ঈশ্বরকাঠি (চেরাগ আলী খালাসী কান্দি) মোক্তারের চর ইউনিয়ন

৬৮ হাজার অনলাইন গ্রাম: বাংলাদেশের গ্রাম

ঈশ্বরকাঠি (চেরাগ আলী খালাসী কান্দি) মোক্তারের চর ইউনিয়ন

নড়িয়া বাজারের কীর্তনাশা ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে মোক্তারের চর ইউনিয়নটি অবস্থিত।  ব্রিজ থেকে আনুমানিক ২/৩ কি.মি. পশ্চিমে ঈশ্বরকাঠি গ্রামটি অবস্থিত ।এই গ্রামের ৮০% অংশ ঐ পদ্মা-নদীতে (২০১৬-২০১৮) সালের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অবশিষ্ট আছে অল্প কিছু ঘর বাড়ী । ভেংগে গেছে প্রায় ৫০০ বসতবাড়ী।  ভেংগেছে প্রায় ১০০০ বিঘার মতো আবাদী জমি  বসতবাড়ী ।

পাকা মসজিদ ভেংগেছে ৩ টি,প্রাইমারী স্কুল ভেংগেছে ১টি কওমী মাদ্রাসা ভেংগেছে ১ টি সাথে ভেংগেছে হাজার মানুষের স্বপ্ন। সমপ্রীতির একটি গ্রামের নাম ঈশ্বরকাঠি । বিচার শালিশের মাধ্যমে এলাকার সমস্যাগুলি সমাধান করা হতো সেই প্রাচীন কাল থেকে । এই এলাকাটি দুইটি সমাজে বিভক্ত ছিলো একটি অশে ছিল খালাসীদের ।

যার পুর্ব পুরুষ ছিলো চেরাগ আলী খালাসী  তার নামেই এই গ্রামের নামকরন করা হয় চেরাগআলী খালাসীর কান্দি পরবর্তিতে এটা ঈশ্বরকাঠি নামে রুপান্তর করা হয়।চেরাগআলী খালাসীর ভাগিনা শেখ কামালউদ্দিন ও শেখ জামালউদ্দিন মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার চৌধুরীর চর গ্রাম থেকে নদী ভাংগনের ফলে এই গ্রামে মামার বাড়ীতে আসে মামা তাদেরকে উপহার হিসেবে ৩০ বিঘা জমি উপহার দেয় এবং ভাগিনার এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে বিচার শালিশ শুরু করে এভাবেই তারা এলাকায় মাদবর হিসেবে প্রতিষ্টা লাভ করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

এই গ্রামের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের নামঃ-চেরাগ আলী খালাসী,করম আলী খালাসী , নুরুল হক খালাসী,মাদবর ওসমান হাজী,আব্দুর রহমান মাদবর,শাহজাহান মাদবর,হাচান আলী মাদবর ইত্যাদি। নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হজরত আলী খালাসীর বাড়ী ও এই গ্রামে।