কেদারখোলা গ্রাম বীরগাঁও ইউনিয়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত কেদারখোলা গ্রাম, এই গ্রামটিতে প্রাচীন যুগে পাঁচজন জেলে বসবাস করতো,তখন এটা কোনো গ্রামে উপাদিত হয়নাই, নদীর মধ্যে স্তর থেকে একটি দীপ ভেসে ওঠে ছিল, এই দ্বীপে তারা বসবসাস করতো চারদিকে ছিল নদী এই দ্বীপটার নাম ছিলো কেদারা এই দ্বীপের সামনে ছিলো একটি খোলা জায়গা, তখন থেকেই এই জায়গাটার নামকরণ হয় কেদারখোলা।ধীরে ধীরে এই দ্বীপটি বিশাল আকৃতিতে ভেসে ওঠে তখন থেকেই শুরু প্রাচীন যুগের মানুষের বসবাস।
বর্তমানে জনসংখ্যা প্রবাসী শক্তি ২০১৯ হালনাগাদের তথ্য বলে গ্রামটিতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস করে,এই গ্রামটিতে প্রায় ৫০% যুবক প্রবাসে থাকে,এই গ্রামের প্রতিটা পরিবারের আয়ের উৎস প্রবাস থেকে আসে, দেশের একমাত্র আয় প্রবাসি রেমিট্যান্স দ্বারা আসে, এই গ্রামের প্রবাসীরা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে দেশের আয়ের উৎসে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পনের বছর আগে এই গ্রামটা ছিলো পিছিয়ে পড়া ফেলনা একটা গ্রাম।এতবছর পড় গ্রামটা সোনার গ্রামে পরিনত, প্রায় পুরোটা মেঘনা নদীতে ছেয়ে আছে, সামনে ছোট তিতাসের শাখা, দুই নদীর মাঝে এক দীপ, গ্রামে আগে বাঁধ ছিলনা, টখন বাঁধ দিয়ে পাশের গ্রামের সাথে সংযোগ করা হয়েছে,ভাঙ্গছে গড়ছে নদীর নৈমিত্তিক পরিবেশ, অনন্য এক রুপ ধারণ করেছে, চারপাশটা মৌসুমি রবিসশ্যের সবুজের সঙ্গে অসাধারণ রঙ ধারণ করে আছে।দৃষ্টি যতই যাই ততই মন কেড়ে নেই, গ্রামের সরু রাসৃতা আর আইলের বাকে,সকালের শিশির মেখে, বিকেলে রুধ মেখে হাটলে আপনি বিমোহিত হবেন।শীত মৌসমে সরিষা খেত,টমেটো, খিরা, আর কালাই আপনার মন কেড়ে নিবে শতভাগ। তিতাসের কলমিলতা বান নয়ন জুড়ায়,ডিঙ্গি নৌকার আনাগোনা আর নদীর পাড়ের কাশফুল আপনাকে মাতুয়ারা করবেই।
জেলেদের মাছ ধরা নবনব পদ্ধতি আপনাকে পাগল করবেই। গ্রামের যুবকদের চলাফেরা বন্ধুত্ব আড্ডাবাজি খেলাধুলা অনেক পারস্পরিক মিল রয়েছে যা দেখে আপনি বিমোহিত হবেন। এই গ্রামটির পশ্চিমে রয়েছে মেঘনা দক্ষিণে রেয়েছে তিতাস,তাছাড়া রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি মহিলা মাদ্রাসা, এবং পাচঁটি মসজিদ।
এই গ্রামটিতে রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন যেমনঃ নাজীরমোল্লা বাড়ি যুব কল্যান সংগঠন,খান স্টার ক্লাব, জুনিয়র স্পোটিং ক্লাব,মেঘনা টাইগার ক্লাব,আব্দুর রশিদ মেম্বার স্মৃতি সংসদ, ফ্রেন্ডস ক্লাব,এবং একটি ক্রীয়া সংগঠন রয়েছে কেদারখোলা ক্রীকেট একাদশ।এবং মাঠ আর চর আপনাকে আপ্লুত করবেই, আর মেঘনার রুপ,ছেলে মেয়েদের স্নান, পানি নেবার চিত্র,নদীতে হাজারো নৌকা স্পিডবোর্ড,মানবের অবাধ বিচরণ সুবিশাল নদীর চোখ যাওয়া, স্নিগ্ধ সন্ধার রুপ টেনে রাখবে, বনভোজন নৌকাভ্রমণ চুড়ুইবাতি বেড়ানো আদর্শ একটা জায়গা হতে পারে অনন্য সুন্দর গ্রামটি,দারুন সম্ভাবনাময়।একবার ঘুড়ে আসুন।
সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী
আমাদের গ্রামটিতে রয়েছে বিভিন্ন পেশার চাকরিজীবি যেমন শিক্ষক সেনাবাহিনী ডাক্তার, রাজনীতিবিদ,বিভিন্ন পেশায় চাকর রত আছেন।যা আমাদের গ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।গ্রামটির আরেকটি বড় আয়ের উৎস হচ্ছে ব্যবসা যা যুবকরা ভাল টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়
মুক্তিযুদ্ধের অবদান
১৯৭১ সালে যখন পাক বাহিনী আমাদের বাঙালীর উপর নিবিড় নির্যাতন চালাই তখন তারা গুলি করে হাজারো মা বোনদেরকে হত্যা করেছে তখনকার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে লাখো বাঙালি যুদ্ধে সাড়া দেন তখন আমাদের গ্রামটা ছোট হলেও তিন জন লোক যুদ্ধের জন্য রওয়ানা দেন, একজন যুদ্ধেই শহীদ হন আর বাকি দুজন জয় নিয়ে এসে ফরে আসেন আলহামদুলিল্লাহ।
তথ্য সংগ্রহক
(আমিনুল ইসলাম কুদ্দুস)