তুলাগাঁও গ্রাম সুলতানপুর ইউনিয়ন
যদিও আমার গ্রামটি তেমন বিখ্যাত না। তারপরও এই গ্রামের নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে প্রতিটি মুহূর্তে। ভোরের স্নিগ্ধ কোমল বাতাস দেহ মন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। যদিও আমাদের গ্রামটি বেশি বড় না।তবে এই গ্রামের মানুষের মন অনেক বড়। গ্রামের মানুষগুলো অনেক সহজ সরল এবং খুবই অতিথিপরায়ন। আমি আমার এই স্বর্গীয় উদ্যানের ন্যায় সবুজ ঘাসে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম ছাড়া অন্য কোথাও দু’দণ্ড শান্তিতে থাকতে পারিনা।
যদি বলি আমার গ্রামটি পৃথিবীর সব গ্রাম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। তাহলে অনেক বেশি বলা হয়ে যাবে। তবে এটুকু নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম গুলোর মধ্যে আমার গ্রাম একটি।সত্যিই, কবির ভাষায় বলতে গেলে,” আমাদের গ্রামখানি ছবির মতন, মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অমূল্য রতন”।
গ্রামের অবস্থানঃ চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার অন্তর্গত সুলতানপুর ইউনিয়নের সৌন্দর্যমন্ডিত সবুজছায়ায় ঘেরা শান্তিপূর্ণ এবং মনোরম দৃশ্যেঘেরা একটি ছোট্ট গ্রাম।যার পশ্চিমে রয়েছে সুলতানপুর গ্রাম, পূর্বে ছেচড়াপুকুরিয়া গ্রাম, উত্তরে সাবেকরপুকুরপাড় এবং দক্ষিণে রয়েছে বেতুয়া গ্রাম। চান্দিনা উপজেলা থেকে ৪ কি.মি উত্তরে এবং কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ২৫ কি.মি পশ্চিমে অবস্থিত।
নামকরণঃ অনেকের মনে হতে পারে যেহেতু গ্রামের নাম তুলাগাঁও। সেহেতু এখানে তুলা চাষ বেশি হয়। তাই এরকম নাম। কিন্তু সত্যি বলতে এখানে কখনো তুলা চাষ হয় নি। আর নামকরণটা কিভাবে হয়েছে জানা নেই।
প্রতিষ্ঠানঃ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটা আলিম মাদ্রাসা, একটি এতিমখানা, সাতটি মসজিদ এবং একটি মন্দির (অসম্পূর্ণ) রয়েছে। তবে একটি কলেজ হওয়ার কথা চলছে।
ব্যক্তিবর্গঃ একজন জেলা সদস্য, কিছু মুক্তিযুদ্ধা, একজন মেম্বার, কিছু MBBS doctor,পুলিশ, Army, সিআইডি, উচ্চ ও নিম্নপদস্থ কিছু সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়ঃ একটি বড় বাজার, দুটি খেলার মাঠ, মন ভালো করার জন্য সবুজ গাছে ঘেরা একটি রাস্তা।যার বিকেলের বাতাস সবার মন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়।
পরিশেষে একটি কথা বলতে খুব মন চাইছে। কথাটা হলো এই, আমার মনে হয়, প্রকৃতি প্রেমিক কবি জীবনানন্দ দাশ তার কবিতাগুলো আমাদের এই নৈসর্গিক দৃশ্যে ঘেরা গ্রাম টি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছিলেন। না হলে এত মিল কি করে হয়। Really I am proud of my wonderful village….