অতিরিক্ত মেক-আপে হতে পারে স্কিন ক্যান্সার

অতিরিক্ত মেক-আপে হতে পারে স্কিন ক্যান্সার

মেক-আপ নিয়ে নারীদের আগ্রহের যেন কোন কমতি নেই। বর্তমান যুগে মেকাপ করেন না অথবা পছন্দ করেনা এমন নারী খুঁজে পাওয়া যাবে না। মেক-আপ যেমন নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমন অতিরিক্ত অতিরিক্ত মেক-আপে হতে পারে স্কিন ক্যান্সার সহ নানা ধরনের সমস্যা।

এক দল গবেষকদের মতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে প্রকটভাবে দেখা দিতে পারে স্কিন ক্যান্সার। বাংলাদেশে যে সব মেক-আপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তার নূন্যতম মান নেই বল্লেই চলে । একটি কালার পপ লিপস্টিকের দাম ১০০ টাকা কিন্তু হোদা বিউটি লিপস্টিক মাত্র ৩৫ টাকা কেমনে সম্ভব? রেপ্লিকারও একটা লেভেল থাকে। বাংলাদেশে মেকের লিপস্টিক ২০০ টাকা। আর অরজিনাল মেকের লিপস্টিক ৯০০ টাকা থেকে শুরু।

বাংলাদেশের ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরের আনাছে কানাছে লাইসেন্স বিহীন প্রডাক্ট তৈরির ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে যেখানে বিভিন্ন মেপ-আপ প্রডাক্ট কম দামী ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি করে দামী ব্যান্ডের মোড়ক ছাপিয়ে দামী ব্যান্ডের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা স্কিনের মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে রং-বেরঙের লিপস্টিক সব নারীরাই ব্যবহার করে। আবার মেকআপের সাহায্যে ঠোঁট মোটা বা চিকনও করা যেতে পারে! এ আর নতুন কি?  

ছবিতে যে ছবিগুলো দেখছেন, এসব ঠোঁট কিন্তু মেকআপের সাহায্যে তৈরি করা হয়নি। ঠোঁটে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ফিলার্স করছেন নারীরা। তাও আবার এমন ঢেউ খেলানো নকশায়। এমন ঠোঁটের নাম দেয়া হয়েছে ‘অক্টোপাস লিপ্‌স’।

ঠোঁটগুলো দেখে নিশ্চয়ই, কী বিচ্ছিরি’! এমন প্রতিক্রিয়াই হচ্ছে আপনার! তবে অবাক করা তথ্য হলো, অনেকের কাছে এটাই লেটেস্ট বিউটি ট্রেন্ড। রাশিয়ায় শুরু হওয়া এই ট্রেন্ড সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পৌঁছে গিয়েছে সারা বিশ্বে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ‘ডেভিল লিপ্‌স’ দেখে শিহরিত ও বিস্মিত নেট দুনিয়া।

কী এই ‘ডেভিল লিপ্‌স’ বা ‘অক্টোপাস লিপ্‌স’? শোনা যাচ্ছে লিপ ফিলার্স এবং মেক-আপের সাহায্যে এই অদ্ভুত ঢেউ খেলানো ঠোঁট তৈরি করছেন নারীরা। এর জন্য ঠোঁটে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ফিলার্স ঢোকানো হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই পদ্ধতি বেশ ক্ষতিকর। কোনোভাবে এই ইঞ্জেকশন শিরার ভিতরে ঢুকে গেলে নেক্রোসিসের মতো সমস্যা হওয়াও আশ্চর্য নয়।