ময়দাগঞ্জ বাজার মূলগ্রাম ইউনিয়ন
১৮১০ খ্রীস্টাব্দে ত্রিপুরার মহারাজ দুর্গামাণিক্য স্বীয় শত্রুগণকে দুরীকৃত করিয়া রাজ্যের মধ্যে শান্তি স্থাপন করেন। মহারাজের বিপদের সময় যে সকল ব্যক্তিগণ উপকার করেছিলেন তিনি রাজ ক্ষমতা গ্রহণ পুর্বক তাদের প্রতিদান দিয়েছিলেন। ত্রিপুরা রাজ্যের সমতল ভুমি চাকলে রোশনাবাদ দেওয়ানির নুরনগর পরগনার নামকরণ কর্তা নুরুল্লা খাঁ তিতাস নদীর তীরে একটি বাজার স্থাপন করেন। তাহার নাম অনুসারে সাধারণ লোকজন ঐ বাজারকে ডাকতো খাঁ হাটখলা। মহারাজ দুর্গামাণিক্যের মাতা রাণী মহোদয়া দেবী সেই বাজার ও তৎসন্নিহিত স্থান তালুক প্রাপ্ত হইয়া বাজারের কাছে একটি বৃহৎ পুকুর খনন করেছিলেন। ওই পুকুরের কারণে সেই বাজারের প্রভুত উন্নতি সাধিত হয়েছিল বলে লোকে ওই স্থানকে রাণী মহোদয়ার নামানুসারে মহোদয়াগঞ্জ বলে ডাকতো। সেই থেকে মহোদয়াগঞ্জ বাজার কালের বিবর্তনে আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মুল্যগ্রাম ইউনিয়নের আধুনিক ময়দাগঞ্জ বাজার। রাণী মহোদয়া দেবী মৃত্যুকালে সেই বাজার তার স্বীয় পুত্র বধুকে দান করে যান। সে সময় বঙ্গ দেশের সাথে ত্রিপুরার নৌ বাণিজ্য এই মহোদয়াগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে সম্পাদিত হতো। ধীরে ধীরে এই নদী বন্দর ও বাজার স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়।