গাংবেড় গ্রাম নিতাই ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

গাংবেড় গ্রাম নিতাই ইউনিয়ন

আদি ইতিহাস ও নামকরণ:

গাংবেড় গ্রামটি একটি ফাঁকা ও বিস্তীর্ণ জঙ্গলাকীর্ণ নিরিবিলি একটা এলাকা ছিল। তাই গ্রামটির নামকরণের ক্ষেত্রে দুইটি ভিন্ন মত বিদ্যমান। প্রথমত, বিস্তৃত জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তার সুবিধার্থে এই এলাকায় বসতি গড়ে তোলে কয়েকজন ডাকাত। তাদের বংশ বিস্তারের ফলে এই এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠে। অবশ্য পরবর্তীতে তাদের বংশধররা সভ্য সমাজে পরিনত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, নিরিবিলি পরিবেশে হওয়ার কারণে এখানে নিজেদের গবাদি পশু পালন সুবিধার্থে এই এলাকাকে পছন্দ করেন এক দম্পতি। পরবর্তীতে অন্যরাও এসে এইখানে বসতি স্থাপন করে। যার ফলে এই এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠে।

গ্রামটির চারপাশ নদী দিয়ে ঘেরা বলে গ্রামের নাম গাংবেড় রাখা হয়েছে। গাং মানে নদী আর বেড় মানে ঘেড়া। অর্থাৎ নদী দিয়ে ঘেরা বলে গ্রামের নাম রাখা হয়েছে গাংবেড়।

অবস্থান ও আয়তন:

দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে অবস্থিত এই গ্রাম। গ্রামটির চারপাশ দিয়ে বয়ে গেছে চাড়ালকাঠা নদী। নদী বেষ্টিত এই গ্রামের উত্তরে মুশরুত বালাপাড়া, দক্ষিণে নিতাই কাছারীপাড়া ও নিতাই বাজার, পূর্বে বেলতলী বাজার ও নিতাই পূর্ব কাছারীপাড়া এবং পশ্চিম দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বড়ুয়া গ্রাম। এটি কিশোরগঞ্জ উপজেলা ও নীলফামারী সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম।

গ্রামটির আয়তন প্রায় ০২বর্গকিলোমিটার।

জনসংখ্যা: গ্রামটিতে প্রায় ২৫০০ মানুষের বসবাস। যার মধ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯০০।

  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার হার:

গ্রামটিতে শিক্ষার হার অত্যান্ত নিম্নমুখী। যার ফলে গ্রামে উচ্চ শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। গ্রামটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে শুধু মাত্র একটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি ব্রাক স্কুল।

পেশা:

গ্রামের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০শতাংশ মানুষেই প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত।

প্রধান ফসল:

এই এলাকায়র মাটি উর্বর ও নদী বেষ্টিত হওয়ায় এখানে প্রায় সব ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে আবাদ হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য কিছু ফসল হচ্ছে আলু, ধান, ভুট্টা, আদা, তামাক, গম সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে আবাদ হয়ে থাকে।

দর্শনীয় স্থান:

নদী বেষ্টিত সমতল ভূমি হওয়ার কারণে এই গ্রামের সৌন্দর্য ঈর্ষণীয়। সবুজের সমারোহ নদীর তীরে বিস্তৃত বালুকারাশি,কাশফুল ও ফসলে ঘেড়া সবুজ মাঠ এ যেন এক অনন্য সৌন্দর্যে ভরপুর এক গ্রাম।

*যতটুকু জানি তা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি , ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

  1.  ধন্যবাদন্তে

মোঃ সানারুল ইসলাম সাদিক