২০০টি আঞ্চলিক ভাষায় মজার প্রবাদ ও প্রবচন!
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় গভীর অর্থবোধক কিছু প্রবাদ বাক্য ও প্রবচন। কিছু কিছু প্রবাদ পড়তে বা শুনতে নেতিবাচক মনে হলেও এসব প্রবাদে অনেক তাৎপর্য লুকিয়ে আছে। একবার করে পড়ে আসেন। সত্যিই একটি অন্য রকম অনুভূতি সৃষ্টি হবে। আশা করি সবার ভাল লাগবে!
- জান চলে না বাড়ি বাউনবাইড়া।
- বাড়ির গরু গাডার ঘাস খায় না।
- কম পানির মাছ বেশি পানিতে পড়লে ছডর ফডর করে।
- বাপ দাদার নাম নাই, চান মোল্লার বিয়াই।
- ঠাডা পইড়া বগা মরছে, ফকিরের কেরামতি বাড়ছে।
- আজাইরা থাইকা, গজাইরা গীত গা।
- আমও গেছে, লগে ছালাও গেছে।
- হায়ের নামে লেশ নাই, দেওর চৌদ্দ জন।
- লাইগ্যা থাকলে ম্যাইগা খাওয়া লাগে না।
- ভাত ছিটাইলে কাওয়ার অভাব হয় না।
- আফইট্টা কাঠুলের মুডি ডাংগর।
- বুড়া কালে কুড়ার ডাক।
- কাউয়ার বাসায় কুলি ছাও, জাত আনমান করে রাও।
- কোন বা আগুনের আগুন, আবার কাডল আলি পোড়া।
- আক্কেল খাইছে মাডি, বাপে পুতে কান্দাকাটি।
- ওরাত দেখাইয়া ছয় মাস।
- যার বিয়া হের হবর নাই পাড়াপড়শির ঘুম নাই।
- বইয়া হাইলে রাজার ধনও ফুরায় যায়।
- তিনদিনের বৈরাগী ভাতেরে ক অন্ন।
- আম তিক্কা বরা বড়।
- মার ফুরেনা মারানীর ফুরে।
- চমুখ চিন্না মুগের ডাইল।
- হেক্কায় কুত্তা কামরা না।
- আসমান দা আ পাতাল দা যা।
- হুটকির নাওয়ে বিলাই চহিদার।
- মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
- নিজের নাই জাগা কুওা আনে ভাগা।
- থাকতে ধরাইয়া খাও, বেইল থাকতে আইট্টা যাও।
- দুড়া কাওয়ার মুখে হিন্দুইরা আম।
- হুলার হুলাও গেছে, গাইলের হোলাও গেছে।
- পচা শামুকে পা কাটা।
- আঁকাড়া চাইলের দোকানদারী।
- হাইচ্ছৎ ছাড়ে না চুরে, টুন্ডা হাতে হিন কুঁড়ে।
- যে নালে উৎপওি, সেই নালে বিনাশ।
- ছাগলের পাড়াই ধান পড়ে না।
- মাঘের জারে বাঘও পালায়।
- তুলা দুধে পুলা বাচে না।
- বাড়ি ওয়ালার বাড়ি না বাড় বাড়ি ওয়ালার বাড়ি।
- এক মাঘে শীত যায় না।
- জাতের ধারা খ্যাতের নাড়া।
- হুটকি দিয়া ভাত হামু বিলাই রে আঙ্গুল দেখামু।
- গরিবের বউ হগগলের অই ভাউজ।
- খা ফেন দিয়া গপ্প মারে দই।
- কির্ফিনের ধন পিরফায় খায়।
- হগল মাছে গু খা,নাম ফরে গাওরা মাছের।
- গাঙ ফার অইয়া সারলে মাইজ্জা চেডের বাল।
- আপনা হরী ছেলাম পায় না, মুয়াই হরী পাও বাড়ায়।
- আমি অইলাম জামাইর ভাই, আমার পাতঅ পিডা নাই।
- ঘরওলার ঘর না, বারওলার মুখাখুখি।
- ঘাট গুণে দারহিনা নাচে।
- বিয়া দিছ রঙ্গে,খাইব আমার ঠেঙ্গে।
- গাঙের ঢেউ গাঙে অই মজে।
- ভালা গাঙের পানি,ভালা কাফরের কানি।
- হাইয়ের আছে বার ভাই,হাই না থাকলে কেউই নাই।
- খাডাইশ্যা কুত্তার আগুইন্যা পাদ।
- দাওয়ের চেয়ে আছার মুডা।
- মার পুরে না মারানির পুরে।
- হাদলে জামাই খা না, পরদা জামাই পা না।
- না খাওনের কাডুল বাদুর মাসে ফাহে।
- খুতবার ছাডি নাই,বেইল্লার পুরাহি নাই।
- কুত্তার কামুর আডুর নিচে।
- ছাগল দিয়া আলচাষ করন যায়না।
- নাই মামুর চেয়ে কানা মামু বালা।
- এক গাছের বাহুল আরেক গাছে লাগে না।
- অয়ছে পুতে বাব ডাহে না অয়বো পুতে বাব ডাকবো।
- খেতের ইডা লাইলো তুইল্লা ভাংগে না, খেতুই ভাংগে।
- রং দেখছো রংগের ডিব্বা দেখছো না।
- ফাদো পড়লে বুঝবা কত ধানে কত চাইল।
- মুখ চিন্না মুগের ডাইল।
- বাড়ির গুরু ঘাডার ঘাস খাই না।
