সুতারমুড়া গ্রাম গোপিনাথপুর ইউনিয়ন
এটি কসবা থানার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলে,ভারতের ত্রীপুরা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম।পূর্বে ত্রীপুরা সীমান্ত,দক্ষিনে কাজিয়াতলী,পশ্চিমে সৈয়দ পুর,এবং উত্তরে ফসলের মাঠ পেরিয়ে দৌলতপুর।মৌজা হিসাবে এটা রামপুর মৌজার অধিনে।
গ্রামটি একটি টিলা সমৃদ্ধ এলাকায় অবস্থিত।
গ্রাম সুতারমুড়া, পোস্ট অফিস বিষ্ণাউড়ী,ইউনিয়ন গোপিনাথপুর( ওয়ার্ড ৯ বর্তমান সাবেক ৩,) উপজেলা কসবা, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।এটি একটি হিন্দু অধ্যাসিত গ্রাম ছিলো ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত।
পরে হিন্দুস্থান পাকিস্থান বিনিময় প্রথা চালু হলে ১৯৬৫ সালে আজকের গ্রাম বাসি ভারতের পশ্চিম ত্রীপুরা, বিশালঘর এলাকা থেকে আজকের সুতারমুড়া গ্রামে বসতি স্থাপন করে। কত পূর্বে এর এই নাম দেয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে বিষদ জানা জায়নি।
সুতারমুড়া ছোট্ট একটা গ্রাম, এখানে সুতারমুড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ,সুতারমুড়া ইসলামিয়া হাফেজিয়াও এতিম খানা,সুতারমুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,সুতারমুড়া ঈদগাহ, সুতারমুড়া পশ্চিম পাড়া মসজিদ,সুতারমুড়া আইডিয়াল একাডেমী, সুতারমুড়া আলোর ভূবন পাঠাগার রয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে সুতারমুড়া নবজাগরণ যুব সংঘ সামাজিক প্রতিষ্ঠান।গ্রামের ভিত্তিতে ছিলেন কেরামত আলী মোল্লা,আব্দুল ওয়াহেদ মেম্বার এবং গোলাম মস্তোফা মাস্টার।
তারা কেও এখন নেই, আজকের সময় গ্রাম দেখে রাখছেন হাজী আলী আজগর,হাজী আবু শামা,হাজী আবু ছায়েদ,কাঞ্চন,মাস্টার হারুনুর রশিদ,আব্দুর রশিদ মেম্বার প্রমুখ।
মোবাইল: হাজী আলী আজগর – ০১৭১০৮১৭৭৩৭
উল্লেখ যোগ্য বিষয় :প্রান্তিক এলাকার গ্রাম হলেও শিক্ষায় সংস্কৃতি আর ধর্মীয় বিষয়ে বেশ ভালো অবস্থান গ্রামের।
উচ্চ শিক্ষিত বেশ চোখে পড়ার মতো,গ্রামে ৮ জন কামেল পাশ এবং একজন পি এইচ ডি করা,বি এ, এম এ, অনার্স মাস্টার্স সহ প্রায় ২০ জন শিক্ষক এই গ্রামে।তাছাড়া আজকের সময় ৭/৮ জন বিভিন্ন বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুলোতে অধ্যয়নত আছে। আধুনিক সকল সুবিধা এখানে বিদ্যমান,রাস্তা,ডিস এন্টিনা,ইন্টারনেট ওয়াইফাই।
যোগাযোগের জন্য সি এন জি অটু কার সব নিয়মিত চলে গ্রামে।রয়েছে শিল্প মনা মানুষ আধুনিক সমাজ তৈরিতে একদল তরুন সমাজ।গ্রামের পূর্বপাশ দিয়ে পাহাড়ী নদী সীনাই প্রবেশ করেছে গ্রামে,উত্তর পাশের ফসলের মাঠের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে ভাটির দিকে চলে গেছে সীনাই নদী।যার তাজা পানি আর সু সাদের মাছ অনেক বিখ্যাত। আমার গ্রাম একটা ছবির মতো,সবুজের সমারোহ আর বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
আয়ের উৎস : কৃষি,চাকুরি,প্রবাসী এবং ব্যবসা।
একবার এসে ঘুরে যাবেন আমার গ্রামে সুতারমুড়া।ধন্যবাদ সবাইকে।