকজন হাফিজ মির্জা ছিলেন পাকিস্তান আমলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। এছাড়াও, ওই বংশের আরও কয়েকজন প্রবীণ বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ পুলিশবিভাগসহ বেশ কয়েক ক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে কর্মজীবন সম্পন্ন করেছেন।

যাই হোক, খাল, পাকা সেতু, পাঁকা রাস্তা, বিদ্যুৎ সুবিধাসহ আনুহলা গ্রামটি কৃষিতেও সম্মৃদ্ধ। প্রকৃত পক্ষে আনুহলা গ্রামটিকে দেখলে আপনি একটি মাত্র বাক্যই প্রকাশ করবেন তা হল-‘ওয়াও, এ যেন সবুজে ঘেরা প্রকৃতির সৌন্দর্যভরা একটি আদর্শ গ্রাম।’ আমি/আমরা এ গ্রামকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি,,,