- ছাগলনির আঁদা হাত লেজ তলে ও দিবো উপরে দিবো।
- বাপ দাদার নাম নাই চাঁন মোল্লার বিয়াই।
- চিনা বাউনের ফৈতা লগে না।
- আইগ্গা হসে না ফাইদ্দা গলা ফানি।
- হাইতো ফা না ফহিন্নি মাডা দিয়া হুসে।
- সুর্যের তাইক্কা বালু গরম বিশি।
- মাগনা গরুর দাঁত নাই।
- ডাইল দিয়া বাত হামু বিলাইরে আঙ্গুল দেহামু।
- মা মরলে বাপ তালুই।
- ফুতের শোগ গরঅ লউয়ন যা, কিন্তু টেহার শোগ গরঅ লউয়ন যা না।
- চুল নাই বেডি চুলের লাইগ্যা কান্দে, কছু ফাতা দা ঠাল্লা হুফা বান্দে।
- ইছা ফুরাদা দেশ নিমন্তন।
- আম থাইক্কা বালহা মিডা।
- এক রাইতের উজাগরি সাত রাইত টানে।
- আজাইরা লাঙ্গে ঘর-দুয়ার ভাঙ্গে।
- আউসের তুলার দাম আশি টেহা।
- হাছতে হাছতে ফেছা রাজা।
- আলের অ না জালের অ না।
- নানী অইছে হাঙ্কির কানি।
- গফে শফ মারে, আত্তি লেদা মারে।
আরো পড়ুন
আঞ্চলিক ভাষার মজার ধাঁধাঁ
পুতুল নাচের সূত্রপাত এবং ইতিহাস
২০০টি আঞ্চলিক ভাষায় মজার প্রবাদ ও প্রবচন!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক ভাষায় গভীর অর্থবোধক কিছু প্রবাদ বাক্য ও প্রবচন। কিছু কিছু প্রবাদ পড়তে বা শুনতে নেতিবাচক মনে হলেও এসব প্রবাদে অনেক তাৎপর্য লুকিয়ে আছে। একবার করে পড়ে আসেন। সত্যিই একটি অন্য রকম অনুভূতি সৃষ্টি হবে। আশা করি সবার ভাল লাগবে!
- আফনাত্তে বেগনা ভালা,দূরন দেশে ভিক্ষা ভালা।
- জাতের মাইয়া কালাও ভালা, নদীর ফানি ঘোলাও ভালা।
- কুত্তার ফেডে ঘি অজম অ না।
- চুরের মার বড় গলা।
- ছিনালের আডারো জাত।
- হাইয়ের লাইজ্ঞা অ কান্দে, হুটকির ছালুন অ রান্দে।
- থাকতে কাঁচি, আরাইলে দাও।
- ফাহাল থেইক্কা ইডা বড়।
- ফুটকিত গু থাকলে কত রঙ্গের জিলাপি বানান যা।
- না ফিন্দা ফিনছে কাফড়,গাইরে করে ফাফর ফাফর।
- হা লা বেডি হা, ঝি ফুত না অইতে হা।
- হাইয়ের ভাত টগর-মগর, ফুতের ভাত আইট্যা নগর।
- নওয়াবের ছেডের হামি।
- এক হাগুরি আরেক হাগুরিরে ক ইডা হেত কতদূর।
- আমার বাইত হাইয়া কুত্তা যুগী বাইত গিয়া ভুগে।
- যদি দেহে সংসারের বাও, মুরগি তুলে ছাও।
- নাছ’ত না জানলে উডান বেহা।
- আগে আডুরি ফান বাডুরি।
- ভাই না অইয়া ভাইয়ের হালা অইলে কাজ অইত।
- ফুতরা দেইক্কা ধর ধর জামাই আইলে জবাই কর।
- ভাত খা না চা খা, হোন্ডার লইয়া আগত যা।
- বড় লোকে হস্তা মাছ কিনলে বস্তার ব্যাগ দা লইয়া যা,দামি মাছ কিনলে ফলিতিন দিয়া দেখাইয়া লইয়া যা।
- বুদ্ধি থাকলে হওর বাইত হাঈট্টা খা না।
- কুস্তা না ফারলে আলের অ না জালের অ না।
- ফারছ না ছেডের বাল, চিড়া বইয়া তাহে দুরা কাওয়ার বাল।
- ফহিন্নির ফুতের চলা ফেরা দেকলে মনে হয় মেজিসটেট ফুত।
- বালার সাথে চল্লে খা বাটার ফান,বুড়ার সাথে চল্লে কাডে দুই কান।
- মার ফুরে না মারানির ফুরব ঘড় ফুরে না ধুমা উড়ে।
- ছাল নাই কুত্তার বাঘার ডাক।
- দুই ফাউয়ের অফুকার করতে না।
- উচিতে ভাত নাই রাস্তা দিয়া পথ নাই।
- গাতার ত হাপগাতায় যাইব সোজা হইয়া যাইব।
- সুদিনের পানসু ভাই কুদিনের কেহই নাই।
- মেল গিয়া বুঝ না পাইলে ঘরের বউয়েরে পিডন।
- পরের হোটেলে খাইলে ছ মাসে বছর যা।
- চোরের মায়ের বড় গলা নিত খা দুধ কলা।
- হুটকী দিয়া বাত কায়া টোড গি লাগায়া আডে।
- কুতায়া আগেনা ফেডঅ বুক লাগব দিক্কা
- জরের মুহঅ ফাদ মজা লাগেনা।
- বাপ দাদার নাম নাই সানাউল্লার বিয়াই।
- এক ইড়ি আর এক ইড়িরে চিনে।
- বাল ফালান্না মুনি চিড়া হাইবার জম।